আহ হলিউড মুভি। আহ কোরিয়ান মুভি।
মার্ডার মিষ্টরি মুভি আমি সবচেয়ে বেশি দেখি। সেখানে অলিতে-গলিতে বা কোনও ডোবা নালায় যদি কোন লাশ পাওয়া যায়, শুরু হয়ে যায় পুলিশ ডিটেকটিভ-দের পুঙ্খানুপুঙ্খ চুলচেরা ইনভেস্টিগেশন। কেঁচো খুরতে খুরতে সাপ বের করে ফেলে। হোক সেটা কোনও বড়লোকের লাশ বা হোক সেটা রাস্তার টোকাইয়ের লাশ, খুন যে করেছে তার রেহাই নেই। রাত দিন ঘুম সব হারাম হয়ে একাকার। পুলিশ, ডিটেকটিভ, সরকার, ভিকটিমের ফ্যামিলি, দেশের জনগণ পর্যন্ত সচেতন হয়ে যায়-খুনিকে ধরতেই হবে, শাস্তি তাকে পেতেই হবে। না হলে যে সে আরও খুন করার সাহস পেয়ে যাবে। সে শাস্তি না পেলে তার দেখা দেখি খুন-খারাবি আরও বেড়ে যাবে। যাই হক-মুভির শেষে টুইস্ট দিয়ে মুড়িয়ে খুনের রহস্য উন্মোচিত হয়, খুনি ধরা পড়ে।
আর আহারে দেশ। বাংলাদেশ।
খুন হল, আর্মিদের এলাকায় লাশ ফেলা হল। আর দেশের পুলিশ ডিবি আর্মি সরকার সব চুপ। যেন “খুন হয়েছে তো কি হয়েছে। যে খুন হয়েছে সে কি এমন হেডম ছিল যে তার খুনিদের ধরতে হবে”। “খুনের বিচার না হলে দেশে খুনের ঘটনা আরও বেড়ে যাবে- ওসব মিডিয়ার সৃষ্টি। দেশের আইন শৃঙ্খলা এখন ইতিহাসের সব চেয়ে ভাল সময় পার করছে। দেশের বাঙ্গালীরা ভাল আছে।” শেষ।
ঢালিউডের মুভিতেও অমন দেখাতে পারেনা। কারণ বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ খুনের কোনও বিচার হয় না। তাহলে তো ঢালিউডেও মার্ডার মিষ্টরি ছবি হতো।
বেডরুমে মরলে সেই দায় দেশের সরকারের না। ক্যান্টনমেন্টে মরলে সেই দায় আর্মিদের হতে যাবে কেন!
সোনার এই দেশ, জং ধরে গুড়া গুড়া হয়ে যাচ্ছে, কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।
Keep calm and wait for being killed!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮