somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি যখন নতুন পাঠক আমার বইগুলো তখন পুরনো

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পুরান ঢাকার বাংলাবাজার ফুটপাত থেকে কি কখনও পুরান বই কিনে পড়েছেন।
আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, ১৯৯৮ সালের কথা। মুসলিম স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাংলাবাজারের ফুটপাতের দোকানগুলো পরত।
যাওয়া আসার মাঝে উৎসাহ হয়। দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখতাম কি কি বই, বইগুলোর নাম।
গোয়েন্দা বা ডিটেকটিভ ছোট বেলা থেকেই টানতো। এভাবেই একদিন কিনে ফেলি সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দার __ নামটা মনে আসছেনা, বাসায় বইটা এখনও আছে। এই শুরু।
আব্বু পকেট মানি যা দিত, ওখান থেকে টাকা বাঁচিয়ে বই কিনতাম। ফুটপাত থেকে কিনতাম এই কারণে, মার্কেটে ঢুঁকে নতুন বই দেখার বা কেনার সাহস হতো না। একা একা একটা বড় দোকানে যাব, বই দেখবো, দাম যদি বেশি হয়? যদি টাকা কম থাকে? না কিনলে লোকেরা যদি কিছু বলে__ এগুলো ভেবে দোকানে নতুন বই কিনতে যেতাম না।
ফুটপাত থেকে ৮০ টাকার বই ১৫-২০ টাকায় পেতাম। সেই বই পড়া শেষ হয়ে গেলে ফেরত দিয়ে আরও কিছু টাকা ভরে আবার অন্য বই নিতে পারতাম। এই ফ্যাসিলিটি টা কিন্তু দারুণ ছিল।
এভাবেই বাংলাবাজার ওভার ব্রিজের কয়েকজন দোকানদারের সাথে আমার খুব ভালই সম্পর্ক হয়ে গেছিলো। বাকিতেও বই নিতে পারতাম। পুরান বই পাওয়া যায় এমন একটা মার্কেটও আছে ওখানে। সেখানকার এক দোকানদার সাথে যেন আমার আত্মীয়ের সম্পর্ক হয়ে গেছিল। প্রতিদিন তার দোকানে একবার হলেও যেতাম। প্রতিদিন একেকসে একেক বই নেওয়া যেন নেশায় পরিণত হয়ে গেছিলো। যেসব বই পড়ার পর ভাল লাগতো সেগুলো রেখে দিতাম। যেগুলো কম ভাল লাগতো সেগুলো ফেরত দিয়ে অন্য বই নিতাম। প্রতিটা বই যেগুলো পড়ে শেষ করেছি তার একদম প্রথম পাতায় ডেট আর নিজের নাম লিখে রাখতাম। ভাল, মন্দ, গ্রেট মন্তব্য লিখে রাখতাম।
সেবা প্রকাশনীর বহু অনুবাদ পড়েছি। তিন গোয়েন্দা, রাকিব হাসান, অনীশ দাশ অপু, এই নামগুলো এখনও ভুলিনি। আরও অনেক ছিল, নাম মনে পরছেনা।
বাংলাদেশ, কলকাতার অনেক বাংলা উপন্যাসও পড়েছি।
বহু মনিষী জীবনী পড়েছি, তার মধ্যে সবার প্রথম যে বাইওগ্রাফিটা পড়ি সেটা হল "মেইন কামফ" । হিটলারের পারসোনালিটি, পেটরিয়টিজমের ভক্ত হয়ে যাই। রাশিয়ান "বিশ্ব কাপানো দশ দিন"। "লা নুই বেঙ্গালি"। ___ মনে পরছেনা।
আরেকটা সখ পেয়ে বসেছিল, অনেক পুরনো প্রকাশিত বই সংগ্রহ করার। ১৯২১ সালে প্রকাশিত একটা বই ছিল আমার কাছে। চল্লিশ, পঞ্চাশ, ষাট বছর আগের আগের বই আমার কাছে ছিল।
_______ এইসব স্মৃতিচারণ করলে সারাদিন লিখলেও হয়ত শেষ হবেনা। তবে যদি সারাদিনও লেখি আমার খুব ভাল লাগবে। ওইসব স্মৃতি নিয়ে ভাবতেও ভাল লাগে। ইংরেজিতে "নস্টালজিয়া"। সেই রক্তমাংসের মানুষ আমি এখন ইঞ্জিনের রোবট হয়ে গেছি যে______।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
১৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×