somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আলৌলিক যত সব ভৌতিকতা - ১

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[ ভূত বিষয়ক একটি পোস্ট ]

সকাল থেকেই আমি মজিদ ভাইকে একটা বিশেষ উদ্দেশ্য খুঁজছি। লোকটির খুব মাছ ধরার নেশা। রাত-দুপুরে এখানে সেখানে মাছ ধরতে যায়। আমি একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম ভাই আপনার ভয় করেনা? সে বত্রিশ দাঁত বের করে বললো ভূতের কথা বলছো। আমিতো ভূত চাবাইয়া খাই। কিছুটা দৃষ্টিকটু তার দাঁতের দিকে আমার নজর পরলো দেখলাম দাঁত থেকে রক্ত বের হচ্ছে। কথার মাঝ খানে ওয়াক থু। থুথুর সাথে কিছুটা রক্তও বের হয়েছে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। আমারও আবার মাছ ধরার খুব সখ। তাই মজিদ ভাইয়ের সাথে আমার প্রচুর খাতির।

আজকে তাকে আমার ভীষণ দরকার। একটা জায়গায় তাকে নিয়ে যাবো। সাহসী লোক খুব দরকার। আর সে ছাড়া যে আর কেউ ঐ যায়গায় যাবেনা সেটা আমি নিশ্চিতত। ভাবীকে মজিদ ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই বললো মনে হয় ঐ শশানঘাটে বড়শী দিয়ে মাছ ধরছে। কত না করলাম। কে শুনে কার কথা। কত ঘটনা শুনি। দেখো সাবধান তুমি আবার ঐ পথে যেয়োনা। তোমার ভাই বাড়িতে আসলে তোমার সাথে দেখা করার কথা বলবনে। আমি কিছু না বলে চলে আসলাম।

দ্বি প্রহর। চারদিকে কোন জনমানব নেই। সূর্যটা ঠিক মাথার উপরে উঠে এসেছে। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয়ে গাল বেয়ে পড়ছে। নদীর পাড় ধরে হেটে চলছি। আমাকে যেতে হবে সামনের শ্যাওড়ার ঝোপ দিয়ে। শ্যাওড়া গাছ খুব ঘন। ফলে সূর্যের আলো এর নিচে ঠিক মত আসেনা। যার ধরুন জায়গাটি সবসময় ঘুটঘুটে অন্ধকার এবং স্যাঁতস্যাঁতে থাকে। দূর থেকে কেমন জানি একটা ভৌতিক আবহ অনুভব করলাম। শ্যাওড়ার ঝোপের নিচে আসার সাথে সাথেই শরীরে একটা ভাপসা গরম অনুভব করলাম। সাথে সাথেই শরীরে একটা ছমছম অনুভূতি। গভীর জঙ্গলের দিকে তাকালাম। বিধঘুটে অন্ধকার। অন্ধকারে কিছুই বুঝা যাচ্ছেনা। আমি হেঁটেই চলছি আমার গন্তব্যে।

সামনে যে বাশেঁর ঝাড়টি দেখা যাচ্ছে দূর থেকে সেটা বড় অদ্ভুধ লাগছে। এই বাঁশঝাড়টি নিয়ে একটি কথা মনে পড়ে গেলো। একদিন এক লোক এমনি এক দ্বিপ্রহরে ঐ বাঁশঝাড়টির নিচ দিয়ে যাচ্ছিলো বরশী দিয়ে মাছ ধরার জন্য। যাওয়ার সময় দেখে একটি বাশ মাটিতে ভেঙ্গে পড়ে আছে। ঐ লোক মনে করলো এতটা না ঘুরে এই বাঁশের উপর দিয়ে চলে যায়। যেই ভাবনা সেই কাজ। বাঁশের কনচি সরিয়ে যখন বাশের উপর দিয়ে পার হতে যাবে ঠিক তখনি বাঁশটি তাকে সহ দাঁড়িয়ে পরলো। তখন ঐ লোকের সেকি চিৎকার। সেইসময় নদী দিয়ে যাচ্ছিলো একটি নৌকা। তারা এসে তাকে গাছ থেকে নামালো। নামানোর সাথে সাথেই লোকটি অজ্ঞান হয়ে গেলো এবং লোকটির সারা শরীর নীল হয়ে গেলো। সুস্থ হওয়ার পর যা বললো তা ছিলো এই রকম যে বাশের উপরে উঠে দেখে কিছু ছোট ছোট ছেলেমেয়ে তাকে দেখে নাচছে। তাদের ইয়া বড় বড় দাঁত আর দাঁত থেকে রক্ত পরছে, আর জ্বিহবাটা ছিলো খুব কালো। আল্লাহ তাকে নিজ হাতে বাঁচাইয়া দিছে।

জেলে পাড়ার নতুন বউ সেদিন এখানে একটি ভাঙ্গা বাঁশ দেখে গরুটি বাশেঁ বেধেঁ গেলো এবং ভাবলো ঘাসও খেতে পারবে আবার বাশেঁর কচিপাতাও খেতে পারবে। কিন্তু যখন গরুটিকে বিকেল বেলা পানি ও ভাতের ফেন খাওয়াতে গেলো তখন গরুটিকে না দেখে এদিক সেদিক খুঁজতে লাগলো। হঠাৎ দুইটি বাঁশের বাতাসে ঘর্ষনের ফলে অদ্ভুদ শব্দ শুনা গেলো। কিছুটা মাংসের হাড় চাবিয়ে খাওয়ার মতো শব্দ। শব্দটি শুনে যখন উপরে তাকালো তখনি সেই বউয়ের চিৎকার। তার চিৎকার শুনে যখন জেলে পাড়ার লোকেরা দৌড়াইয়া আসলো, ততক্ষণে এই মহিলাটি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পরে রইলো। কেউ কিছুই না বুঝে যখন এদিক সেদিক তাকিয়ে ঘটনাটি বুঝার চেষ্টা করতে লাগলো তখনি সেই বাঁশের বাতাসে অদ্ভুদ শব্দটি ভেসে আসলো। সবাই উপরে তাকিয়ে চোখের পলকে একসাথে জড়ো হয়ে গেলো। কারও মুখ দিয়ে এতটুকুও শব্দ বের হলোনা। শুধু মাত্র মহিলাটির অজ্ঞান দেহটি বয়ে নিয়ে তারাতারি চলে আসলো। গ্রামের সবাই চিৎকার তাদের চিৎকার শুনে জেলে পাড়ায় জড়ো হলো। সবার মুখে এক কথা ঘটনা কি? বায়োজষ্ট জেলে লবাদাদু সবাইকে নিয়ে বাঁশঝাড়ের দিকে রওনা হলো। অতি উৎসাহী কয়েকজন আগে আগে দৌড়ে গেলো। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই অতি উৎসাহীরা পিছনে দৌড়াতে লাগলো আর বোবাদের মতো চিৎকার করতে লাগলো।

চলবে............।

[দুঃখিত পোস্ট টি এডিট করতে গিয়ে মুছে ফেলা হয়েছিলো তাই পোস্ট টি রি পোস্ট করা হলো।]
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৫০
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×