somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভূত নিয়ে চতুর্থ সত্য ঘটনা..... ১ম পর্ব

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যারা ভূতে বিশ্বাস করেন না, বা করতে চান না তাদেরকে আজকে আরেকটা সত্য ঘটনা শুনাব-

আমাদের বাজারেই রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি ছোট কম্যুউনিটি সেবা কেন্দ্র আছে, যাকে আমরা রেডক্রস বলেই ডাকতাম। সেখানে দুইটি মহিলা মিডওয়াইফ ছিলো যারা রোগীদের দেখাশোনা করতো। এদের মধ্যে একজনকে দেখতে আমার কাছে কেমন জানি অদ্ভুদ টাইপের লাগত। উনার হাসিটা খুবই বিশ্রী, ইয়া বড় বড় দাঁত বের করে হাসতো। আবার কথাও বলতো খুবই জোড়ে জোড়ে। আমি উনাকে দেখলেই এড়িয়ে চলতাম। উনারা আবার প্রায়ই আমাদের বাসায় আসতো।

একদিন রাতে উনারা দুইজন আমাদের বাসায় আসলো। আম্মাকে বলছে আপা পূর্ণিমাতো তাই চলে আসলাম। আম্মার সাথে তুমুল গল্প জুড়ে দিলো। রাত্র বারটার দিকে আম্মা আমাকে ডেকে বললো, উনারাতো যাবেনা তুমি গিয়ে রাত্রে রেডক্রসে থেকে যাও। সাথে কাউকে নিয়ে যেয়ো। সেদিন আবার আব্বা বাসায় ছিলোনা।

আমি আবার রেডক্রসে যেতে ভয় পেতাম। প্রায়ই শুনতাম ঐ জায়গায় অমুক রোগী মারা গেছে, তমুক মৃত্যুর প্রহর গুনছে, আবার রোগীদের মৃত্যু আর্তনাধও আমাকে ঐ জায়গা থেকে দূরে রাখতো। তবুও আমি আম্মাকে না বলতে পারিনি। একটা টর্চ লাইট নিয়ে বাজারে এসে আমার সাথে থাকার মতো কাউকে খুঁজছি। কিন্তু কাউকেই দেখলাম না। তাই একলা একলাই চলে গেলাম রেডক্রসে।

তখন আমাদের এলাকায় বিদ্যুত যায়নি। জেনারেটরই বড়সা, সেটাও আবার রাত দশটায় বন্ধ হয়ে যায়। বিছানাটা সুন্দর করে ঝেড়ে পরিষ্কার করার জন্য একটা মোমবাতি জ্বালালাম। বিছানাটা ঝাড়তে যাবো দেখি বিছানায় একগুচ্ছ কালো চুল পড়ে আছে। ভাবলাম উনাদেরই কারো হয়তো মেকিং চুল। সেটাকে টেবিলের এক কোণে রেখে দিলাম।

প্রস্সাব করার খুব দরকার। কিন্তু আমি জানিনা বাথরুমটা কোনদিকে আছে। মোমবাতি নিয়ে বাথরুম খোঁজছি। খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ অপারেশন রুমে চলে আসলাম। সাদা দুইটি ঝুলানো এপ্রোন দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম। তারপরও সাহস করে ভিতরে ঢুকে পড়লাম। মনে হলো স্ট্রেচার থেকে কেউ একজন লাফ দিয়ে চোখের আড়াল হয়ে গেলো। তখন সত্যি সত্যি অনেক ভয় পেয়ে গেলাম। তারাতারি ঐ রুম থেকে বের হয়ে এসে দরজার সিটকারী মেরে দিলাম। প্রস্সাব না করেই এসে শুয়ে পড়লাম।

ঘুমানোর চেষ্টা করছি। সাথে সাথে মনে মনে সূরা-কালাম পড়ছি। কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি খেয়াল নেই।

মাঝ রাতে হঠাৎ করে একটা খচখছানি আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আওয়াজটা হলো বিড়ালের টিনের বেরার মাঝে নখ দিয়ে খামছানোর মত। আমি চুপ করে শুয়ে রইলাম। শব্দের আওয়াজটা বুঝার চেষ্টা করছি এবং সাথে উৎসটাও। হঠাৎ আমার চোখ পড়লো আমার মাথার উপর একটা তক্তার মাঝে। আবছা আবছা অন্ধকারে বুঝা যাচ্ছে কিছু একটা ঝুলে ঝুলে নড়ছে আর সেখান থেকেই আওয়াজটা আসছে।

আমি ভয়ে ভয়ে হাত দিয়ে টর্চ লাইট টি খুঁজছি। এমন সময় আমার ঘরের দরজায় জোড়ে জোড়ে আওয়াজ আমাকে ডাকছে। আম্মার কন্ঠ না? আমি দৌড়ে গিয়ে দরজা খুললাম। আম্মা আমাকে জড়িয়ে ধরলো। জিজ্ঞেস করলো সব ঠিকতো। পিছনে তাকিয়ে দেখি ঐ দুইজন মিডওয়াইফ দাঁড়িয়ে আছি। উনারা হাসছে আর আম্মাকে বলছে আপা এগিয়ে দিয়ে আসতে হবে নাকি একা একা যেতে পারবেন।

আম্মা কিছু না বলে আমার হাত ধরে বললো এসো। আমি আম্মার সাথে সাথে হাটতেছি আর ভাবছি তক্তার মাঝে কি ঝুলছিলো? আর কেনইবা এতো রাতে আম্মা ছুটে আসলো? আর কেনইবা ঐ মহিলাদের হাসি মাখা প্রশ্নে আম্মা কিছু বললোনা?

চলবে.................
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১০
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×