হ্যারিসন ফোর্ড নিখোঁজ, ম্যাট ড্যামন কার এক্সিডেন্টে মারা গেছেনঃ হলিউড তারকাদের নিয়ে এমন অহরহ গুজব ছড়ায় প্রতিনিয়তই। কেউ কেউ আবার মিডিয়ার নজর কাড়ার জন্য এমন স্ট্যান্ডবাজির আশ্রয় নেয়। পপ সম্রাট মাইকেলের মৃত্যু নিয়েও শুরু হয়েছে কনস্পিরেসি থিওরির চর্চা। ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে রিহার্সালের প্রচন্ড চাপের কারনে প্যানিক এ্যাটাক হয়েছিলো মাইকেলের। অনেকের মতে সেটা ছিলো সবাইকে চমকে দেওয়ার জন্য একটা স্ট্যান্ট। তারই ধারাবাহিকতায় ইন্টারনেটের অলিগলিতে উঠছে সন্দেহের রব।
ডিজিটালস্পাই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে 'ও-টু' কনসার্টের মাধ্যমে মাইকেলের পক্ষে মিলিয়ন পাউন্ডের ঋণ মিটানো কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই তিনি সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিচয় নিতে যাচ্ছেন। যেমনটি তিনি এর আগেও বেশ কয়েকবার নিতে চেয়েছিলেন।
স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটারের একটি পোস্টে বলা হয়েছে, 'মিডিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কটা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছিলো। সে কারনেই এ পাতানো মৃত্যু।'
দ্য অনিয়ন সাইটের একটি স্পুফ নিউজকে কেন্দ্র করে যে গুজবটি ছড়ানো হয়েছে সেটা হলো- ন্যাভারলেন্ড রেনজে সম্প্রতি মাইকেলের গলিত শবদেহ পাওয়া গেছে। তিনি মারা গিয়েছিলেন ৪ বছর আগেই। এতোদিন মাইকেল সেজে অন্য কেউ ঘুরে বেড়িয়েছেন।
তবে এসবের বাইরেও ভাবিয়ে তোলার মতো বেশ কিছু বিতর্কও রয়েছে। মৃত্যুর সময় তার সঙ্গে ব্যাক্তিগত চিকিৎসক কোনরাড মারে ছিলেন। তারপরও কেন তিনি মাইকেলকে সাহায্য করতে পারলেন না। তাছাড়া মাইকেলের মৃত্যু নিশ্চিৎ করতে এতো সময় লাগলো কেন? কোনরাড পুলিশকে জানিয়েছেন মারা যাওয়ার আগে তিনি মাইকেলকে কোন ব্যাথানাশক ইনজেকশান দেননি।
যাই হোক না কেন, নতুন পরিচয় পাওয়ার জন্যই যদি এতো সব আয়োজন করা হয়ে থাকে, তাতেই বা কি! মাইকেল যদি আর মাইকেল না হন, সেটাওতো পপসম্রাটের আরেক মৃত্যু।
Click This Link