হুজুরদের নামের আগে আমরা যেভাবে,যতো সহজে তথাকথিত বা ভন্ড বিশেষণটি লাগিয়ে দেই,আর কারো নামের আগে তা লাগাতে পারি না।হুজুরদের পিন্ডি চটকানো সবচেয়ে সহজ।এর জন্য হুজুরদের নৈতিক-স্খলন কিছুটা দায়ি,কিছুটা তথাকথিত সুশীল সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি দায়ি।
আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে--আলেমরাও মানুষ,তারাও ভুল করবে।এটা স্বাভাবিক।ভুলের উর্দ্ধে কেউ না,একজন বাদে---নবী করিম (সঃ)।আলেম হয়েছে বলে সে ভুল করতে পারবে না ব্যাপারটা সেরকম না।
তাহলে আলেমরা ধর্ষন করলে সেটা কি মেনে নিতে হবে?ধর্ষনের মতো ঘটনা ঘটালে সে আর আলেম থাকে না--সে তখন হয়ে যায় ধর্ষনকারী।নেত্রী যখন বলে "সন্ত্রাসীর কোন দল নেই,তার একমাত্র পরিচয় সন্ত্রাসী"।তখন তো আমরা সবাই একযোগে হাত-তালি দিয়ে উঠি।তাহলে এখন কেন আমরা সেরকম ভাবতে পারছি না?
মাদ্রাসাতে ছাত্রদের মারধর করা হয়।মাদ্রাসাতে না পড়েও যথেষ্ট মারধর খাওয়ার ব্যাবস্থা ছিল ঢাকাতেই-আইডিয়াল,সেন্ট্রাল গভর্মেন্ট স্কুলে।এখন হয়তো আর মারধর করা হয় না।আর এদেশের ছেলেমেয়েরা এত দুষ্টু যে মারধর করলেও শিক্ষকদের খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না।তবে আমি লিমিট ছাড়া মারধর করার পক্ষে না। শাসন করা যেতে পারে।স্পেয়ার দ্যা রড,স্পয়েল দ্যা চাইল্ড।
আবার ধর্ষন প্রসঙ্গে ফিরে আসি।আলেম সমাজের বাইরে কি কেউ ধর্ষন করছে না।মাদ্রাসা পেরিফেরির বাইরে যত ধর্ষন হয়েছে তার তুলনায় হুজুরদের ধর্ষন হাতে গোনা কয়েকটা-৫/১০ টা।আর মাদ্রাসা চৌহদ্দির বাইরে ধর্ষন হচ্ছে হিসাব ছাড়া।
আমি হুজুরদের ধর্ষনের পক্ষে সাফাই গাইছি না।সাদা কাপড়ে দাগ একটু বেশীই দেখা যায়।হুজুররা সাধারনত ভালো মানুষ হয়,হুজুরদের কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশা বেশি থাকে,এজন্য তাদের ভুলটা চোখে বেশি পড়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১