somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার সন্তানকে কেন আমি সবচেয়ে গুরুত্ব দিব না?

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার সন্তানকে আমি সবচেয়ে গুরুত্ব দিব।কারন তারা আমার সন্তান।তাদের আমি ভালবাসি। আর এটাই স্বাভাবিক।স্বাভাবিক,স্বতস্ফুর্ত জিনিসের কোন কারন খোজা লাগে না।কারন খুজতে হয় যেখানে স্বার্থের ব্যাপার জড়িত থাকে,বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে,অর্থনীতির বিশ্লেষনে।
মা বাবাকে মাছের মাথাটা খেতে দেন।কারন বাবা উপার্জনকারি।সন্তান যখন উপার্জনকারী হবে তখন মা,তাকেও মাছের মাথা খেতে দিবে সন্দেহ নাই।কারন গৃহবধু যাদের কোন আয় নেই তারা ভরনপোষনের জন্য স্বামী,সন্তানের উপর নির্ভরশীল।এতে শ্রদ্ধার,মূল্যবোধের চেয়ে নিজের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভয়টাই প্রধান।বাবার ঘুমের সময় কথা না বলা বা তার অন্যায় কাজের প্রতিবাদ না করার কারনও ভয়।বাবা অর্থনৈতিক ও শারিরীকভাবে শক্তিশালী।প্রতিবাদ করলে উত্তম মধ্যম খাওয়া লাগতে পারে।এখানে ফ্যামিলি ডিসিপ্লিন বা নৈতিকতা চর্চার কোন ব্যাপার নেই।
দাদা দাদী বেড়াতে আসলে মা বাবার সুবিধা কমিয়ে দাদা দাদীর সুবিধা বাড়িয়ে দেন শ্রদ্ধা,ভালবাসার জন্য নয়।বরং দাদা তার সম্পত্তি তার ছেলেদের ভাগ করে দেননি বলে।মা যদি এতই তাদের ভালবাসে তাহলে শ্বশুর শাশুড়িকে নিজেদের সাথে থাকতে বলে না কেন?অনেক কর্মজীবি মহিলা অবশ্য শাশুড়িকে নিজের বাসায় রাখে---বাচ্চা পালনের জন্য।আসলে সবই মায়েদের হিসাবী সাপ লুডু খেলা।
কোন যোগ্যতা অর্জন ব্যাতিরেকেই সন্তানরা প্রথম শ্রেনীর সদস্য হয়ে যায়।কি যোগ্যতা চান তাদের কাছে--টাকা রোজগার?নিজের ভরনপোষনের নিশ্চয়তা?তাহলে বলব আপনার বাবা মা হওয়া উচিত হয়নি।আপনি মানসিক ভারসাম্যহীন।
নাকি নিজের কাজ নিজে করা--নিজের বাসন নিজে ধোয়া,নিজের কাপড় নিজে কাচা?আপনি নিজে নিজের কাজগুলো করেন?আপনার মতো দামড়ার কাজ করার জন্য তো মাস মাইনের আলাদা কাজের লোক রাখা লাগে।তাহলে আপনার এতটুকু সন্তান এগুলো কিভাবে, কেনইবা করবে।আপনার সন্তান আপনার শিশুবয়সের তুলনায় দশগুন পড়া লেখা করে,দশগুন কঠিন দুনিয়ায় তারা বসবাস করে।তাদের যদি ঘরে হাড়ি পাতিল মেজে খেতে হয় তাহলে ঘরে থাকার দরকার কি?এতিমখানা বা হোস্টেলে দিয়ে আসুন।
কোন যোগ্যতা অর্জন ব্যাতিরেকেই সন্তান প্রথম শ্রেনীর সদস্য হয়ে যায়।তখন সে আর যোগ্যতা অর্জন করতে চাইবে না।তা প্রথম শ্রেনীর সদস্য হয়ে যাওয়া আপনার সন্তানকে প্রথম শ্রেনীর কি কি সুবিধা দিয়েছেন?সবচেয়ে ভাল স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটিতে পড়ানোর ব্যাবস্থা করতে পেরেছেন?তাকে সৃজনশীল,সৃষ্টিশীল করার জন্য কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন।উন্নত বিশ্বের বাচ্চারা একটা মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট শিখে থাকে।আপনি শিখিয়েছেন সন্তানকে আর্ট,কালচার,সঙ্গিত,আবৃত্তি? মানসিক বিকাশের পাঠ্যবইয়ের বাইরে কয়টি আউটবুক কিনে দিয়েছেন।
আপনি আপনার সন্তানকে দিয়েছেন আসলে নূন্যতমটা কিন্তু বলছেন প্রথম শ্রেনীর সুবিধা দিয়েছেন(ভাষার ম্যারপ্যাচে বলা হয়েছে)।সন্তান যদি যোগ্যতা অর্জন না করতে না পারে সেই দায় সন্তানের নয়,সন্তানের বাবা মার।কারন গুড প্যারেন্টিং কি তা তারা জানে না।
সন্তান বাবা মার অবস্থান সম্বন্ধে যে ভুল ধারনা পায় তা বাবা মার কাছ থেকেই পায়।কারন বাবা মাও একে অপরের বা নিজেদের বাবা মা শ্বশুড় শাশুড়ি সমন্ধে যে সব অসম্মানজনক মন্তব্য করে সন্তান সেগুলো থেকে ভুল ধারনা পায়।সন্তান যেসব ভুল জিনিস শেখে তা তার বাবা মা কে দেখেই শেখে।বাবা মা সভ্য হলে সন্তান সভ্য হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%।
এই লেখা সম্পূর্ণ একপেশে।অপর পাশের লেখা পড়তে ফেসবুকে লক্ষ্য রাখুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×