তো একজন একজনকে পছন্দ করে। ওই একজনের আবার আরেকজনের সাথে প্রেম চলছে। সহজ করে বলি।
ধরি একজনের নাম পলাশ। আরেকজনের নাম দীপ্তি। অপরজনের নাম বিপুল। বিপুল আর দীপ্তির প্রেম চলছে। কিন্তু পলাশের জ্বলছে। পলাশ দীপ্তিকে পছন্দ করে। প্রেম করতে চায়। চায় দীপ্তিও তার প্রেমে সাড়া দিক। ছেড়ে দিক বিপুলকে। কিন্তু ব্যাপারটা তো জটিল আছে। কিন্তু এইসব গ্রামের চাচাতো মামাতো ছেলেমেয়েদের কাছে এগুলা যেনো পান্তাভাত। কে যেন পলাশকে বুদ্ধি দিলো কবিরাজি করতে। কবি রাজি মানে যে কবিতা লেখা না এটা মনে হয় মোটামুটি আমরা সবাই জানি। তাবিজ কবজ করবে আরকি! কবিরাজের কাছে গেছে পলাশ। হাজার পাঁচেক টাকা দিয়ে তাবিজ কিনসে পলাশ। দুইটা তাবিজ। তাবিজের এই ব্যাপারটাই ইন্টারেস্টিং আর কৌতুহলকর।
একটা তাবিজ কবরে পুততে হবে। নিশিরাতে কবরে। লাশের নাভী বরাবর মাটিতে অমাবস্যা রাতে পুততে হবে। বিষয়টা অনেকের কাছে ভীতির মতে শুনালেও পলাশের কাছে এটা সহজই হয়ে গিয়েছিল। ভালোবাসার জন্য এইটুক তেমন কিছুই না! এই তাবিজের কাজ হলো দীপ্তির মনে পলাশের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করা।
দ্বিতীয় তাবিজ পুততে হবে দীপ্তিদের চুলার পাশে। অনেক গ্রামের মতোই মাটির চুলা। যেখানে লাকড়ি, শুকনা পাতা টাতা দিয়ে রান্না হয়। এইটা কিন্তু সহজ বিষয় না। তো এইটার খুবই ইন্টারেস্টিং কাজ। চুলার আগুনের তাপ লাগবে তাবিজের গায়, আর বিপুলের প্রতি দীপ্তির জাগবে ঘৃণা। কীয়েক্টা অবস্থা।
পলাশ দুইটা তাবিজই পুততে পেরেছিল। তবে পলাশ সফল নাকি ব্যর্থ এটা জানাবো না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




