পাশবিকতার শিকার হয়েছে ৯ বছরের এক স্কুলছাত্রী। সে বড়লেখা উপজেলার ভট্টশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় ছাত্রীটির পিতা ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ভিকটিমের মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন করেছে।
উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভাটাউচি গ্রামের স্কুলছাত্রী (৯) পিতার সঙ্গে বাড়ির পাশের ঝিলে মাছ ধরতে যায়। গত ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের সময় হলে মেয়েকে রেখে পিতা মসজিদে চলে যান। এ সময় একই গ্রামের ছরকুম আলীর পাষণ্ড ছেলে জামাল উদ্দিন (২৪) স্কুলছাত্রীকে ঝোপের আড়ালে নিয়ে জোরপূর্বক পাশবিক নির্যাতন চালায়। পাশবিকতার শিকার আহত শিশু ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বিকালে পিতা-মাতা তাকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবুল কালাম জানান, ওই শিশু কন্যার শরীরের ধর্ষণের আলামত রয়েছে। বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মেয়েটির পিতা থানায় মামলা করেছেন।
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় শিশু ধর্ষণের ঘটনার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ধর্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে। এমনকি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোস মীমাংসা করে দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দেওয়া হচ্ছে।
লিংক: আমাদের সময়