আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সিম নিবন্ধনে বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে দ্বিতীয়। অনেকে কৌতহলী কে সেই বিশ্ব রেকর্ড করি দেশ ? সে দেশটি নাম পাকিস্তান। গেল বছর এপ্রিল ২০১৫ পর্যন্ত ছিল পুননিবন্ধন সময় । অথচ সন্ত্রাসের দিক দিয়ে এশিয়ার মধ্যে ভালো অবস্থানে আছে (সবাই জানে )।
আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন কতটা যোক্তিক আমদের দেশে ?
আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন আসলে একটা ডিজিটাল প্রক্রিয়ার পতিচ্ছবি। সরকারের এ উদ্ধুগ অনেকটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু এ কার্যক্রম আসলে জাতীয় পরিচয় প্রজেক্ট এ কাজে লাগালে মনে হয় আরো বেশি সাধুবাদ পেত । ফিঙ্গার প্রিন্ট একটা ইউনিক পার্সোনাল কোড যা কাজে লাগিয়ে অনেক কাজ করা সম্ভব। ডিজিটাল এ বিশ্বে অনেক কোম্পানি আছে ,যারা ব্যবহারকারী গুরুতপূর্ণ তথ্য বিক্রির মাধ্যমে উপার্জন করে থাকে। অনেক খ্যাতিসম্পন্ন কোম্পানি একাজ করে থাকে , লোক চক্ষুর অন্তরালে।
উন্নত দেশগুলুতে জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে যুক্ত করা হয়। এ তথ্য শুদুমাত্র নির্ধারিত কিছু সরকারী অফিসে ব্যবহারিত হয়ে থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে আদালতের অন্মুতিতে অন্য রা ব্যবহার করার অনুমতি পেয়ে থাকে।
আমাদের দেশে টেলিটক বাদে সবাই বিদেশী টেলিকম কোম্পানি। আমরা দেশীয় নাগরিক বিদেশী কোম্পানির কাছে নিবন্ধিত হব ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ! আর এটা সম্ভব ছিল , যখন আমাদের দেশে মজবুত তথ্য প্রযক্তি আইন থাকত। আমরা জন সাধারণ কার উপর ভরসা করব ? আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য বেচাকেনা হবে পানির দামে , আর আমরা ব্যবহার করব সিম কার্ড নিশ্চিন্তে ?
সরকারের কাছে আমার আবেদন হবে , আঙ্গুলের ছাপ ( ফিঙ্গার প্রিন্ট ) আগে আমাদের সকারের নথি পত্রে অন্তভুক্ত করা হোক। আমাদের দেশ ডিজিটাল হোক এটা আমাদের চাহিদা বাসনা কামনা , কিন্তু এর নেতিবাচক দিকগুলো আগেই বিবেচনায় আনলে দেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।
সংরক্ষিত ;
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫