আজকে প্রচন্ড বৃষ্টি। ঝুমধরা। এমন বৃষ্টি সচরাচর দেখা যায় না।বিশেষত উত্তর আমেরিকার এই শহরে। বাইরে কোথাও যাওয়ার নেই। তবুও ভাবলাম গাড়িটা নিয়ে বের হই। দুরে কোথাও হারিয়ে যাই। কিন্তু টিভিতে খেলা হচ্ছে। ময়নাকে বললাম-চল যাই কোথাও? এমন ভন্গি করল - মনে হল আমার চৌদ্দ পুরুষ পাগল। আসলে মনে মনে ঠিকই চাচ্ছে যেন আমি আরেকটু সাধাসাধি করি। আমি ভাব দেখালাম কিছুই বুজতে পারি নাই। ঘরের এসিটা একটু বাড়িয়ে দিলাম। একটু শীত শীত ভাব করে নেয়া আরকি। তারপর বসে গেলাম টিভির সামনে। মন থেকে উড়িয়ে দিলাম - আমার ছোটভাইটার ক্যানসার। যন্ত্রনায় ছটফট করছে সেই সুদুর বাংলাদেশে।
ভালবাসা জিনিসটা কি? হাজার হাজার বই লেখা আছে এটা নিয়ে। কিন্তু আমার ভাবনাটা একটু বেশি সাধারন। সাধারন এই ভাবে যে - কখন যে কার জন্য ভালবাসা লাগে এটা কেন আমরা বুঝি না? এমন হয় যে কখনও চোখ দিয়ে পানি চলে আসে এমন একজনের জন্য - যাকে হয়ত কখনও আমি দেখিনি। তবু তাকে আমি খুব ভালবাসি। মনে হয় কত আপনজন। উদাহরন দেই। কয়েকদিন আগে একটা খবর দেখলাম। বাংলাদেশের কোন এক গায়ে ছোট্ট একটা মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার জন্য পাশের বাড়ির লোকেরা হাত ও পায়ের আন্গুল গুলো থেতলে দিয়েছে। মেয়েটি ঐ বাড়িতে কাজ করত। খবরটা পড়ে - এত ভালবাসা হল মেয়েটির জন্য যে মনে হলো ওকে একটু আদর করে দেই। আমারওত একটা বাচ্চা আছে। আমার চিৎকার করে কাদঁতে ইচ্ছা হল।
পার্থিবটা খুব বেশি আগাচ্ছে না। কেন যেন বইটাতে মনে হচ্ছে অনেক বেশি চরিত্র। ধরে রাখতে পারছি না। এমন হতে পারে আমি বই পড়ার অভ্যাস হারিযে ফেলেছি।
বৃষ্টি এখনও থামেনি। ভেতরে আর বাইরে।
"একটা সময় ছিল মেঘেরা আকাশে আকাশে
ঘুরে বেড়াতো, আমি বলতাম, এই তো যৌবন।"

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


