কারন এই অপারেটর টি আমাদের অনেকে কেই জীবনে প্রথমবার মোবাইল ইউজ করার এবং কেনার অভিজ্ঞতা দিয়েছিল। আজ এই সিটিসেলের জীবনের শেষ প্রদীপ টিও নিভে যেতে চলেছে। খুব শিগ্রই ইতিহাস হয়ে যাবে সিটিসেল।
১৯৮৯ সালে লাইসেন্স নিয়ে ১৯৯৩ সালে কার্যক্রম শুরু করে সিটিসেল। শুরুর দিকে আকাশ ছোঁয়া কল রেট আর বিশাল আকৃতির সিমেন্স কোম্পানির সেট বাজারে ছাড়ে সিটিসেল। সিটিসেল বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সি ডি এম এ অপারেটর।
City মানে শহর আর cellular এর cell নিয়ে তৈরি হয় Citycell. মানে শহরের সেল ফোন। তখন বেশ অহংকার আর গর্ব নিয়ে এমন নাম করন করা হয়। শহুরে মানুষদের লাইফ স্টাইলে যুক্ত হয়ে ধন্য হয়েছিল সিটিসেল। তখন বিজ্ঞাপন গুলিও ছিল শহুরে সাহবে মেম কিংবা বিদেশী ললনাদের নিয়ে। আমার ৯৭ সালে এই এদের কার্যক্রম ঢাকায় দেখার সুযোগ হয়। একসময় আমার কাছে খুব লোভনীয় চাকরি ছিল সিটিসেল এর কাস্টমার কেয়াররের চাকরি। কপাল গুনে খুব কাছ থেকে চাকরিটা আমি পাইনি।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সেই সিটিসেল আজ শেষ। শহুরে মানুষ কবেই ছুড়ে ফেলেছে তাকে। শেষের দিকে নায়িকা পূর্ণিমা কে দিয়ে গ্রামীণ পটভূমি তে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল সিটিসেল। মানে শহর থেকে আস্তে আস্তে গ্রামের মানুষের কাছে থাকার চেষ্টা করল, তবুও পারল না সিটিসেল। অন্যদিকে গ্রামের ফোন গ্রামীণ ফোন এখন পুরো দেশ দাপিয়ে বেড়ায়, কি শহর কি গ্রাম।
আমি প্রথম যে ফোনটি এক জনকে ব্যাবসা করার জন্য কিনে দিয়েছিলাম সেটা সিটিসেল ছিল এবং এখনো আমি একটা সিটিসেল ইউজ করি। যদিও বছর খানেক হল রিচারজ করা হয় না। আমার মিসেস ঐটাকে এলারম দেবার কাজে ব্যাবহার করে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪২