আজ আমার নেতা ক্যাপ্টেন এম.মনসুর আলীকে স্মরন করছি।
আজ ৩রা নভেম্বর। জেলা হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালে এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় যে ৪ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তার মধ্যে একজন সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের কৃতি সন্তান ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। ঘাকতদের বুলেটের আঘাতে এই মহান নেতার মৃত্যু হলেও সবার মাঝে আজও তিনি বেঁচে আছেন তার বনার্ঢ্য কর্মময় জীবনের কারনে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ক্যাপ্টেন এম.মনসুর আলী ১৬ জানুয়ারী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুড়িপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন । সিরাজগঞ্জ বি.এল স্কুল থেকে এস.এস.সি, পাবনা এ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচ.এস.সি, কলকাতা ইসলামীয়া কলেজ থেকে বি.এ এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ ও ল’ পাশ করেন।
১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত পাবনা জেলা মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি ও একই সঙ্গে লীগের গার্ড বাহিনীর পাবনা জেলা শাখার ক্যাপ্টেন এর দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় থেকেই তিনি ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী নামে পরিচিত। পরবর্তীতে ১৯৫১-তে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনে বৃহত্তর পাবনা জেলার নেতৃত্ব প্রদান করায় কারানির্যাতন ভোগ করেন। তার বনার্ঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং ১৯৭১ সালে মুজিবনগরে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। আর এই দায়িত্ব পালন কালে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ এলাকার সার্বিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখেন। তবে এই মহান নেতার জন্মস্থান কুড়ি পাড়াতে হয়নি কোন অবকাঠামোগত উন্নায়ন। এই নেতার বাড়ির সামনে গেলে বুঝার উপায় নেই যে এটা বাংলার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এম মনসুর আলীর বাড়ী। বিগত তিন প্রজন্ম ধরে কাজিপুরের সংসদীয় আসনে রাজকরে যাচ্ছে মনসুর আলীর পরিবার অথচ এই নেতার গ্রামের বাড়িতে উন্নায়ন বা স্মৃতি ধওে রাখার উদ্যেগ নেয়নি তার পরিবার। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর পরে এ্ই আসনে সাংসদ নির্বাচন হয় তার সন্তান মোহাম্মদ নাসিম এবং তার পরে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে এবং মনসুর আলীর নাতি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। মনসুর আলীর জন্ম ভুমিতে মহান এই নেতার স্মৃতি আগামী প্রজম্নের কাছে তুলে ধরতে তার জন্মভুমিতে একটি জাদুঘর, স্মৃতি পাঠাগারসহ স্মৃতি চিহ্ন তৈরী করার পাশাপশি সরকারের কাছে দ্রুত এই বর্বরোচিত হত্যা কান্ডের বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি এলাকাবাসীর এবং তরুন প্রজন্মের।
এই হত্যা কান্ডের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যেমে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় ৪ নেতার স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানালেন সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও শহীদ এম. মনসুর আলীর নাতী, প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয়। তবে যৌথপরিবারের কারনে কুড়িপাড়াতে কোন কিছু করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে তিনি জানান। ধানমন্ডিতে এম মুনসুর আলীর করা বাড়িতে স্মৃতি ধরে রাখার জন্য কিছু করার পরিকল্পনা গ্রহন করার আশ্বাষ দেন তরুন এই সাংসদ।
জাতীয় এই চার নেতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের পাশাপাশি দেশের জন্য আতœত্যাগকারী মহান এই নেতার স্মুতি বিজরিত বাড়ীটি সংরক্ষনের পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের জন্য জাদুঘর ও পাঠাগার নির্মানসহ নানা স্মৃতি চিহ্ন গড়ে তুলতে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই দাবী এলাকাবাসীর।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন