সিটির গবেষণা প্রতিবেদন
জিডিপি বৃদ্ধির ১১ দেশের
মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ
এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আগামী চার দশক ব্যাপক মাত্রায় প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এর মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার পরিবর্তে ২০৫০ সালে বিশ্ব অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে পরিণত হবে এশিয়া। এতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে ১১টি দেশ। এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিটি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিটি ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ব অর্থনীতি ও এর প্রসার নিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি সিটি ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতির স্বরূপ কেমন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটির শিরোনাম হচ্ছে, ‘উদয়ীমান বাজার ও ব্রিককে (ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন ও ভারত) ছাড়িয়ে যাবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির সহায়ক দেশগুলো’(Global Growth Generators: Moving beyond ‘Emerging Merkets and ‘BRIC’)। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ৪০ বছর বিশ্ব অর্থনীতির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিশ্ব জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। এর পর ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্ব জিডিপির বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হারে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালে বিশ্ব জিডিপির অংক দাঁড়াবে ৩৮০ ট্রিলিয়ন ডলারে। এখন বিশ্ব জিডিপি হচ্ছে ৭২ ট্রিলিয়ন ডলার।
সিটি ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিটি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ২২টি দেশে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ৩৯০ জন বিশেষজ্ঞ কর্মরত আছেন। বিশ্ববাজারের অন্তত ৯০ ভাগ এলাকার ব্যবসা-বাণিজের নানা দিক নিয়ে এ সংস্থা সূচক প্রকাশ করে থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের বাজার, ভোক্তার চাহিদা, ক্রয়-বিক্রয়সহ বিভিন্ন ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান খ্যাতি অর্জন করেছে। সিটি গ্রুপের অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সিটি ফিন্যান্সিয়াল, সিটি মর্টগেজ, সিটি কার্ড ইত্যাদি।
আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে বিভিন্ন দেশকে নানাভাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে জি-৮, উদয়ীমান বাজারে অন্তর্ভুক্ত দেশ, উন্নয়নশীল রাষ্ট্র, ব্রিক, নেক্সট ইলেভেন, গ্রোথ মার্কেট (এতে ব্রিকের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে মেক্সিকো,দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়াকে)ইত্যাদি। সিটি গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী চার দশকে এসব ধারাকে পেছনে ফেলে ৩-জিভুক্ত ১১টি দেশ এগিয়ে যাবে। বিষয়টির নিয়ে সিটি ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ হাজির করেছে ব্যাপক তথ্য-উপাত্ত।
গবেষণা প্রতিবেদনে গ্লোবাল গ্রোথ জেনারেটরসকে ৩-জি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এতে অন্তর্ভুক্ত ১১টি দেশের তালিকায় এক নম্বরে আছে বাংলাদেশ। অন্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- চীন, মিসর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, মঙ্গোলিয়া, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনাম। সাম্প্রতিক জিডিপির প্রবণতা, বৈদেশিক বিনিয়োগের সূচক, মাথাপিছু জিডিপির হার, আমদানি-রপ্তানির ধরনসহ বিভিন্ন বিষয় বিশেষণের মাধ্যমে ওই দেশগুলোকে ৩-জিতে যুক্ত করা হয়েছে। তবে সংশিষ্ট দেশগুলোর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যথাযথ ভূমিকা পালন না করলে এ অগ্রযাত্রা ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া সরকারি নীতিমালার ওপরও জোর দেওয়া হয়। অন্যথায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষে দেশগুলো পৌঁছাতে পারবে না। এর পরও প্রবৃদ্ধি বাড়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় সংকট তৈরি করতে পারে। ওই সময় দেশগুলোর বাজারের পরিসর সম্প্রসারণের পাশাপাশি হঠাৎ করে সংকুচিত হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগও সমস্যা তৈরি করতে পারে। প্রসঙ্গত, ৩-জিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরাকের নামও রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, বর্তমান যুদ্ধাবস্থা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটি। প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য্য থাকায়, যুদ্ধের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারলে ওই দেশও নিকট ভবিষ্যতে সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩-জি ছাড়াও এশিয়া-আফ্রিকা মহাদেশের আরও বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তাৎপর্যপূর্ণ মাত্রায় প্রবৃদ্ধি বাড়বে। একইভাবে দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধির হার হবে ইতিবাচক। এতে বলা হয়, চীনের প্রবৃদ্ধি বর্তমান গতিতে এগুতে থাকলে ২০২০ সাল নাগাদ ওই দেশ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। ভারতের ব্যাপারেও দেওয়া হয়েছে চমকপ্রদ পূর্বাভাষ। বিভিন্ন তথ্য বিশেষণ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সালে চীনকে পেছনে ফেলে ভারত বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষস্থানে পৌঁছে যাবে। একাধিক দারিদ্র দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ব্যাপারে বেশ জোর দেওয়া হয় ওই গবেষণায়। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে কর্মক্ষম জনশক্তিকে উলেখ করা হয়। তাছাড়া এই জনসংখ্যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সস্তা শ্রম। এসব উপাদান কাজে লাগিয়ে ওই দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি দ্রুতহারে বাড়তে পারে।
৩-জিভুক্ত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বাড়ার সহায়ক হিসেবে ছয়টি বিষয়ের ওপর প্রতিবেদনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তা হলো- ১. সংশিষ্ট দেশের অভ্যন্তরীণ সঞ্চয়ের পরিমাণ ২. কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ৩. স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ৪. শিক্ষা ৫. সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান ও নীতিমালা প্রণয়ন ৬. বাজার উদারীকরণ। এতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, ২০৫০ সাল পর্যন্ত ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হারে দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে। মাথাপিছু জিডিপির ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান এখন বিশ্বে ৫৮। যদিও ৩-জির ১১টি দেশের মধ্যে এই হার সর্বনিম্ন। ২০১০ সালের হিসাবে, এই দেশের মাথাপিছু জিডিপি হচ্ছে এক হাজার ৭৩৬ ডলার। এই হার যুক্তারাষ্ট্রের মাধাপিছু জিডিপির মাত্র চার শতাংশের সমপরিমাণ। বিশ্ববাজারের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজারের লেনদেনের দিকেও বাংলাদেশের অবস্থান সন্তোষজনক নয়। এর পরও দেশটির সম্ভাবনার সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হচ্ছে এর বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। গতবছর এ দেশের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ছিল নয় কোটি ৩০ লাখ। ২০৫০ সালে এই সংখ্যা ১৩ কোটি ৬০ লাখে দাঁড়াবে। যা হবে মোট জনসংখ্যার ৫৯ শতাংশ।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের আর্থ-সামজিক সূচকের অবস্থা বেশ দুর্বল। সম্প্রতি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে এই দেশ বেশ উন্নতি করেছে। যা অর্থনীতির ক্ষেত্রে বেশ ইতিবাচক। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এই দেশ দারুণ সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। আর তা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার ওপর আরও জোর দিতে হবে। এছাড়া বাড়াতে হবে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগত মান। তবে আশঙ্কার দিকও আছে। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এর জের ধরে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত বিশালসংখ্যক মানুষকে স্থানান্তরিত করার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বন্যা ও সমুদ্রের পানি ঠেকাতে ব্যাপক অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন হতে পারে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এ দেশের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি বাড়ার হার। প্রাকৃতিক দুর্যোগও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাপক পরিমাণে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে বাংলাদেশ। তবে এর জন্য নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা ও নীতিমালা যথাযথ হতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যতেও বজায় রাখতে হবে চলমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকার দেশগুলোতে ২০৫০ সাল পর্যন্ত সাত শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে। একই সময় এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উন্নত বিশ্ব হিসেবে খ্যাত পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে ওই সময় প্রবৃদ্ধির হার নিম্নগামী হবে। প্রতিবেদনে বিভিন্ন মহাদেশের ৫৮টি দেশের জিডিপি বিশেষণ করা হয়েছে। এশীয় দেশগুলোর ব্যাপারে এতে বলা হয়, ২০১০ সালে বিশ্ব জিডিপিতে এ অঞ্চলের অবদান ছিল ২৭ শতাংশ। অথচ ১৯৯০ সালে তা ছিল ১৪ শতাংশে। ১৯৭০ সালে ছিল নয় শতাংশ। অন্যদিকে ২০৩০ সালে বিশ্ব জিডিপিতে এশিয়ার অবদান হবে ৪৪ শতাংশ। ২০৫০ সালে তা ৪৯ শতাংশে পৌঁছতে পারে। একই সময় পশ্চিম ইউরোপের পরিস্থিতি নিয়েও ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ১৯৫০ সালে বিশ্ব জিডিপিতে ওই অঞ্চলের অবদান ছিল ২৮ শতাংশ। ২০ বছর পর ১৯৭০ সালেও এই অবস্থা অপরিবর্তনীয় ছিল। ১৯৯০ সালে তা কমে ২৪ শতাংশে পৌঁছে। ২০১০ সালে এই পরিস্থিতির আরও অবনমন হয়। ওই বছর বিশ্ব জিডিপিতে ইউরোপের অবদান ১৯ শতাংশে দাঁড়ায়। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালে এর অবয়ব কমে ১১ শতাংশে পৌঁছবে। ২০৫০ সালে এর পরিধি হতে পারে সাত শতাংশে। একই উদাহরণ প্রযোজ্য হবে উত্তর আমেরিকার ক্ষেত্রেও। ১৯৫০ সালে বিশ্ব জিডিপিতে ওই মহাদেশের অবদান ছিল ২৯ শতাংশ। ১৯৭০ সালে তা কমে হয় ২৬ শতাংশ। ১৯৯০ সালে ২৫ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ২২ শতাংশে নেমে আসে। গবেষণার প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালে তা আরও কমে ১৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে। আর ২০৫০ সালে তা নেমে আসতে পারে ১১ শতাংশে।
উপরোলেখিত ভবিষ্যতদ্বানী যদি ফলে যায়, তাহলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। পরিবর্তন হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতির মূলকেন্দ্রও। এ ব্যাপারে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের অধ্যাপক ডান্নি কুয়ার বিশেষণ এখানে নিয়ে আসা যেতে পারে। সম্প্রতি এক নিবন্ধে তিনি বলেছেন, ‘১৯৮০ আটলান্টিকের মধ্য অঞ্চল ছিল বিশ্ব বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে তা চীন ও পূর্ব এশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে চীন ও ভারত হবে আন্তর্জাতিক অর্থবাজারের মূলকেন্দ্র।
এবার বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা যাক। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে চীনা জিডিপির ৪৬ শতাংশ জুড়ে ছিল বিনিয়োগ। ভারতের ক্ষেত্রে এই হার হচ্ছে ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ওই দুই দেশের জিডিপির ১৫ শতাংশ ছিল বিনিয়োগে। একই বছর শুধুমাত্র এশিয়ার অর্থনৈতিক বর্ধনশীল দেশগুলোর বিনিয়োগ ব্যয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে অতিক্রম করেছে। ভোক্তা পরিস্থিতির দিকেও এশিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে ইউরোপের ভোক্তাদের পেছনে ফেলে দিতে পারে এশিয়ার ভোক্তারা। আগামী দু-এক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও এ অঞ্চলের পেছনে পড়ে যেতে পারে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সংখ্যা বাড়ার কারণে এ অবস্থার সূত্রপাত বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উলেখ করা হয়। চীন ও ভারতে বার্ষিক ১০ হাজার ডলার বা সাত লাখ টাকা আয় করতে পারে এমন পরিবারের সংখ্যা প্রচুর বেড়েছে। এ দুই দেশে এ ধরনের পরিবারের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। এ দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চলতি বছর দেশুলো ছাড়িয়ে যেতে পারে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পশ্চিম ইউরোপও এ ক্ষেত্রে দু’দেশের পেছনে পড়ে যেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:০১