সময়টা অক্টোবরের শুরুর দিকে। বছরটা উল্লেখ করছি না। কোন এক ফ্রেন্ডের বার্থডেতে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য বার্থডে কেক কিনতে গিয়েছিলাম কোথাও। বুঝতে পারিনি সারপ্রাইজটা আমিই পাবো।
চুলগুলো তখনও ভেজা ছিল। ফোটায় ফোটায় পানি ঝরছে। একটা তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে বের হওয়া। পরনে... লাল... উঁহু গোলাপি একটা জামা। অসম্ভব পবিত্র লাগছিল সেদিন।
বেশ কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে ছিলাম। চোখ সরাতে কষ্ট হচ্ছিল।
কিন্তু শুধু শুধু তো আর তাকিয়ে থাকা যায় না। তাই এইসেই-অমুকতমুক বলা শুরু করে দিলাম।
উদ্দেশ্য একটাই একটু বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা। উদ্দেশ্য সফল হয়েছিলও বটে।
তবে সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজটা তখনও অপেক্ষা করছে।
লম্বা কাহিনী। একটু ছোট করেই বলি।
কনফিউশনে পড়ে গেলাম। ভালোলাগা নাকি ভালবাসা?
বুঝলাম সেটাও। প্রবলেম সলভড।
না না। এটা সারপ্রাইজ ছিল না।
সারপ্রাইজটা আরেকটু পর।
প্রবলেম তখন আরেকটা দাঁড়িয়ে গেল।
বুঝতে পারছিলাম না কি করে বলবো। ফেস টু ফেস বলার মতো সাহস তখনও হয়নি।
কি করি?
কি আর? "ফেস"বুক আছে না?
বলে দিলাম সেখানেই।
সারপ্রাইজ এটাও না।
তাহলে কোনটা?
শালার! রিজেক্ট মেরে দিলো।
কুত্তা!!!
নারে ভাই। এটাও সারপ্রাইজ না।
ঠিক রিজেক্টও বলবো না। হ্যা-না কোন উত্তরই পেলাম না। তাই নিজেকে ওর থেকে একটু দূরে সরিয়ে নিলাম।
যোগাযোগ একদম বন্ধ হয়ে গেল। কথাবার্তা, দেখা কিছুই আর হত না। সব বন্ধ। সব শেষ।
হঠাৎ দুইবছর পর তাকে ফিরে পেলাম। এবার সে নিজে থেকেই এলো।
এটাই সারপ্রাইজ?
উঁহু!
তবে হ্যা! সে আসলো আর আমি তাকে সাথে সাথেই গ্রহণ করলাম- তাই কি হয়? কষ্ট কি কম দিয়েছে?
পাক্কা দুইবছর পেইন সহ্য করেছি। যদিও প্রকাশ করিনি কখনো। এটা আমার বিশেষত্ব। কষ্ট চেপে রাখতে পারা।
যাকগে, যা বলছি। এবার আমার পালা। নানান টালবাহানা শুরু করে দিলাম।
আমিতো অমুক মেয়ের প্রতি ক্রাশড, তমুক মেয়েকে বেশি পছন্দ, এখন আর আগের মতো ফিল করি না ইত্যাদি হাবিজাবি-জাবিহাবি।
এরপর?
বেহায়া মেয়ে!! এখনো আছে।
এটাই সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ।
কেউ একজন বলছিল, "তুই থেকে তুমি হয়ে ওঠা সম্পর্কগুলো একটু বেশিই কিউট।"
আসলেই তাই।
পাশে থাকবি... থুক্কু.. থাকবে তো সবসময়?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫২