ঈদ বা যে কোন সামাজিক উৎসব মানুষের মাঝে বিদ্যমান শ্রেনী বিভেদ অারো বেশী স্পষ্ট করে।
কোটি কোটি মানুষ সারা বছর এক বেলা এক মুঠো খাবার জুটাতে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে । নিম্ম মধ্য বিত্তের মানুষ হিসেবের খাতা লিখে লিখে কোন মতে সপ্তা মাস পাড় করে। জীবনের এমন নির্মম উপহাস যখন চলতে থাকে ঠিক তখনি শহরে ,গ্রামে ও গজ্ঞে আলোক উৎসব অার সরগরম বিপনী বিতান গুলো জানান দেয় ঈদ নামক সামাজিক উৎসবের।
গনমাধ্যম গুলো হাকঢাক দিয়ে সেই বিপনী বিতান , চোখ ধাধানো হাজারো লাইফ ষ্টাইল পন্যের প্রচারে লেগে যায়। সংবাদে যারা বিক্রেতা তারা বলছেন বেচা বিক্রি ভালো , অার ক্রেতা যে বয়ষেরই হোক না কেন বলছে ২টা ৩টা এটা ওটা কিনেছি আর মাত্র এই কটা আইটেম বাকি আছে।
এমন সংবাদের আড়ালে থেকে যায় সেই হাজারো দরিদ্র পরিবারের চোখের জল , যারা সন্তানের গায়ে একটা যেমনি হওক নতুন জামা জড়িয়ে দিতে না পেরে সারা দিন রাত সন্তানের চোখের আড়ালে হাহকার করে আর অশ্রু সিক্ত হয়।
পাশের বাড়ির সচ্ছল পরিবারের সম-বয়সী মানুষটার গায়ে জড়ানো দামি পোশাক আর লোবান দরিদ্র মানুষটা কে যে কতটুকু নির্মম আঘাত করলো তার হিসেব কারোই যানা নেই।
পথে ঘাটে বসবাসকারী অগনিত মানুষ আর দিনান্তের জন্য যারা জিবন যাপন করে তারা তাদের ভাগ্যের এমন কষ্ট; স্রষ্টার তথা -কথিত ধ্বনি গরিবের ব্যাবধানের লীলাখেলা বুঝেই কোন মতে পৃথিবির জিবনটা যুদ্ধ করে কাটাতে এমনটা ধরেই দিয়েছে।
তারপর যখন স্রষ্টার আরো লীলা দেখাতে নেমে আসে নানা উৎসব তখন সেই মানুষগুলোর যে কি কষ্ট তা নিজের জিবনে আর আশে পাশের হাজারো মানুষদের দেখেছি; তা হয়েতো ভাষায় প্রকাশ না করে স্রষ্টার উপহাস বলাই ভালো।
মানুষের জন্য আরোপিত কিছু কষ্ট প্রদানকারি এসব উৎসব অামি মনে প্রানে অপছন্দ করি ।
তার পর ও যারা উৎসবের আয়োজন সেরেছেন তাদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা ।