somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: দানব

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইকরাম মিয়া সিগারেট শেষ করে সশব্দে পাশের রাস্তায় থুতু ফেলল। গলার ভেতরটা শুকিয়ে আমসি। একটু পানি খাওয়ার জন্যে এদিক ওদিক তাকালো সে। মোড়ে চায়ের দোকানের পাশে বড় একটা ফিল্টারের গায়ে হেমন্তের নাতিশীতোষ্ণ রোদ প্রতিফলিত হচ্ছে। রোদের কারুকার্য দেখে সময় নষ্ট না করে সেদিকে হাটা দিল সে। ডিউটি শুরু হতে এখনও কিছুটা বাকী আছে। তাই কি করবে সে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না। ময়লা ড্রেনের পাশে নাম না জানা পোকাগুলোর অবিরাম অত্যাচারী সঙ্গীতে কটকটে রোদের আবহাওয়া অসহনীয় লাগছে তার কাছে। একটু পানির জন্যে এত আকুঁপাকু করতে হচ্ছে ভেবেই ইকরাম মিয়ার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। একটাকার ফিল্টার পানি খেতে গিয়ে শার্টে ফেলে দিল সে কিছুটা। নিজেকে যখন বেশ কিছু গালি দিতে প্রস্তুত সে তখনই পুরাতন হিন্দি গানের সুরে মোবাইলটা বেজে উঠল। আশেপাশের চা সিগারেট পান খেতে থাকা লোকগুলো সবাই শব্দের উৎসের দিকে ফিরে থাকাল। কিছুক্ষণ সেই গানের সুর সবাইকে বিতড়ন করে তারপর মুখে একটা বিরক্তি মেশানো ভাড়িক্কি ভাব বজায় রেখে এবং মনে একটা হালকা হাসি মিশ্রিত গর্ব লুকিয়ে রেখে, ফোনটা বের করল সে। নোকিয়া কোম্পানীর ফোনে ঝিকমিক আলো আর একটা লেজের অলংকার লাগানো আছে। স্ক্রীণের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তারপর ফোনটা রিসিভ করল সে
"সালামালিকুম, কেডা?"
"আরে আমি হামিদা, আফনে এট্টু বাসায় আসেন"
"আমার ডিউটি আছে"
"আসেন কইতাছি, কাম আছে"
কৃত্রিম বিরক্তির মুখোশ ঝেড়ে ফেলে ইকরাম মিয়া সত্যিকার অর্থেই বিরক্ত হল। এই বউজাত টা কখোনোই সমাজ সংসার বুঝে না। তাদের প্রয়োজন গুলো কতটা আজেবাজে সেটা বোঝার ক্ষমতা খোদা তাদের দেয় নাই। ছোটখাট বিষয় নিয়ে লাফানোর স্বভাব তাদের। ইকরাম মিয়া বিরক্তিতে আবার একদলা থুতু ফেলল।

"হইছেটা কি?"
হামিদা কোন জবাব না দিয়ে ফ্যাচফ্যাচ করে কাদতে লাগল। হলুদ শাড়িটার ময়লা আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে লাগল আর হেচকি তুলতে লাগল থেকে থেকে। ইকরাম মিয়া যথেষ্ঠ বিরক্ত হল। তাছাড়া এখন হামিদার কাজে থাকার কথা। মোড়ের ঐপাশের টেইলার্সে সে সহকারী হিসেবে কাজ করে। টাকা পয়সা তেমন একটা পায় না। বুড়া জামাল টেইলার খুবই ধান্ধাবাজ লোক। আর বিশাল কৃপন। তার পকেট থেকে টাকা বের করা খুবই কঠিন। অবশ্য ইকরাম মিয়ার বেশী মাথাব্যথা নেই তাতে। রোজগার তো সে করছেই। ঘরে বসে থেকে গতরে মাংস লাগানোর থেকে যদি গতর খাটিয়ে দুইটা পয়সা পাওয়া যায় তাতে খারাপ কি?
"কওতো কি হইছে? আজাইরা ফ্যাচ ফ্যাচ কইরা কানবা না, মাইয়া লোকের কান্দন দেখলে গা জ্বলে"
হামিদা ইকরাম মিয়ার বিরক্তিতে বিশেষ কর্ণপাত না করে কান্নার বেগ আরো বাড়িয়ে দিল।ওর সারা শরীরে থেকে ফুলে উঠতে লাগল। ইকরাম মিয়া ধৈর্য রাখতে না পেরে হামিদার কাধ ধরে ঝাকি দিয়ে বলল
"আরে কি কইবা কওতো। আমার ডিউটি আছে"
নানারকম আনুনাসিক হেচকি এবং শব্দের ফাঁকে ফাঁকে বেড়িয়ে আসা শব্দগুলোকে সাজিয়ে ইকরাম যা পাঠোদ্ধার করল সেটা হচ্ছে, হামিদা নীচু হয়ে কাপড় কাটছিল। হঠাৎ শাড়ির আচল পরে যায় বাতাস বা কোন এক কারনে। জামাল টেইলর সেই সুযোগে হামিদার স্তন, পাছায় হাত দিয়েছে। জোর করে জড়িয়ে ধরেছে ইত্যাদি।

একসাথে অনেকগুলো অনুভুতির আক্রমনে ইকরাম মিয়া দিশেহারা বোধ করল। সে রেগে যাবে না ডান্ডা নিয়ে বেড়িয়ে পরবে ইত্যাদি না না সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে মস্তিস্কের লাগাম হারিয়ে ফেলল। এই অনিয়ন্ত্রিত চেতনার অবস্থায় হয়ত তার মুখ খোলা উচিৎ হয় নাই, কিন্তু অনুভুতি প্রকাশের জন্যে তার জিহ্বা বুনো ঘোড়ার মত তড়পাতে লাগল এবং কি বলছে সেটা না ভেবেই মুখ খুলল
"জামাইল্যা বুড়ারে দেইখা নিমুনে, তুই কিসের লাইগা ঐ বুড়ার কাছে কাম করবার যাস বুঝি না। বুইড়া ভাম। তার ন্যাতাইনা রসে পাইছে। তরে কইছে কে ঐ ব্যাটার কাছে যাইতে , ট্যাহা না দেখলে মাথা ঠিক না ? আমি দুইবেলা খাইটা কি রোজগার করি না? তুই দুই দিন পরপর স্নো পাউডার কিনস, শালী তুই গেছস ক্যান কাজ করতে!"
এই সময়টাতে ইকরাম নিজের জিহ্বার উপর নিয়ন্ত্রন আরো একটু হারিয়ে ফেলে বেসামাল হয়ে যায়, এবং কি বলছে সেই বোধ সম্পুর্ন লুপ্ত হয়। মুখ থেকে নি:সৃত শব্দ নিজে শুনতে পায় না ইকরাম। তবে কান্নার পর্যায়ক্রমিক আবর্তের মাঝ হামিদা শুনতে পায় তার স্বামীর ক্রমাগত দানব হয়ে উঠা মুখভঙ্গীর শব্দ গুলো
"তরে বুরকা পরতে কইছিলাম, শালী রং কইরা শাড়ি পইরা যাস। আচল দিয়া বুক ঢাকস না। মরদ মাইনসের সামনে আচল ফেলাইয়া দেস। এখন কান্দন ধরছস। বেশ্যা মাগী তোর দুধ দেখানোর এত শখ আইজ আমি বাইর করুম। আমি সারাদিন খাইয়া না খাইয়া দুইটা খাওন জোগাড় করি আর তুই বুইড়ারে দুধ দেখাইয়া বেড়াস, তর রস আমি আইজ চুলায় জ্বাল দিয়া কুত্তারে খাওয়ামু"
ইকরাম কে হামিদার মনে হয় অত্যন্ত উচু কোন মুর্তি। ইকরামের মাথা যেন ঘরে দেয়াল ফুড়ে সুর্য কেও নিভিয়ে দিয়েছে। দানবের মত তার হাত পা লম্বা হচ্ছে আর সেখানে গজাচ্ছে ধান গাছের মত লম্বা লোম। তার নি:শ্বাসে আগুন ঠিকরে ঠিকরে বেড় হচ্ছে। হামিদা সেই অসুর শক্তির সামনে কুঁকড়ে অপুষ্ট মানব ভ্রুণের মত ক্ষুদ্র হয়ে যায়।
ইকরাম একহাতে একটা হাতপাখা তুলে নেয় আর অন্যহাতে হামিদা কে ধরে। হামিদার দেহ থেকে স্পন্দন শোনা যায় না। ইকরামের মনে হয় একতাল কাদার পিন্ডকে সে ধরে রেখেছে। সেই নির্জীব কাদার পিন্ডের চারপাশের বাতাস যেন ইকরামের দানব শরীরের ভয়ে পালিয়ে যায়। ইকরাম টান দিয়ে হামিদার ব্লাউজ ছিড়ে ফেলে। হাতপাখার হাতল দিয়ে ক্রমাগত হামিদার স্তনে আঘাত করতে থাকে আর পশুর মত গোঙ্গাতে থাকে
"আইজকা তোর দুধ আমি কাইটা ফেলমু ছিনাল মাগী!"
হামিদার শ্যামলা স্তনে রাজ্যের রক্তরা ভিড় করে এই দানবকে দেখতে। শ্যামলা মসৃন ত্বক লালাভ হয়ে আসে। হামিদার কান্নার শব্দ শোনা যায় না। ইকরাম যখন হামিদাকে ছেড়ে দেয় তখন সিমেন্টের বস্তার মত হামিদা মেঝেতে পড়ে যায়।

হামিদার কান্না শুনতে পায় না ইকরাম। হামিদার শরীরও নিথর। শুধু ভোতা একটা শব্দ ইকরাম শুনতে পায়। যেন হামিদার শরীরের ভেতর কেউ বালিশ চাপা দিয়ে ছেনি হাতুড়ি মেরেই যাচ্ছে। মাটির গভীরে গোপনে চলছে ভাঙ্গন। শতাব্দীর পর শতাব্দী কষ্টরা রঙ্গের বাক্সের নানা রং ধারন করে হামিদার শরীরের গভীরে সুড়ঙ্গ খুড়ে যাচ্ছে। যদি হামিদার শরীরে সামান্য কোন সুখ লুকিয়ে থাকে সেটাও কুপ খনন করে বিদেশে রপ্তানী করে দিবে তারা। ইকরাম হঠাৎ ই এই ভাঙ্গনের শব্দ শুনতে পায়। শুনতে পায় এই ভাঙ্গার শব্দ ফোয়ারার মত চারদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে আর ইকরাম আপাদমস্তক ভিজে যাচ্ছে সেই শব্দে। ইকরাম তার শরীরের সকল রোমকূপে শুনতে পায় শব্দ। ঘ্রাণ নিতে গিয়ে সেই শব্দের ঘ্রাণ পায়।

ইকরামের হঠাৎ দিশেহারা লাগে। দরজার সন্ধান করতে থাকে তার চিরপরিচিত ঘরের মধ্যে। অথচ দরজার সামনেও মনে হতে থাকে সেই ভাঙ্গনের শব্দ দাড়িয়ে আছে। কোন তীব্রতা নেই, কোন চিৎকার নেই। কিন্তু অতলস্পর্শী গভীর।

ইকরাম দৌড়ে ঘর থেকে বেড় হয়। বড় বড় নি:শ্বাস নিয়ে স্থির চেষ্টা করতে থাকে।

বড় স্যার গাড়ি বেড় করতে বললে ইকরাম গ্যারেজের দিকে হাটা দেয়। রাত হয়ে গেছে। এত রাতে কোথায় যাবে সাহেব চিন্তা করে বেড় করতে পারে না সে। মনে মনে সাহেবের বাপ মা তুলে গালি দেয় সে। এই রাতে বেড় হওয়া মানে অর্ধেক রাতে বাসায় ফেরা।

স্যারের সাথে একটা কম বয়সী মেয়ে গাড়িতে ওঠে। মেয়েটার বয়স যতটা না কম, সুন্দর করে সেজে থাকায় আরো কম মনে হচ্ছে। আড়চোখে সে দিকে তাকিয়ে থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। কেমন মাখনের মত মসৃন মনে হচ্ছে মেয়েটির ত্বক। বঙ্গদেশে কত সুন্দর দেখবে সে!

ইকরাম গাড়ি চালাতে শুরু করার প্রায় সাথে সাথেই বেশ গম্ভীর গলায় স্যার কথা বলতে শুরু করলেন
"তুমি তোমার প্রপোজাল টা তাহলে শনিবার আমার অফিসে ড্রপ করো। আই উইল মেক শিওর দ্যাট দ্যা জব গোজ টু ইউ"
"ধন্যবাদ স্যার"
"নো নো, নেশন নিডস আ চেন্জড ভিউপয়েন্ট। ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি ইজ ভেরী কনসার্নড এবাউট দ্যা সোশাল লিমিটেশনস উই হ্যাভ ক্রীয়েটেড ফর উইমেন"
"জ্বী স্যার, আমাদের এনজিও ছোট হলেও, আমাদের ডেডিকেশনে কোন ঘাটতি নেই। সমাজের তৃণমূল অংশে আমরা আমাদের সচেতনতার কাজ চালিয়ে যেতে পারব। দ্যাটস হোয়াই উই নিড দ্যা রেকমেন্ডেশন ফ্রম ইওর রিসার্চ এসোসিয়েশন"
"আমি জানি, ইউনিভার্সিটি যদি তোমার সংস্থা কে প্রমোট করে দেন ইউ উইল গেট দ্যা ফান্ডিং ফ্রম নিউমেরাস ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন"
"যদি স্যার আমরা কাজটা পেয়ে যাই তাহলে আমরাও আপনার কোঅপারশন কে এপ্রিশয়েট করব"
"আসলে তোমার মত সুন্দরী একজন মেয়েকে কিভাবে ডিনাই করি"
বেসুরো রেডিও এর মত ইকরামের মালিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমীরুল ইসলাম হেসে উঠলেন। রিয়ার ভিউ মিররে মেয়েটার মুখেও হাসি ফুটে উঠল কিন্তু ইকরাম বাজি ধরে বলতে পারবে, যখন সে হামিদাকে গত মাসে শাড়ি কিনে দিয়েছিল এই হাসি সেই হাসি নয়।
"বুঝলে আরো কয়েকটা এনজিও রিকমেন্ডেশনের জন্য এসেছিল। আই ওয়াজ কনসিডারিং দেম। বিকজ দে হ্যাভ আ গুড এমাউন্ট অফ এক্সপেরিয়েন্স। বাট ইউ নো, সমাজের মেয়েদের শক্তিশালী করার প্রকল্প তো একজন চিরন্তন নারীকেই দেয়া উচিত। আমি জানি তোমাকে অনেকেই হয়ত আগে বলেছে বাট সত্য বারবার বললে দোষ নেই। ইউ হ্যাভ আ স্ট্রাইকিং লুক"
ইকরাম আড়চোখে দেখল, স্যারের একটা হাত মেয়েটার কাধে চেপে বসল। স্যারের মুখের হাসি আরো বিস্তৃত হয়েছে। মেয়েটা এখনও হাসি ধরে রাখলেও কেমন একটা বিষাদ হাসির ওপার থেকে উকি মারছে।
"ইউ হ্যাভ স্টপড ইওর এজ , হোয়াটস দ্যা মিলিওন ডলার সিক্রেট?"
"স্যার তাহলে শনিবার আসব, আমাকে নামিয়ে দিন। আমার হঠাৎ মনে পড়ল আমার এক আত্নীয় এই এলাকায় থাকেন আমাকে একটু যেতে বলেছিলেন।"
"হেই আই উইল গ্র্যান্ট ইউ আ ক্রোর টাকা প্রোজেক্ট। রিলাক্স। তাছাড়া এই প্রোজেক্ট হাতে না পেলে তোমাদের দাড়াতে সমস্যা হবে। কম্পিটিশন ইজ কোয়াইট ব্রুটাল"
"জ্বী স্যার প্রোজেক্ট টা দরকার আমাদের। আচ্ছা স্যার আমি তাহলে পরেই যাব"
"ইকরাম তুমি ঐ গলিটার ভেতরে গাড়ি টা পার্ক করতো"
গলির মাথায় নষ্ট ল্যাম্পপোস্টের নীচে হা করা অন্ধকারে ইকরাম গাড়ি পার্ক করল। রাত নেমেছে চারদিকে। আশেপাশে কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। ইকরাম পার্ক করে গাড়ি থামিয়ে বেড়িয়ে আসল।
গাড়ির পেছনের কালো কাচ গুলো নরকে দুয়ারের মত বুজে আসল। ইকরাম পকেট হাতড়ে একটা সিগারেট ধরাল। অমাবশ্যার রাত। উপরে বিশাল এক আকাশ হাঁ করে অপেক্ষা করছে যেন এই পৃথিবীকে গিলে নিতে। কাছের এপার্টমেন্ট বিল্ডিংগুলো থেকে টুকরা টুকরা আলো এসে এই অন্ধকারের রাজত্বে ছোটখাট গেরিলা অপারেশন চালাচ্ছে। তবে গাঢ় অন্ধকার শক্ত হাতে দমন করছে সকল আলোর বিদ্রোহ কে।

ইকরামের মনে পরল গাড়ি থেকে নামার সময় মেয়েটার চোখ একপলকের জন্যে দেখেছিল সে রিয়ার ভিউ মিররে। বোবা চাহনীতে ইকরামের মনে হয়েছিল মেয়েটা তার দিকেই তাকিয়ে আছে। ইকরাম সিগারেট টা ফেলেদিল। লাল আগুনটা অন্ধকারের প্রেক্ষাপটে একটা আলোর পথ তৈরী করে রাস্তায় মুখ থুবড়ে পরল।

ইকরাম গাড়ির পেছনের দরজা হঠাৎ খুলে টেনে বের করল ড.আমীরুল ইসলাম কে। প্যান্ট টা নামানো ছিল তার। টানের চোটে খুলে আসল। একটা অস্ফুট চিৎকার শোনা গেল তার মুখ থেকে "হোয়াট দ্যা ফাক !"। রাস্তার ধুলায় শার্ট টাই পরা এবং বাকিটুকু নগ্ন আমীরুল ইসলাম তাল সামলে উঠে বসার চেষ্টা করল। ময়লার মাঝে তার কুৎসিত অর্ধনগ্ন শরীর লবন দেয়া কেচোর মত ছটফট করে উঠল। ইকরাম দেখল আমীরুল ইসলামের মাঝবয়সী শিশ্ন আলোর দেখা পেয়ে কুঁকড়ে বিকৃত অঙ্গে পরিণত হয়েছে।

ইকরামের শরীর ঘৃণায় রিরি করে উঠল। আমিরুল ইসলামের শিশ্ন বরাবর সে একটা প্রচন্ড লাথি হাকাঁল।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০১
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×