গত পরশু সাংবাদিকদের মানববন্ধনে ঘটে যাওয়া হাতাহাতির ঘটনায়, এটিএন বাংলার সাংবাদিকদের মাহফুজুর রহমানের পক্ষা্লম্বন করার অভিযোগটা একটু ঘোলাটে ঠেকছে।মাহফুজুর রহমানের লন্ডনে সাগর রুনী সংক্রান্ত আপত্তিকর বক্তব্যর প্রতিবাদে কিন্তু এটিএন বাংলার সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জ ই মামুন বক্তব্য রেখেছিলেন। মানববন্ধনের হাতাহাতি ঘটনা নিয়ে প্রথম আলোয় দেখলাম লিখেছে যে, মানববন্ধনে এটিএন বাংলার সাংবাদিকরা অন্য সাংবাদিকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতেই এসেছিল। কিন্তু মুল বক্তা হঠাৎ করে উস্কানিমুলক বক্তব্য দেন যে এটিএন বাংলার সাংবাদিকরাও তাদের চেয়ারম্যানের কর্মকান্ডের দোসর এবং এটিএন বাংলার সাংবাদিকদের আগে থেকে না জানিয়েই এটিএন বাংলা কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসুচী ঘোষনা করেন।এ ধরনের উস্কানিমুলক বক্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতেই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।তবে ঘটনার পরও কোথাও দেখলাম না যে জ ই মামুনরা তাদের চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে কোন বক্তব্য রেখেছে, যেটা আমাদের নিল্লজ্জ শিল্পীসমাজ রেখেছে।কাজেই এই পুরো ব্যপারটায় সাংবাদিকদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে গভীর কোন ষঢ়যন্ত্র থাকলেও থাকতে পারে।
যাই হোক সাংবাদিকদের মাঝে ফাটল কোনক্রমেই কাম্য নয়। এই হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে সম্মিলিতভাবেই সবাইকে এগোতে হবে। সেই সাথে এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে এটিএন বাংলায় আমাদের চারপাশের নিজেদের আপনজনেরাই চাকুরি করেন, যাদের আয়ের ওপর নির্ভরশীল একেকটি পুরো পরিবার। এদেরকে অহেতুক হয়রানি করার কোন অর্থ নেই। একটা চ্যানেল বন্ধ হলে মাহফুজুর রহমান ও তার গডফাদারদের কিছুই যাবে আসবে না, কিন্তু পথে বসতে হবে আপনার আমার মত অতি সাধারন মানুষদের। কাজেই এটিএন বাংলার ছাপোষা সাংবাদিক, টেকনিশিয়ান ও অন্যান্যরা টার্গেট নয়, টার্গেট হওয়া উচিৎ সাগর রুনী নিশৃংষ হত্যাকান্ডের মুল আসামীরা।
তবে শিল্পী সমাজ প্রকাশ্যে মাহফুজুর রহমানের পক্ষালম্বন করে যে জঘন্য ও নিন্দনীয় ভুমিকা রেখেছে তার প্রতিবাদ জানাতে আসুন আজ থেকে মিমি, জাহিদ, তৌকির, মামুনুর রশীদদের নাটক বয়কট শুরু করি। এরা কিন্তু এটিএন বাংলার ছা পোষা চাকুরে নয়, এদের নাটক সকল চ্যানেলেই প্রচারিত হয়। সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত, কিন্তু ক্রিমিনাল মনমানসিকতার এই সেলিব্রিটিদের আসুন সম্মিলিতভাবে বয়কট করি।
0
মুল লেখা http://www.nagorikblog.com/node/8835