ভার্সিটি শীতকালীন ছুটিতে বন্ধ হয়ে গেল। ব্যাগ গুছিয়ে সোজা বাড়ি চলে গেলাম । বাসায় বসে করার কিছু নাই তাই প্রতিদিন জনপ্রিয় বাংলা ব্লগগুলোতে ঘুরে বেড়াই। এভাবেই এক সকালে চোখে পড়ে এক রহস্যময়ী লেখিকার একটি ব্লগ। গ্রোগাসে গিলতে থাকি সব লেখা। লেখা গুলো কেমন জানি অন্যরকম। প্যারানরমাল জাতীয়। পড়তে পড়তে আমার মনে হলো লেখিকা হয়তো নিজের কল্পনার এক জগতে বাস করেন এবং সেটাকেই এখন বাস্তব ভাবা শুরু করছেন। ব্লগটায় মোট সাতটা লেখা আছে এবং প্রতিটা লেখাই একটা অন্যটা থেকে আলাদা। যা বুঝলাম... লেখিকা অত্যন্ত সুন্দরী এবং তার একাধিক প্রেমিক ছিল। কিন্তু সমস্যা হল কারো কাছেই তার কোন সন্মান ছিল না। তাদের কাছে লেখিকার মন এর থেকেও বেশী কাম্য ছিল লেখিকার শরীর। একাধিক বার লেখিকা কে এক এক প্রেমিক দ্বারা ধর্ষিত হতে হয়েছে। তার প্রতিদানও লেখিকা দেন নির্মম ভাবে। প্রত্যেককে অতি নিখুতভাবে খুন করেন তিনি। খুনগুলো এমন ভাবে করেন যেন কেউ খুনের মোটিভ সম্পর্কে ধারনা করতেও না পারে। কিছু লেখায় খুনের যে পদ্ধতি তিনি দিয়েছেন তাতে এটা নিশ্চিত বাস্তব জীবনে ফেলুদা,শার্লক হোমস এবং মাছুদ রানা একত্রে কাজ করলেও এই ধরনের সুহ্ম কেস সলভ করতে পারতেন না। পড়তে পড়তে সবার লাস্টের লেখায় চলে আসলাম। সেখানে লেখিকা নিজে কিভাবে সুইসাইড করবেন সে পদ্ধতি লিখেছেন। সুইসাইডের তারিখও দিয়েছেন। তবে সুইসাইড করার আগে তার খুব ইচ্ছা তার জীবনের সব অব্যাক্ত কথা কাউকে বলে যাওয়া। কিন্তু কেউ তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে চায় না। সবাই হেসে উড়িয়ে দেয়। ব্লগের লেখাগুলো অনেকটা গল্পের মত হলেও আমার কেমন জানি খুতখুত করতে লাগল। এমনও হতে পারে ঘটনা গুলো আসলেই সত্যি...নির্ধারিত তারিখে তিনি নিজেকে এক্সিকিউট করার প্লান করছেন অথচ সবাই ভাবছে পুরোটাই কাল্পনিক।
কম্পিউটার ছেড়ে যখন উঠলাম তখন প্রায় দুপুর হয়ে গেছে। গোছল করে,খাওয়াদাওয়া সেরে বসলাম টিভি দেখতে। টিভি দেখার সময় আমার অভ্যাস হলো খালি রিমোট গুতাগুতি করে চ্যানেল পাল্টানো। তেমনি হঠাত একটা চ্যানেলে চোখ আটকে গেল। একটা সাডেন ডেথ এর খবর দেখাচ্ছে কিন্তু মার্ডারের কোন ক্লু পাওয়া যাচ্ছে না। একেবারেই অস্বাভাবিক মৃত্যু। কি মনে করে এক দৌড়ে কম্পিউটার ওপেন করে সরাসরি ঐ ব্লগে ঢুকলাম। অবাক বিশ্ময়ে লহ্ম করলাম... “অতঃপর শাস্তি” শিরোনামে একটা লেখা কিছুহ্মন আগে পাবলিশ হয়েছে। হ্যা... এবারেও নিখুত খুন। কোন প্রমান পাওয়া অসম্ভব। তাহলে কি পরের সুইসাইডও নিয়মমাফিক হতে যাচ্ছে!!!... লেখিকা কি তাহলে সাংঘাতিক রকম সাইকো কিলার? বাইরে বের হয়ে টানা দুইটা সিগারেট খেলাম। ছটফটানি কিছুটা কমল। কিন্তু নিজের কর্তব্য কিছুতেই ঠিক করে উঠতে পারছি না। এরকম কিছু চোখের সামনে পড়লে এড়িয়ে যাওয়া খুব কঠিন কাজ।
বাসায় ফিরে ঐ ব্লগের মডারেটর এর সাথে ইমেইলে কথা বললাম। টিভির ঘটনাটা না বলে জানতে চাইলাম...ঐ লেখিকার ব্লগ সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?!!!... মডারেটর এর মতে লেখিকার লেখার বিষয়বস্তু একেবারেই কাল্পনিক এবং তিনি এসব গল্প হিসেবে লেখেন । না হলে কেউ নিজের খুনের কথা এরকম পাবলিকলি প্রকাশ করেন?!!! আর সেরকম কিছু হলে ব্লগ মডারেশন গ্রুপ অবশ্যই ব্যবস্থা নিত।
যুক্তি অনেকটাই গ্রহনযোগ্য হওয়ায় মেনে নিলতে বাধ্য হলাম। সত্যিই তো... ব্লগে কেউ এরকম বাস্তব ঘটনা লিখবে বলে মনে হয় না। তবুও লেখিকার ব্লগ থেকে লেখিকার ইমেইল এড্রেস জোগার করে একটা ইমেইল করলাম। আমার সন্দেহ প্রকাশ করলাম না। লিখলাম...... “আপনার ব্লগে গল্পগুলো পড়ে অন্যরকম ভালো লেগেছে... ভিন্নধারার লেখা লেখার জন্য ধন্যবাদ...”...... কিছু সময় কেটে যাবার পর নিজেরই মনে হতে লাগল টিভির ঘটনাটার সাথে হয়তো আসলেই এর কোন সম্পর্ক নাই। হয়তো পুরোটাই কাকতালীয় ভাবে মিলে গেছে... প্রতিদিনতো কত রহস্যময় খুনই হয়... এর সাথে একটা গল্প মিলে যেতেই পারে। হয়ত ডিটেকটিভ বই পড়তে পড়তে মনটা সন্দেহপ্রবন হয়ে উঠছে।
বিকালে ঘুরতে বের হলাম। যথারীতি বন্ধুবান্ধবের সাথে জমিয়ে আড্ডা মেরে বাসায় ফিরলাম। আব্বা-আম্মার সাথে রাতের খাবারটা সেরে কম্পিউটার নিয়ে বসলাম। প্রথমেই ইমেইল চেক করলাম। হ্যা রিপ্লাই এসেছে। লেখিকা প্যারানরমাল লেখা লিখতে বেশী পছন্দ করেন। ব্লগের লেখাগুলো পুড়োটাই গল্প সেটা পরিস্কার। কিন্তু আমার তখনো কেমন জানি খুতখুত লাগছে। যাই হোক পাত্তা দিলাম না। তবে তার ব্লগটা বুকমার্ক করে রাখলাম। আর নোটিফিকেশন অন করে রাখলাম। একটা লেখাও মিস দেওয়া যাবে না। মাঝরাতে এল ক্লাসিকো বার্সা-রিয়েল হাই ভোল্টেজ ম্যাচ আছে। তাই একটু ঘুমিয়ে নেওয়া দরকার। মাঝরাতে খেলা শুরু হবার আগেই জেগে উঠলাম। বেশ আয়েশ করে বসলাম খেলা দেখতে। ভুলেই গেলাম সারাদিনের অস্থিরতার কথা। খেলার বিরতিতে যথারীতি চ্যানেল পাল্টাচ্ছি। এমন সময় দ্বিতীয় খবরটা দেখলাম। আরেকটি অস্বাভাবিক খুন। মাথা থেকে এল ক্লাসিকো কর্পুরের মত উবে গেল। মনে প্রানে চাইছিলাম যেন ব্লগটিতে নুতুন কোন লেখা না থাকে। কিন্তু ব্লগে ঢুকতেই নতুন একটা শিরোনাম...... “শেষ খুন”...... এতো তাড়াতাড়ি এরকম আরেকটি ঘটনা কি আরেকটা কাকতালীয় ব্যাপার!!!...হতেই পারে না......
মাথাটা ঝিম ঝিম করতে লাগল। এবার আর ঘটনাটা নেগলেট করতে পারছি না। কিন্তু আমি কি করব!!!... খুনগুলো যে লেখিকা আসলেই করছেন এবং তিনি বেশ পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন তাতে খুব বেশী সন্দেহ নেই। সম্ভবত তিনি খুব উন্নত মানের সিরিয়াল কিলার। সিরিয়াল কিলারদের এক এক ধরনের ফ্যান্টাসি থাকে। উনার ফ্যান্টাসি হল ব্লগে খুনগুলো গল্পের আকারে লিখে যাওয়া। মোটামুটি এই ধারনা নিয়েই রাতটা পার করলাম।
পরদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গল বেশ বেলা করে। হালকা শীতের রাত। ঘুম বেশ গভীর হয়। গতকালের বিভিন্ন ঘটনায় মাথা বেশ জট পাকিয়ে গেছে। সমস্যা হল আমি যদিও বুঝতে পারছি ব্লগের সাথে এই খুনগুলোর বেশ খানিকটা রেশ থাকতে পারে কিন্তু আদতে আমি কিছুই করতে পারব না। আমার কাছে কোন প্রমান নেই। ব্যাপারটা কাকতালীয় বলে চলে যাবে। কিন্তু আমাকে ভাবাতে লাগল সুইসাইড টা। একজন সাইকো সিরিয়াল কিলার খুব বিপদজনক কিন্তু সে নিজেকে সুইসাইডাল এক্সিকিউট করতে যাচ্ছে সেটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন। লেখিকা কে নতুন একটা মেইল করলাম। সিম্পিলি কুশল জানতে চেয়ে। বিকেল পর্যন্ত ইমেইল চেক করলাম... কোন রিপ্লাই নেই। বার বার ব্লগ চেক করলাম। কোন আপডেট নেই। সুইসাইড এর ডেট এখনো কয়েকদিন পর। সো সুইসাইড করে নি শিউর। এরা অনেকটা মেশিনের মত হয়। তাহলে কি গা ঢাকা দিল...হতে পারে...... মাথা থেকে ঘটনাটা দূর করে দিতে চেষ্টা করলাম। নাহ... কাজ হচ্ছে না। ঘুরে ফিরে সেই একই চিন্তা মাথায় জমা হচ্ছে। পুলিশকে জানানো যায়...কিন্তু তারা এর কোন গুরত্ব দিবে বলে মনে হয় না...... তার পর দুইদিন তেমন কিছুই ঘটল না...সব কিছু কেমন জানি স্বাভাবিক লাগতে শুরু করল......
তিনদিন পর এক বিকেলে আমি রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। বঙ্গবন্ধু সেতু পুর্ব ষ্টেশন থেকে সন্ধা সাতটায় ট্রেন ধরব। ষ্টেশনে গিয়ে শুনি আমার ট্রেনের রাস্তায় কি একটা সমস্যা হইছে। ৫ ঘন্টা লেটে আসবে। মাথা ঘুরে গেল। কিন্তু এখন ফিরে যাওয়া বোকামী। তাই অপেহ্মা করাই ভালো। কয়েকটা সিগারেট কিনে নিয়ে চেয়ারের মত বেঞ্চ গুলোতে বসে অপেহ্মা করতে লাগলাম। প্রথম সিগারেট টা শেষ করে দ্বিতীয়টা ধরিয়েছি এমন সময় একটা মেয়েলী কন্ঠ......
“এক্সকিউজ মি...”
ঘুরে তাকাতেই দেখি ভয়ংকর সুন্দর একটা মেয়ে পাশে বিশাল এক সুটকেস নিয়ে দ্বাড়িয়ে আছে। ভয়ংকর সুন্দর বললাম তার কারন কিছু কিছু মেয়ে এতই সুন্দর হয় যে তাদের দিকে তাকাতেও ভয় করে... যদি প্রেমে পড়ে যাই... এই মেয়েটা অনেকটা সেরকম। বললাম......
“আমাকে বলছেন?”
“জ্বী...এখানে একটু বসতে পারি?...আশেপাশে কোথাও খালি নেই...”
“হ্যা অবশ্যই...বসুন না...”
“থেংস...আপনি কোথায় যাবেন?...আমি দিনাজপুর যাচ্ছি...”
“আপনার উল্টোদিকে......”
“ও আচ্ছা... ”
তারপর বেশ কিছু সময় কোন কথা নেই। তারপর মেয়েটা আবার কথা বলতে শুরু করল। সম্ভবত মেয়েটার মন খারাপ। কোথায় যেন পড়েছিলাম। মন খারাপ থাকলে মেয়েরা অনর্গল কথা বলে। নিজের সম্পর্কে অনেক কথা বলে ফেলল। কথাগুলো কেমন জানি অসংলগ্ন । এই তার পরিবারের বিভিন্ন অসুবিধার কথা। তারপর হঠাত একদিন ঘর থেকে একাই বের হয়ে আসে। এরপর ঢাকায় একা একা বড় হয়েছে। অনেক নোংড়া এলাকায় অনেক দিন করে ছিল। অনেকটা হাই সোসাইটি পতিতা বলা যেতে পারে। তারপর বিভিন্ন ছেলের সাথে কিভাবে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সমাজে ওর খারাপ অবস্থানের কারনে কিভাবে বারবার প্রতারিত হয়েছে। এইসব। আমি বুঝতে পারছিলাম না আমাকে এইসব কথা কেন বলছে। নিজে নিজে খুব বিব্রত হচ্ছিলাম আবার মেয়েটার কথা শুনতেও খুব আগ্রহ হচ্ছে। ট্রেন আসতে অনেক লেট হচ্ছে। মেয়েটার কথা বলার ভঙ্গি এতো আকর্ষনীয় যে না শুনে পারছিলাম না। ব্যাপারটা যে স্বাভাবিক না সেটা বুঝতেই পারছিলাম না। দিনাজপুরের ট্রেন আসল এবং চলেও গেল। মেয়েটা উঠল না। আমিও ভুলে গেছি যে সে উঠছে না কেন!!!......
একসময় বলল...... চা খাবেন? ফ্লাক্সে চা আছে......
“খাওয়া যায়...সাথে যদি আমি একট সিগারেট খাই আপনার আপত্তি আছে... ?”
“না না...আপনি সচ্ছন্দে খেতে পারেন।”
চা এর সাথে সিগারেট খেয়ে মাথা একটু পরিস্কার লাগছে। হঠাত কেমন জানি ভয় ভয় করতে লাগল। স্টেশনে মানুষ নেই বললেই চলে। মোবাইল বের করেই ভ্রু কুচকে গেল। রাত তিনটা!!!...... তারমানে ঢাকার ট্রেন এসে চলেও গেছে। অথচ আমার খেয়েলই নেই। একটু চিন্তা করতে লাগলাম। গল্প শুনতে শুনতে এতটা সময় পার হয়ে গেছে!!!......
“কি ভাবছেন!!!?”
“না মানে...কয়টা বাজে?”
“প্রায় তিনটা...একটু অস্বাভাবিক লাগছে তাইনা?...”
“এতটা সময় কিভাবে পার হল...!!!...আর আপনিও তো ট্রেন মিস করেছেন...”
“হ্যা...আমিও করেছি...আপনারটাও করিয়েছি... তার একটা কারনও আছে...কাল আপনি নিজেই হয়তো বুঝে যাবেন...আরেকটা ট্রেন আসছে...এখন আমি চলে যাব...”
মেয়েটি উঠে চলে যাচ্ছে...আমি মোহবিষ্টের মত বসে আছি... প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে... ঘুমানোর আগে একটা জিনিসই মনে পড়ল...... আজ ২৩ তারিখ...ব্লগ লেখিকার সুইসাইড এক্সিকিউশন ডে......
ঘুমটা ভাঙ্গল পরদিন বিকেলে আমার রুমের বিছানায়। সবাই বলছে নরমাল ব্লাকআউট। সাডেনলি সেন্সলেস হয়ে পড়েছিলাম। স্টেশন মাস্টার আমার মোবাইল থেকে বাসায় ফোন করে জানায়। ধিরে ধিরে সবই মনে পড়ছে। শরীর সাংঘাতিক রকম দুর্বল। তবুও কোনমতে উঠে কম্পিউটার চালু করলাম। ব্রাউজার ওপেন করে বুকমার্কে গিয়ে দেখি আমি যে ব্লগটা সেভ করেছিলাম সেটা নেই!!!...... ব্লগের হোমপেইজে সার্চ দিলাম... ঐ নামে কোন ব্লগ ইউজারই নেই। সাথে সাথে ব্লগ মডারেটর কে মেসেজ দিলাম। ঐ ব্লগটা কি রিসেন্টলি ডিএকটিভ হয়েছে কিনা। উত্তর যা শুনলাম তাতে মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেল... ঐ নামে নাকি কখনো কোন ব্লগ রেজিস্টেশনই করে নাই...!!!...ইমেইল গুলো চেক করলাম...মডারেটর ও ব্লগ লেখিকার সাথে যে ইমেইল যোগাযোগ করেছিলাম তার চিহ্ন মাত্র নেই... সাথে সাথে একটা জিনিস খেয়াল করে আরো অবাক হয়ে গেলাম। আমার নিজের ব্লগ আইডি লাস্ট লগ ইন দেখাচ্ছে সাতদিন আগে। মানে গত সাতদিনে আমি কখনো এই ব্লগেওয়েবে একবারও আসিই নি। বুলশীট...... মাথা আবার ধরে আসছে...... এসব কি হচ্ছে......!!!......
টিভিতে একটা ট্রেন দুর্ঘটনার খবর দেখাচ্ছে...... ঢাকা-দিনাজপুর রোডে ট্রেনে কাটা পড়ে এক তরুনী নিহত!!!..
(......সমাপ্ত......)
লেখকের কথাঃগল্পের পটভুমি সম্পুর্ন কাল্পনিক। লিখতে বসছিলাম রোমান্টিক গল্প... শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল রহস্য গল্প। গল্পে কিছু রহস্য আমি রহস্যই রেখে দিয়েছি। পাঠক নিজের মনের মত করে সমাধান করুন। কাচা হাতে লেখায় অনেক অসংগতি থাকে... আশা করি আপনারা সেটা নিজগুনে হ্মমা করবেন। আর হ্যা...... মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না.........