নাস্তিক এবং ইসলাম ব্যাতিত অন্য ধর্ম ও অন্য সম্প্রদায় সম্পর্কে পবিত্র আল-কোরআনে প্রদত্ত মহান আল্লাহ্ তায়ালার অতি মূল্যবান কিছু বাণীঃ
“...যারা ধর্ম সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন কাজের দায়িত্ব তোমার নেই, তাদের বিষয় আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।...” –আল কোরআন (সুরা আনআমঃ১৫৯)
“...তোমাদের ধর্ম তোমাদের, আমার ধর্ম আমার।”–আল কোরআন (সুরা কাফিরুনঃ৬)
“...ইচ্ছা করলে আল্লাহ্ তোমাদেরকে একজাতি করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য দিয়েছেন।... তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে, অতঃপর তিনি এ বিষয়ে তোমাদেরকে অবহিত করবেন যে বিষয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে।...” –আল কোরআন (সুরা মায়িদাঃ৪৮)
“...হে কিতাবিগণ! তোমরা তোমাদের ধর্ম নিয়ে অন্যায় ভাবে বাড়াবাড়ি করোনা...” –আল কোরআন (সুরা মায়িদাঃ৭৭)
“...ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই। সৎ পথ ভ্রান্তপথ থেকে সুস্পষ্ট হয়েছে।...” –আল কোরআন (সুরা বাকারাঃ২৫৬)
“...(ধর্ম সম্পর্কে) বিদ্রূপকারীদের বিরুদ্ধে আমিই (আল্লাহ) আপনার জন্য যথেষ্ট...” –আল কোরআন (সুরা হিজরঃ৯৫)
“...যদি তারা আত্মসমর্পণ (আল্লাহর কাছে) করে তবে নিশ্চয়ই তারা পথ পাবে। আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কাজ তো কেবল প্রচার করা। আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে সকল বান্দা।”–আল কোরআন (সুরা আল ইমরানঃ২০)
“...তারপর ওরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কর্তব্য তো শুধুমাত্র স্পষ্ট বাণী পৌঁছে দেয়া...”–আল কোরআন (সুরা নাহলঃ৮২)
“...তুমি মানুষকে হিকমত ও সৎ উপদেশ দিয়ে তোমার প্রতিপালকের (আল্লাহর) পথে ডাক এবং তাদের সাথে ভালভাবে আলোচনা কর। তাঁর (আল্লাহর) পথ ছেড়ে যে বিপথে যায় তার সম্পর্কে আল্লাহ্ই ভাল জানেন, আর যে সৎ পথে আছে তা-ও তিনিই ভাল করে জানেন” –আল কোরআন (সুরা নাহলঃ১২৫)
“...তোমাদের কাজ তো কেবল প্রচার করা, আর হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ...” –আল কোরআন (সুরা রাদঃ৪০)
“...আর তোমাদের এই যে জাতি (মানবজাতি), এ তো একই জাতি। আর আমিই (আল্লাহ্) তোমাদের প্রতিপালক। তাই আমাকেই ভয় কর। কিন্তু তারা (মানুষ) নিজেদের বহু ভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট। সুতরাং ওদেরকে কিছু কালের জন্য বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।” –আল কোরআন (সুরা মুমিনুনঃ৫২-৫৪)
“...আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারিত করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে... তুমি ওদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক... ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে তবে বল, ‘তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ্ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন...” –আল কোরআন (সুরা হজঃ৬৭-৬৯)
এবার আপনিই বিচার করুন, কারা কাদের জন্য আন্দোলন করছে, যেখানে মহান আল্লাহ্ তাআলা নিজেই স্পষ্টভাবে নির্দেশ প্রদান করেছেন –
“ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা”[প্রশ্নঃ হেফাজতে ইসলাম/জামাত-শিবির এখন কি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে না???]
“ধর্মে কোন জবরদস্তী নেই”[প্রশ্নঃ হেফাজতে ইসলাম/জামাত-শিবির এখন কি ধর্ম নিয়ে জবরদস্তী করছে না ???]
“তোমাদের কাজ কেবল প্রচার করা”[প্রশ্নঃ হেফাজতে ইসলাম/জামাত-শিবির কি কেবল প্রচার করছে ???]
“মতভেদের ব্যাপারে আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিন ফয়সালা করে দেবেন”[প্রশ্নঃ হেফাজতে ইসলামের/জামাত-শিবিরের আমির কি এ ব্যাপারে নিজেরা ফয়সালা করে নিজেদের আল্লাহর সমকক্ষ দাবী করছে না??? (নাউজুবিল্লাহ)]
“হিকমত ও সৎ উপদেশ দিয়ে আল্লাহর পথে ডাক এবং তাদের সাথে ভালভাবে আলোচনা কর”[প্রশ্নঃ গনজাগরন মঞ্চ হতে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হলেও হেফাজতে ইসলাম/জামাত-শিবির তাদের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এটা কি কেবল অবমাননা, নাকি সরাসরি আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা ???]
“তোমাদের ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার”[প্রশ্নঃ হেফাজতে ইসলাম/জামাত-শিবির কি আল্লাহর এই নির্দেশ অমান্য করে আল্লাহর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে ??? (নাউজুবিল্লাহ)]
“যারা ধর্ম সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে তাদের বিষয় সয়ং আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত”[প্রশ্নঃ হেফাজতে ইসলাম/জামাত-শিবির কি এটাকে আল্লাহর পরিবর্তে নিজেদের এখতিয়ার বলে মনে করে নিজেদের আল্লাহর সমকক্ষ দাবী করছে না ??? (নাউজুবিল্লাহ)]
একটু চিন্তা করলে আপনিও খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কারা কাদের হেফাজত করতে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে মহানবী (সাঃ) এর উপর অবতীর্ণ মহান আল কোরআন কে উপেক্ষা করছে, কারা ইসলাম রক্ষার নামে ৯০% মুসলমানের দেশে “ইসলাম বিরোধী” আন্দোলন শুরু করে মহান স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে খুনি ধর্ষক যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে ???
যাদের মনে এততুকু দেশপ্রেম বিদ্যমান তাদের সবাইকে জোর অনুরোধ, আমাদের এই প্রানপ্রিয় বাংলা মা-কে ঐ হিংস্র জঙ্গি মৌলবাদীদের হাত থেকে বাঁচাতে এখুনি ঘর থেকে বেরিয়ে আসুন যোগ দিন আলোর মিছিলে সমস্বরে গগন বিদারী আওয়াজ তুলুন ঐ ধর্মব্যবসায়ী হেফাজতে জামাতে ইসলামীর বিরুদ্ধে। নইলে একবার যদি এই দেশ তাদের হাতে চলে যায় শত বছরেও আর স্বাধীনতার সূর্য উদয় হবে না, বাংলা হয়ে যাবে আরেকটা আফগান অথবা পাকিস্তান। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সত্য জানার এবং তাঁর প্রদর্শিত শান্তির পথে চলার তৌফিক দান করুন (আমিন)।