ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত
ঢাবি ছাত্রের দাফন সম্পন্নhttp://www.natunbarta.com/education/2013/09/20/45903/0c064edb36d63e24e0be9837c57b95dc
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নতুন বার্তা ডটকম
নোয়াখালী: ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র মাহমুদুল হাসানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় সেনবাগ থানার কানকিরহাট গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চলন্ত ট্রেন থেকে নামার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মাহমুদুল হাসান (২৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। তিনি নোয়াখালির সেনবাগ থানার কানকিরহাট গ্রামের মাওলানা মকবুল আহমেদের ছেলে।
লাকসাম রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদ উল্লাহ জানান, ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী আন্তঃনগর উপকূল ট্রেনটি রাত আড়াইটায় নাথারপেটুয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়। পরে ট্রেনটি ছাড়ার সময় মাহমুদুল হাসান ও তার সঙ্গে থাকা মহিলা (মাহমুদের নানী) দ্রুত নামতে চেষ্টা করলে ওই মহিলা পা পিছলে পড়ে যান। এ সময় মাহমুদ তার নানীকে বাঁচাতে গেলে সেও পা পিছলে ট্রেনের নিচে পড়ে যান। এতে তারা দুজনই গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের লাকসাম শান্তা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত নারী যাত্রীটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ছেলে হারিয়ে মা বিছানায় শয্যাশায়ী। শোকে পাথর তার বাবা মাওলানা মকবুল আহমেদ।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তির পর তার মা-বাবা স্বপ্ন দেখতেন “মাহমুদ একদিন অনেক বড় হবে।”
শুক্রবার সকাল থেকেই তার বন্ধু সহপাঠী, স্বজনসহ আশপাশের এলাকার শতশত মানুষ মাহমুদের লাশ দেখতে আসে।
তার স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, “তাকে নিয়ে আমাদের অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। আমাদের স্কুল থেকে প্রথম জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্র হিসেবে সে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়।”
তার সহপাঠী নুরুল আমীন বলেন “ মাহমুদ আমাদের ছেড়ে এভাবে হারিয়ে যাবে আমরা ভাবতেই পারছি না। এই অকালমৃত্যু মেনে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে।”
তার আরেক সহপাঠী তাজুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “মাহমুদ মঙ্গলবার আমাদের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা শেষে আমরা একসঙ্গে গল্প করেছি। আজ মাহমুদ আমাদের মাঝে নেই, বিষয়টি ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। দোয়া করি তার পরিবার যেন ধৈর্যধারণ করতে পারে।”
নতুন বার্তা/জিহ/এসএন