বেলা সাড়ে তিনটা। মিরহাজীরবাগ থেকে ‘শিকড় পরিবহণ’-এ উঠলাম। অফিসে যাব, কারওয়ান বাজার। ১০ মিনিটে ‘রাজধানী মার্কেট’ এসে পৌঁছলাম। চেকার উঠলেন। তিনি যাত্রী-সংখ্যা গুণছেন। হঠাৎ সামনের দিকে একজন বললেন, “একজন সাংবাদিক আছে।” একজন কম লিখলেন চেকার। ‘সাংবাদিকের’ পাশের ভদ্রলোক হাসলেন। হাসিটার ভিন্ন অর্থ আছে বলে মনে হলো। আমি হাসিনি, কিছুটা হতবাক। ভাবছি-‘সাংবাদিক’ বলে ভাড়া দেবে না?
গুলিস্তান এসে ওই ‘সাংবাদিকের’ কাছে জানতে চাইলাম- তিনি কোন পত্রিকায় কাজ করেন। ‘কইয়া দিমু ডটকম’ মার্কা একটা নাম বললেন। আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা! (দৈনিক……)। নামটা আজই শুনলাম। ভাবছি- নামটা কি আমিই জানি না? তাও তো নয়। আন্ডারগ্রাউন্ড কত পত্রিকাই তো চিনি, দেখি। কিন্তু ‘কইয়া দিমু ডটকম’ পেলাম না তো! পেলাম কষ্ট। পেলাম অব্যক্ত যন্ত্রণা।
‘সাংবাদিকের’ পাশের ভদ্রলোক এতক্ষণে ক্ষেপে গেছেন। বললেন- “সাংবাদিক হলে কেন ভাড়া দেবেন না? এসব কোথায় পেয়েছেন?” ‘সাংবাদিক’ কিছুই বলছেন না। একটু পরে বললেন- “আমি কখনো ভাড়া দেই না।” আরো অনেক কথাই বললেন ‘সাংবাদিক’। ভাবলাম কিছু না বললে আর চলে না!
মোনাজাতউদ্দিন, ফয়েজ আহমদের কথা বললাম ‘সাংবাদিককে’। তিনি আকাশ থেকে পড়লেন। মানে এদের নাম তিনি জীবনেও শুনেননি। বললাম- আতাউস সামাদ, এবিএম মূসা ভাইদের কথা। তাদের নামও শুনেননি তিনি। বললেন, “এসব চিনি না, জানি না।” সাংবাদিকের সাথে আর কথা বাড়ালাম না। Mir Mushfik Ahsan এর স্ট্যাটাসের কথাই ভাবলাম- “দুনিয়া আবাল দিয়া ভইরা গেছে।” সাথে সাথে মুকুল মনিরের দুটি লাইন মনের ভেতর দাগ কেটে যাচ্ছে-
“মাথাটা যে ঠিক রাখি কী করে?
গাদ্দার ঢুকে গেছে আমাদের শিকড়ে।”