somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাগুদের প্রতিক্রিয়াঃ আ সাইকোএনালিসিস

০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তিন কুতুবের গ্রেফতারের পর ছাগুদের মানষিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকার কথা নয়। তাদের মানষিক অবস্থার একটি মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাড় করানোর চেষ্টা করছিলাম।

শোকে মানুষের দুরকমের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এক রকম হল শোকে পাথর হয়ে যাওয়া, আরেক রকম হল শোকে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। তখন বিভিন্ন ভাবে আবোল তাবোল বকা।

আসলে সবই মনুষ্য চরিত্র এবং জিন এর খেলা, যদি বৈজ্ঞানিকভাবে দেখি। অনেকটা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল সিনড্রোমও বলতে পারেন। অবশ্য ব্লগের ভাষায় সহজ কথায় বলা যায় আবলামী।

এ যুগের মীরজাফর খুনী রাজাকারদের হেনস্থায় রাজাকার প্রেমীদের দুরকম মানষিক বা সাইকোলজিক্যাল প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এক শ্রেণীর রাজাকারপ্রেমীরা শোকে পাথর হয়ে গেছেন। তারা কথা বলতে পারছেন না অথবা কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। এটাকে মেডিক্যালের ভাষায় বলা হয় আফটার শক সিনড্রোম। এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়। অনেকটা এক্সিডেন্ট এর পরে যেরকম আমাদের বোধশক্তি লোপ পায় সেরকম।

আরেক শ্রেনীর রাজাকারপ্রেমী আছেন যাদের নার্ভের উপর এত বেশি চাপ পড়েছে যে তারা নিজেকে ঠিক রাখতে পারছেন না। আবার সরাসরি রাজাকারের পক্ষ নিয়েও কিছু বলা মুশকিল। শত হলেও আমরা মানুষ। কিছুটা হলেও বিবেক আছে। পাক বাহিনীর এই দোশরদের পক্ষে বলতে গেলে শত শত বুদ্ধিজীবি হত্যা, ধর্ষণ এসব সামনে চলে আসে। তাই সরাসরি বলা মুশকিল। অবশ্য অনেকে ভয়ও পেতে পারেন। তখন তারা একধরনের ডাইভার্সন খোজেন। যেমন, হাসিনার কুকীর্তির (কুকীর্তি যে নেই তা নয়, অনেক আছে, তবে এই মুহুর্তে সেগুলো জোর গলায় জানাতেই হবে) কথা তুলে ধরা, মুক্তিযোদ্ধারাও যে কিছু কিছু বিহারী মেরেছে সেসব স্মরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা, আম্বা লীগ কতটা নাস্তিক সেটা জানানোর প্রচেষ্টা, যুদ্ধপরবর্তী মানধিকার লঙ্ঘনের ফিরিস্তি, কেউ কেউ আবার হঠাত করে সরকারের দশ টাকা চাল খাওয়ানো এসবও নিয়ে আসছেন। কেউ কেউ আনছেন মাহমুদুর (ডা আইজুর ভাষায় মাহচুদুর) রহমান ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার বিশয়। আর তার সাথে একটি বাকশালী তকমাতো ডেজার্ট হিসাবে থাকবেই। এই শেষোক্ত প্রতিক্রিয়াটি আসে অধিকতর কাছের গেলমান জাতীয় রাজাকার প্রেমীদের কাছ থেকে।

বিষয়টা সাইকোলজিক্যালি স্বাভাবিক। এতে দোষের কিছু দেখিনা। বরং এরকম সিনড্রোম থাকলে তাদেরকে মনোবৈজ্ঞানিক উপায়ে সাহায্য করা দরকার। এর মধ্যে আমি একটি বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার কথাও বলতে পারি। বৈজ্ঞানিক নীরিক্ষা মানেই হল সেখানে ইন্দুর থাকতেই হবে। আর তিন কুতুবের চেয়ে আদর্শ ইন্দুর পাওয়াও মুশকিল। যাই হোক, ইন্দুর যখন প্রথম খাচায় ঢোকে তখনও বিপদ টের পায়না। ফাঁদে রক্ষিত খাবার খেতে থাকে। যখনই টের পায় যে সে আটকা পড়েছে তখন আর নিরিবিলিতে খেতে পারেনা। খালি চক্কর মারে আর উথাল পাতাল করে, কি করবে বুঝতে পারে না। আগ্রহীরা এই পরীক্ষাটি স্বল্প খরচে নিজের বাড়িতেই করে দেখতে পারেন।

বিএনপির প্রতিক্রিয়াও শিবিরের মতই হওয়াটা বাঞ্চনীয় ও স্বাভাবিক। কারন লেজ ছাড়া কুকুর কিভাবে নড়বে? আর বিএনপির প্রতিক্রিয়া আসাটা বরং অনেক ভালো কারন প্রতিমুহুর্তে তারা প্রমাণ করে চলেছে তারা কতটা রাজাকার প্রেমী।

কাজেই এই মানষিক সংকটের মুহুর্তে তাদেরকে বেশি হেনস্তা না করে বরং মানষিক সাহায্য করা দরকার। আমার এক আত্মীয়ের মানষিক সমস্যা হবার পরে সাইকিয়াট্রিস্ট বলেছিলেন তাকে বেশি খোচা না দিতে বরং তার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতে।

এ বিষয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচার যারা চাচ্ছেন তাদের সদয় সহানুভুতি আশা করছি।
২৩টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×