somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এবার কি তবে সেক্সুয়ালা বা যৌন জিহাদ?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গত ২/১ এক দিন ধরে আন্তর্জালিক জগতে এবং মিডিয়ায় ঝড় বয়ে যাচ্ছে সেক্সুয়াল জিহাদ বা যৌন জিহাদ নিয়ে। বিষয়টা আরো বেশ কিছুদিন আগে আমি দেখেছিলাম মিশর-প্রসংগে। তখন ভেবেছিলাম বিষয়টা নেহাতই একটা কৌতুক। এখন দেখছি ব্যপারটা অনেকদূর গড়িয়ে গেছে। এবং বুঝলাম, আল্লা মুসলমানদের যে পরিমান নেয়ামত দিয়েছেন, তাতে সবই সম্ভব। এ নিয়ে নেট-এ কিছুক্ষণ ঘাটাঘাটি করার ইচ্ছা হল-- আর যাই হোক ভাইয়েরা, যতই অস্বীকার করেননা কেন, ব্যপারটাতো রসালোই , কি বলেন।


্দুদিন আগে প্রথম আলোর অনলাইনে বিষয়টা ছাপা হয়েছে। শিরোনাম- "সিরিয়ায় যৌন জিহাদ করছে তিউনিশিয়ার নারীরা"। ডেইলিস্টার, বিডিনিউজ- এরাও দেখি আছে। পরে দেখি আল আরাবিয়া, হাফিংটন পোস্ট এবং আরো প্রচুর সাইটে খবর আছে- এমনকি পাকিস্তান ডিফেন্স ব্লগেও দেখলাম। লিংক দিলাম না। আপ্নারা খুজে নেন।

বুঝলাম, শহীদ হয়ে বেহেস্তে গিয়ে যে ৭২ টা হুর পাওয়া যাবে, সে পর্যন্ত আর মুজাহীদিনরা ওয়েট করতে পারছেনা। কিছু কিছু এডভান্স হিসাবে এই দুনিয়াতেই দরকার। তা নইলে তাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করা যাচ্ছে না।

শেখ মোহাম্মমদ আল আরিফি সাহেব ফতোয়া দিয়েছেন যে, মুজাহিদদের মনোবল অটুট রাখতে মুসলিম নারীরা যাতে তাদেরকে যৌন সেবা দিয়ে তাদের মনোবল অটুট রাখেন। সুভানাল্লা। উইকি জানাচ্ছে যে, এই শেখ আরিফি যে সে লোক নয়। উনি সৌদি নেভির কিং ফাহাদ ইন্সটিটিউটের মসজিদের ইমাম এবং তার বই মধ্যপ্রাচ্যে বেশ জনপ্রিয়। আরেকটি সংস্থা জানাচ্ছে জেহাদি (প্রকৃত) মুসলিমগ্রুপগুলোর উপর তার ভালোই প্রভাব আছে। তিনি একবার লন্ডনে গিয়ে বলেছেন শিয়ারা হল "ইভিল"। নাছারা দেশ সুইজারল্যান্ডে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। (হবেই তো, নাছারা রা তো ইসলামি পন্ডিতদের দেখতে পারে না)

আরিফি সাহেব গত বছর আরেকটি ফতোয়া দিয়েছিলেন। উনি বলেছিলেন, সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ইচ্ছা করলে সিরিয়ান নারীদের ভোগ করতে পারবে- কারন তারা হল আল্লার সৈনিক এবং এই নারীরা হল মাল-এ গনিমত। আলহামদুলিল্লাহ।
তো সারা দুনিয়ার ব্রাদারহুডের ভাইরা এই ফতোয়ায় যার পর নাই খুশি। তারা তিউনিশিয়া থেকে ডজন
ডজন নারী সেক্সুয়াল জেহাদিকে সিরিয়ায় নিয়ে আসেন। তিউনিশিয় মন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ি, এই নারীরা ৩০-১০০ জন জেহাদিকে তাদের 'সেবা' দিয়ে মনোবল অটুট রাখতে সাহায্য করেছেন।

ইরানের ফারস নিউজ (নামটা সত্যিই ইংরেজি ফার্স-এর মত) চেচনিয়া থেকেও ৯০ জন মুসলিমাকে এই মহান দায়িত্বে আনা হয়েছে।

ঘাটতে ঘাটতে পাইলাম, কয়েকবছর আগে, তালেবানও এমন একটা ঘোষণা দিয়েছিল। তারা বলেছিল ইসলামের জন্য যারা শহীদ হয়ছেন, সেই সব যোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রীরা যেন নতুন নতুন যোদ্ধাদের মনোবল অটুট রাখতে 'সেবা' দিয়ে যায়। মারহাবা।

তবে মিশরের কাহিনী কিন্তু ছিল অন্যরকম। এই যেহাদে আবার স্ট্র্যাটেজি ছিল অভিনব। এখানে মনোবল অটুটের জন্য নয় বরং মুরসি-বিরোধীদের মুরসি-পন্থী (ব্রাদারহুড) বানানোর জন্যি সেক্সুয়াল জিহাদের কথা বলা হয়েছিল। অর্থাৎ, মুসসি-পন্থী হও তাহলে আমার শরীর পাবে। তবে শেষ পর্যন্ত এই জেহাদ কার্যকরী হয়নি বলে আমরা অনেক মুসলিম নারীর বিরত্ব গাথা পড়া থেকে বঞ্চিত হলাম।

তাছাড়া আপনারা জানেন যে, বর্তমানে ইসলামের একমাত্র সুপার পাওয়ার ইরানে কিছুদিন আগে মুতা বিবাহ হালাল করা হয়েছে। এতে করে আপামর ইরানি তথা তৌহিদি জনতা বেশ উপকৃত হচ্ছে বলে আমার বিশ্বাস।

আসলে মহানবীর মালে গণিমত এর আমল থেকে, আজকের সেক্সুয়াল জিহাদ কিংবা তেতুল তত্ব খুব আলাদা কিছু নয়। কিংবা কিছুদিন আগে ইরানের মুতা বিবাহের যে লিগালাইজেশন করা হল- এগুলো সবই ইসলামের শান্তির অনন্ত বার্তা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ। উসমানের আমল থেকে আজ পর্যন্ত কোরান যেমন অবিকৃত আছে, তেমনি আবিকৃত আছে মুসলিম মানস- সুভানাল্লা।

এরকম খবরে আমাদের দেশের মডারেট মুসলিমদের প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক ভাবেই দুরকম।

১। এগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র (কে জানে পশ্চিমেও বোধহয় বাশেরকেল্লায় ভরপুর, খালি ষড়যন্ত্র পাকায়)
২। এটা প্রকৃত ইসলাম নয়। মোল্লারা ইসলামকে ধ্বংশ করছে।

দুপক্ষের বক্তব্য দেখি আর হাসি। যদি প্রকৃত ইসলাম না হয় তাহলে পশ্চইমা ষড়যন্ত্রের ভয় কেন?

যাই হোক, দুনিয়ায় অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে। কষাই কাদেরের ফাসিতে মুষড়ে পড়া ছাগুদের মনোবল অটুট রাখতে ইসলামি ছাত্রী সংস্থার সদস্যারা কি করছে? কিংবা শাহাবাগী নাস্তিকদের ইসলামের সোল এজেন্ট শিবিরে ফিরিয়ে আনতে কি ছাত্রী সংস্থা যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেনা? তিউনিশিয়ার, চেচনিয়ার, ইরানের ইমানদার মেয়েরা পারলে তুমরা কেন পারবে না?

বিদ্রঃ উইকি তে দেখলাম জামাতকে বলা হয় দক্ষিণ এশিয়ার ব্রাদারহুড।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×