টেস্ট খেলা নিয়ে বিশ্লেষণের চেয়ে আপাতত বাংলাদেশ দলের দুজন ব্যাটসম্যানের আউট নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। এই দুজন হলেন যথাক্রমে ইমরুল কায়েস এবং মমিনুল হক। এ দুজনের আউটের ধরণ দেখে কারোই সন্দেহ থাকার কথা না যে টেস্ট ম্যাচে বিশ্রী ধরণের এবং দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিংএর নমুনা এর থেকে ভালো হতে পারেনা। সম্ভবত আমাদের ব্যাটসম্যানরা ফর্মে চলে আসলে একটু উদাসীন-ই হয়ে যান (সবাই না)। ইমরুল শুরুটা মোটামুটি করে যখনি ভালো করে দেখেশুনে খেলতে শুরু করেছে তখনি অযাচিতভাবে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার যৌক্তিকতা সে নিজেই হয়তোবা জানে। এটা তো টেস্ট ম্যাচ-ই, ওয়ানডে তো আর না...... এতো তাড়াহুড়া করার কোন প্রয়োজনই ছিলোনা। ইন্ডিয়ার সাথেও একটা টেস্ট ম্যাচে ইমরুল স্ট্যাম্পিং হয়েছিলো......... তখনকার করা ভুল থেকে সে এই মাচেও বের হতে পারেনি। আশা করি সামনের ইনিংসগুলো হতে সে এই ভুল আর করবেনা। তবে আমার কাছে একটা ব্যাপার অবাক লাগে, অন্যান্য দলগুলো যখন ডাউন দা উইকেটে এসে পিটিয়ে খেলে তখন প্রতিটা বল তারা হয় বাউন্ণ্ডারি অথবা রান নিয়ে নেয়। উদাহরণ হিসেবে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস দেখলেই বোঝা যায়......... বাংলাদেশের সব বোলারদের বিশেষ করে স্পিনারদের ডাউন দা উইকেটে এসে মেরে খেলেছে......... কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়েরা খেলতে গেলেই স্ট্যাম্পিং!!! মমিনুল হক, ইদানীং বাংলাদেশের টেস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচাইতে ধারাবাহিক যেটা তাঁর গড় বলে। মমিনুলেরও এই ব্যাপারটা মনে হয় নজরে চলে এসেছে আর সেজন্যই হয়তোবা ওভার কনফিডেন্সলি খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেলো। তবে হারমারের ওভারটাও যথেষ্ট অ্যাটাকিং ছিলো। পরিশেষে, মমিনুল হক আর ইমরুলের দুজনেরই এখন সাবধান হওয়ার উপযুক্ত সময় এখন, কারণ অলরেডি মমিনুলকে ওয়ানডে থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সঙ্গতভাবে পারফরম্যান্সের কারণে, সুতরাং টেস্টেও যে এমন হবেনা তা ভাবার কোন কারণ নাই। আর সৌম্য, বিজয়, নাসির এরা তো অপেক্ষা করছেই খালি জায়গাটুকু দখলে নেওয়ার জন্য!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪০