আজ সেই ৭ই জানুয়ারী, ২০১১ সালের এই দিনে ভোরে ভারতীয় বি.এস. এফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল মানুষরূপী পিশাচ “অমিয় ঘোষ” পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার অন্তর্গত চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে বাংলাদেশী তরুণী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে তার লাশ কাটা তারের বেড়াতে ঝুলিয়ে রাখে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০৪ আর বি এস এফ দণ্ডবিধি ১৮১ ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও ভারত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করে। বিশেষ এই ট্রাইবুন্যালের দায়িত্বে ছিলেন বি.এস.এফের গৌহাটি রেঞ্জের আই.জি মিস্টার শ্রীবাস্তব।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের অনুসন্ধান অনুযায়ী গত ১৪ বছরে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী নাগরিক খুন হয়েছে ১০৫৫ জন। এর মধ্যে ২০১৩ সালে ১৮ জন, ২০১২ সালে ৪২ জন, ২০১১ সালে ৩৪ জন, ২০১০ সালে ৭৪ জন, ২০০৯ সালে ৯৮ জন, ২০০৮ সালে ৬২ জন, ২০০৭ সালে ১২০ জন, ২০০৬ সালে ১৪৬ জন, ২০০৫ সালে ১০৪ জন, ২০০৪ সালে ৭৬ জন, ২০০৩ সালে ৪৩ জন, ২০০২ সালে ১০৫ জন, ২০০১ সালে ৯৪ জন, ২০০০ সালে ৩৯ জন।
বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, “ফেলানী হত্যার বিচারে বিএসএফ সদস্যকে খালাস দেয়ার ঘটনা আমাদের গালে একটি চপেটাঘাত। জাতি হিসেবে আমরা ভারতের কাছে যে মূল্যহীন, তাদের কাছে আমাদের এক পয়সাও মূল্য নেই এটাই তার প্রমাণ। আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বলতে কিছু নেই বলেও তিনি মনে করেন।“
সীমান্তে হত্যা বি এস এফের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে । পৃথিবীতে বাংলাদেশই একমাত্র রাষ্ট্র যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের(ভারতের) ঋণ শোধ করতে গিয়ে নিজেদের মান- ইজ্জত, অর্থনীতি, কাঁটাতারে জীবন, সর্বোপরি স্বাধিনতাও বিসর্জন দিয়েছে।
পরিপূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উচু করে দাড়াতে হলে সবার আগে যেকোনো মুল্যে ভারতের আধিপত্য ও দালালদের হাত থেকে মুক্ত হতে হবে । এ যেন কাটাতারের বেড়ায় ঝুলছে পুরা বাংলাদেশ।
আমাদের যাদের বিবেককে ক্ষত-বিক্ষত করে আমাদের সিমান্ত হত্যার প্রতিবাদ স্বরুপ প্রতিবছর ৭ই জানুয়ারী ফেলানি দিবস পালন করব।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪০