সরকারের বিরধিতা করছিনা কিন্তু অর্থ মন্ত্রীর কিছু সমালোচনা করতে চাই, এতে ICT এর ৫৬ নং ধারায় পরে কি না কে জানে।
আমি একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। BSc করার জন্য ঢাকা এসেছি ২০১৪ সালে নিজের খরচ নিজেকে চালাতে হয় সাথে পড়া লেখা। ছোট্ট একটা চাকরি করি চলে যায় কোন ভাবে, দিনে না সপ্তাহে হয়তো ১০০/২০০ টাকা হাত খরচ করার ক্ষমতা রাখি তাও অনেক কষ্ট করে। আমার জানা নেয় অর্থ মন্ত্রী কোন ৩০ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে সার্ভে করছে যেখানে আমার তথ্য গুল ছিল না, সেখানে যাদের তথ্য ছিল তারা দিনে ১০০০/- টাকা খরচ করে, আর আমি দিনে ১০০০/- টাকা আয়ও করিনা। আমি আসলে বুঝিনা তিনি কি বয়সের ভারে উল্টা পাল্টা কথা বলেন নাকি আগে থেকে এমন? যখন ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসকে গ্রামীণ বাংক থেকে বিতাড়িত করা হয় তখন তাকে বিতাড়িতর অনেক গুলা কারনের মধ্যে একটা ছিল তার বয়স ৭০ বছর পেড়িয়ে গেছে আমার প্রশ্ন হোল ৭০ বছরের বেক্তির যদি একটা দেশের একটা বাংক চালানোর যোগ্য না থাকে তাহলে একজন ৮০ বছরের বেক্তি ঐ দেশের অর্থনীতি কিভাবে পরিচালনা করেন?
যেখানে ২১ লক্ষ সরকারী চাকুরীজীবীদের বেতন দিগুণ করা হচ্ছে সেখানে আমার মনে হয় বাংলাদেশের বেকারের সংখ্যা ২১ লাখের কম হবেনা। একদিকে সরকারী প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা পড়ালেখা করে ফ্রিতে অন্য দিকে আমাদের মানে বেসরকারির ছাত্রদের কোন দিন খোঁজ রাখার প্রয়োজন মনে করেনি কেউ যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কত টিউশন ফী নিতেছে তাদের সব কিছু ভাল করে পরিচালিত হচ্ছে কিনা বরং উল্টা তাদের উপড়ে ৭.৫% ভ্যাট বসানো হোল। আর অর্থ মন্ত্রী প্রশ্ন করেন আমার উপড়ে চাপ বারছে আমি এত রাজস্ব পাবো কথায়? এর উত্তরে আমি শুধু মাত্র প্রথমআলোর একটা লিংক নিচে দিলাম করের টাকায় আবারও ব্যাংক বাঁচানোর চেষ্টা
যেখানে মেরে খওয়া বাংক গুলোকে বাঁচানোর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০০০ কটি টাকা। তারা যে অর্থ চুরি করে মূলধন নষ্ট করছে সেই মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার কটি টাকা খরচ করা হচ্ছে সেখানে টাকা উনি কথায় পাবে? সরকার যখন বৃদ্ধি করে তখন করে ১০০% যেমন ট্রেনের ভাড়া সরকারী চাকরিজীবীদের বেতন, সেখানে আমাদের ভ্যাট কেন ৭.৫% আমাদের ভ্যাট বৃদ্ধি করে ১০০% করা হোক আমরা তাই পরিশোধ করি এতে সরকারের আয় আর একটু বাড়বে। সপ্তাহে ৬ দিন চাকরি করি আর রাতের বেলায় ক্লাস করি একদিন অফিস ছিটি কিন্তু ক্লাস করতে হয় সারাটা দিন। এতো কষ্টের টাকা দিয়ে বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল দেই, বর্ধিত গ্যাস বিল দেই, বাড়িভাড়ার উপড়ে নাকি ট্যাক্স দিতে হবে, সবকিছু বেশী দামে খেতে হয়, যানবাহনে চরলে সীমাহীন ভোগান্তি দেখবার কউ নেয় এত কিছু মেনে নিয়ে কুৎসিত এই ঢাকা শহরে শুধু মাত্র একটু পড়াশোনা করে নিজের ভবিষ্যৎ টাকে সুন্দর করার উদ্দেশে যে শিক্ষা গ্রহণ করছিলাম সেই মৌলিক অধিকার টাকে পুণ্য বানিয়ে তার উপড়ে ভ্যাট বসানো কিভাবে যক্তিক হয় আমাদের মত ছাত্রদের যখন বুঝে আসেনা তখন অর্থ মন্ত্রী আমাদের আন্দোলনের যক্তিক্তা খুঁজে পাচ্ছেননা।
সেখানেও মন্ত্রী বলেন ভ্যাট অনেক কম রেখেছি মাত্র ৭.৫% যেখানে সবখানে ১৫% মানি কি শিক্ষা কি পুণ্য? কোন বেক্তির মানসিক ভারসম্য ঠিক থাকলে এমন কথা বলতে পারেনা অন্য যত কিছু বৃদ্ধি করেছেন বাধ্য হয়ে তা দিচ্ছি কিন্তু শিক্ষাখাতে ভ্যাট আমারা দিবনা। যদি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভ্যাট দিতে হয় তবে তা ভ্যাট কেন থাকবে তার নাম হতে হবে ট্যাক্স আইন পরিবর্তন করুন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে বাণিজ্যিক বিদ্যালয় বানানা বেশী বেশী ট্যাক্স সংগ্রহ করুন বড়লোককে আরও বড়লোক করুন গরীবের পেটে লাথি মারুন শিক্ষা দিয়ে কোন জাতি উন্নতি করতে পেরছে? উচ্চ শিক্ষার দরকার নেয় আমিনিতে প্রতিবছর এতো A+ পাচ্ছে এটাই যথেষ্ট। সব কথার এক কথা ভ্যাট পারলেও দিমু না।
NO VAT ON EDUCATION
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২