কালকে একটা লেখা লিখেছিলাম তার নিচে এক ভাই মন্তব্য করছেন তার জবাবটা সেখানে দিতে চেষ্টা করছি এর এখানে লেখছি তাদের মত যারা ভ্যাট এর পক্ষে কথা বলছেন তাদের জন্য। তবে তার আগে তিনি কি লখেছেন তা এক ব্যাকে যদি বলি তাহলে লাইনটা এমন হবে যে সরকার তার যতজন লোকবল দরকার সে উনুযায়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে সেখানে যারা পরে তারে সেই যোগ্যতা অর্জন করে পরে আর আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সেখানে টাকার জোরে জাইগা করতেছি। এবং তিনি ২টা প্রশ্ন করছেন যেগুলোর জবাব আমি নিচে দিব আগে আমি কিছু কথা বলি।
আমি একটা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা করেছি আপনে জানেন বাংলাদেশে শুধু সরকারি ৪৭ টা পলিটেকনিকে কম্পিউটার সাবজেক্ট আছে যেখান থেকে প্রতি বছর ৪৮ জনে ৩০ জন পাস করে বের হয়, মোট ৩০ গুন ৪৭ করলে হয় ১৪১০ সেখানে আবার ২ তা শিফট আছে মানে সর্ব মোট প্রতিবছর কম্পিউটারে ডিপ্লোমা করে বাহির হয় ২৮২০ জন( আমি বেসরকারির হিসাব বাদ দিয়েছি বেসরকারির হিসাব করলে পরিমাণটা আরও বেশী হবে ) তাদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতো গুল আছে জানেন ১ টা (ডুয়েট) যেখানে কম্পিউটার সাবজেক্ট এ আসন সংখ্যা মাত্র ৭০ জনের। সেখানে লং এবং শর্ট মিলিয়ে কত জন পরীক্ষা দায় আপনে খোঁজ নিলে জানতে পারবেন। এখন উনার কথা মত সরকারের লাগবে ৭০ জন তাহলে সরকার এতো গুল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কেন তৈরি করল ১০০ জন করলে পারত। নাকি যারা ডিপ্লোমা করবে তাদের উচ্চ শিক্ষার অধিকার নেয়?
এইবার আমার কথা বলি আমি এস এস সি তে ভাল ফল করে মেরিট লিস্টের ২ হয়েছিলাম আমার যোগ্যতা বলে। যখন ডিপ্লোমা পাস করি আমার ইন্সটিটিউটে আমি ফলের দিক থেকে ৩য় হয়েছিলাম কিন্তু জানেন (ডুয়েটে) একজন ছাত্রের ভর্তি হওয়ার জন্য থাকা খওয়া কোচিং সব মিলিয়ে সর্ব নিম্ন কত খরচ পরে ৫০০০০/- টাকারও বেশী। এখন আমার বাবার ৫০০০/- টাকা দেবার সামর্থ্য নেয় এবং কোন চাকরি আমি করতে পারবোনা এখন প্রতিযোগিতাতে নামা দূরের থকালো নিজের অর্থের যোগান দিতে চাকরি খুজলাম এবং বেসরকারিতে ভর্তি হলাম। আমি চাকরি পেয়েছি খুব সহজে কিন্তু আমার মত সবার কপাল এতো ভাল না ২৮২০ জনে কত জন চাকরি করে পরে আর কত জন ঝরে যায় তার খোঁজ কউ রাখেনা।
৭.৫% ভ্যাট যত বড় কথা নয় তার থেকে বড় কথা শিক্ষার উপড়ে ভ্যাট কথাটা। সেখানে অনেকে বলছেন আপনি টাকা দিয়ে সার্ভিস নিচ্ছেন ভ্যাট দিবেন না ভাই বিয়ে করতেও কাবীনের টাকা দিতে হয় তার মানে কি আপনি টাকা দিয়ে বউ কিনছেন? যদি তাই হয় তাহলে তার উপড়ে ভ্যাট নয় কেন? এখন সেই ভাইয়ের একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই প্রশ্নটা ছিল
“আপনি বলছেন, " শিক্ষা ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ। "" এখানেই আপনি পরিচয় দিয়ে দিয়েছেন।।। শিক্ষা নিজেকে আলোকিত করার জন্যে।।। এজন্যেই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বাংলা,, ফারসি,,,, ইত্যাদি বিষয় থাকে।।।। অলাভজনক বিষয়।।। কেন এগুলো তারা চালু করে না।।।???”
এর উত্তরটা এমন, আমরা বলছিনা যে আমাদের প্রতিষ্ঠান অনেক ভাল তারা বাণিজ্য করছেনা, তারা সারাদিন ধান্দায় থাকে কিভাবে ছাত্রদের নিকট হতে টাকা খোলা যায় যেমন রেজিস্টেশনের ডেট মিস করলে ৫০০/- রেজিস্টেশনের টাকা জমা দিতে লাটে করলে ৫০০/- প্রিরেজিস্টেশন করতে দেরি করলে ৫০০/- টিউশন ফীর ডেট মিস করলে ৫০০/- আর প্রতি বছর যেভাবে টিউশন ফী বাড়ছে সেটা কল্পনার বাহিরে আর কথায় কথায় শুধু জরমিনা, ১০০/- টাকা বাকি থাকলেও পরীক্ষা হলে বসতে দিতে চায় না। এতো প্রতিবন্ধকতার মধ্যে সরকার আমাদের পক্ষে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে কি করল ভ্যাট বসিয়ে দিল। এখন বলবেন সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপড়ে ভ্যাট বসিয়েছে ছাত্রদের উপড়ে না। এখানে ২ টা কথা আছে
১ সেটা এখনও পরিষ্কার না। অর্থ মন্ত্রী এক এক দিন এক এক কথা বলেন। আর বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি বলেছে এই টাকা যে ভাবে হোক ছাত্রদের দিতে হবে।
২ প্রতিষ্ঠানের উপড়ে ভ্যাট হয়না যে টা হয় সেটা ট্যাক্স, যেমন আপনার যদি দোকান থাকে আপনাকে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হবে আর আপনার দোকান থেকে যে পুণ্য কিনবে সে দিবে ভ্যাট। এবার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যত লাভ করুক আইন অনুযায়ী তার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং তার একটা নিজের পকেটে ঢুকাতে পারেনা আইন অনুযায়ী ( যদিও কটি কটি টাকা দিয়ে পকেট ভরছে ) এখন যদি সরকারকে প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু নিতে হয় তাহলে বলতে হবে ট্যাক্স ভ্যাট না এবং সরকারকে তার আইন সংশোধন করতে হবে এবং তাদের মোট আয় অনুযায়ী ট্যাক্স নিতে হবে ছাত্রদের টিউশন ফী অনুযায়ী নয়। আপনারা তাদের অ্যাঁয়ের অর্ধেক নিয়ে যান আমাদের কোন সমস্যা নেয় কিন্তু আমরা এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যাচারে বাচতেছিনা আমাদের উপড়ে আর নতুন করে বোঝা চাঁপায় দিয়েন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১