১। লোডশেডিং মন্ত্রণালয় ; কিভাবে, কখন, কোথায়, কতক্ষণ, লোডশেডিং থাকবে তা এই মন্ত্রণালয় দেখাশোনা করবে। তাহলে সরকার ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলতে পারবে যে, লোডশেডিং মন্ত্রণালয় লোডশেডিং বাড়ায় দিলে আমরা কি করতে পারি! কিভাবে লোডশেডিং বাড়ানো যায় তা এই মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ।
২। অনর্থ মন্ত্রণালয় ; যাবতীয় আর্থিক দুর্নীতি,জোচ্চুরি,কেলেঙ্কারি বাড়ানো এই মন্ত্রণালয়ের একমাত্র লক্ষ্য। মনে হয় এটা সবচেয়ে জনপ্রিয় মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে পারে।
৩। ট্র্যাফিক জ্যাম মন্ত্রণালয় ; ঢাকা শহরসহ সারাদেশের অলিতে, গলিতে কীভাবে যানজট লাগানো যায় তার পবিত্র দায়িত্ব এই মন্ত্রণালয়ের উপর পড়বে।
৪। চুরি, ডাকাতি , ছিনতাই ও অপরাধ মন্ত্রণালয় ; রাষ্ট্রীয় মদদে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি সৃষ্টিতে অপরাধ বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকবে এই মন্ত্রণালয়ের।
৫। সাঁকো মন্ত্রণালয় ; কক্সবাজার, সেন্ট মারটিন, পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর তুলা, সূতা বা বাঁশের সাঁকো তৈরি করা এ মন্ত্রণালয়ের কাজ। মাঝে মাঝে কলার গাছের ভেলাও তৈরি করতে পারবে যখন সাঁকো তৈরির আগেই সুতা, বাঁশ চুরি হয়ে যাবে।
৬। দালাল/ প্রতিবেশী মন্ত্রণালয় ; আশেপাশের দেশের সাথে ভাল সম্পর্ক তথা দালালী করা। ভা,পা,চী,মা,আ,রা প্রভৃতি দেশের পা চাটার প্রশিক্ষণ দেয়া। সকলের সাথে উদার মনোভাব প্রকাশ করা এবং প্রয়োজন হলে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিলিয়ে দেয়া।
৭। মূর্খ / বেকার মন্ত্রণালয় ; শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা এই মন্ত্রণালয়ের গুরুদায়িত্ব। সেশনজট বাড়ানো যাতে কোন ছাত্র জীবদ্দশায়ও গ্রাজুয়েট হতে না পারে। প্রতিটি ছাত্রের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া এবং টেন্ডারবাজীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এই মন্ত্রণালয়ের কঠিন গুরুত্ব প্রদান করা।
৮। অবনতি মন্ত্রণালয় ; সারাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা এই মন্ত্রণালয়ের পবিত্র দায়িত্ব। প্রয়োজনে পেটুয়া বাহিনী গঠন করে গ্রাম ও শহরের উন্নয়ন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান তৈরি করবে।
উক্ত মন্ত্রণালয়গুলোতে যিনি জবরদখল এবং পেশী শক্তি দেখাতে পারবেন । পাবলিকের ভোটে কেউ মন্ত্রী হতে পারবে না।
প্রতিমাসে মন্ত্রীসভার বৈঠকে জনজীবন দুর্বিষহ এবং দেশকে অচল করা বিষয়ক আলোচনা বাধ্যতামূলক।
বিঃ দ্রঃ বাস্তবে এরূপ কোন মন্ত্রণালয়ের অস্তিত্ব নাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


