পুরুষ এবং মহিলার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ আলাদা যেমন আলাদা তাদের দেহের গঠন। এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ খোদা প্রদত্ত। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মহিলা দূর্বল এবং কোমল। অপরদিকে পুরুষ সবল এবং কঠিন। একই কারনে কামনা বাসনার ক্ষেত্রে নারীর বহিঃপ্রকাশ কম কিন্ত পুরুষের ক্ষেত্রে তা বেশী,অনেক সময় তা নিয়ন্ত্রণহীন।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণত ঘরে ঘরে ধর্মীয় আলোচনা,চর্চা এবং অনুশাসন মেনে চলার যে শিক্ষা তা নিতান্তই কম। ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে চিন্তা করলে পর্দার সঠিক বিধান কি তা আমাদের বেশিরভাগ অংশের অজানা বা জানলেও তা থুড়াই কেয়ার করি। এক্ষেত্রে নরনারী উভয়কে দৃষ্টি সংযত এবং লজ্জাস্থানের হেফাযতের কথা বলা হলেও তা পালন করা অসম্ভব প্রায় এবং আমাদের চেষ্টাও নেই।এজন্য বিশেষ করে যৌনতার ক্ষেত্রে সুস্থ চিন্তাধারা গড়ে উঠে না। তাইতো ভিখিরি,ট্রাক ড্রাইভার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক পর্যন্ত সবাই মহিলাদের ভোগ্যপণ্যে পরিনত করেন।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে বর্তমানে বাংলাদেশে 90% পুরুষ শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে ধর্ষক মানসিকতার। অর্থাৎ সুযোগ পেলে কর্ম হাসিলের মানসিকতা। তাইতো শিক্ষক কতৃক ছাত্রী, গৃহকর্তা কতৃক গৃহকর্মী, বখাটে কতৃক সাধারণ নারী প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হচ্ছে।কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান দিয়ে আসল চিত্র পরিমাপ করা যায়না। স্পর্শকাতর বিষয় বলে বাংলাদেশে এধরনের বিষয় প্রায়ই অপ্রকাশিত থেকে যায়। নিরবে নিগৃহীত হয় অসহায়।কয়টাই বা আসে মিডিয়ায়! বিচারের রায় প্রকৃতপক্ষে প্রভাবশালীদের পক্ষেই যায়। সামাজিক ভাবে হেয় হয় ভিকটিম ও তার পরিবার।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নরনারীর যে উদ্দাম উপচেপড়া ভিড় তাতে তো অনেক কিছুই হয় সাধারণত যা মিডিয়ায় আসে না এবং তা কাপড় ছিঁড়ে ফেলার চেয়ে কম কিছু নয়।এখানে যারা এসেছে সবাই জানে এই ভিড়ে সবাই ফেরেশতা নয় বরং খারাপ মানসিকতার এবং সুযোগ সন্ধানীদেরই থাকার সম্ভাবনা বেশী। তাই এধনের ঘটনার জন্য প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ ভাবে সমবেত নারী পুরুষ উভয়ই দায়ী।
সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমান হওয়ায় বাংলাদেশে খোলামেলা পোশাকে মেয়েদের চলাফেরা নেতিবাচক ও নিন্দনীয় এবং গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড বিবাহ বহির্ভূত লিভটুগেদার সিস্টেম প্রচলিত নয়।যেহেতু বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক দন্ডনীয় এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বলে বিবেচিত হয় সেহেতু অবাধ যৌনতা দূর্লভ। আর দূর্লভ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ প্রশ্নাতীত।অপরদিকে বহির্বিশ্বে এসব ব্যপার সাধারন ও সহজলভ্য বিধায় আকর্ষণ কম। তাই মানসিকতার পার্থক্যও বিস্তর ।(এখানে মানসিকতার পার্থক্য বিষয়ে বলা হয়েছে । এর অর্থ এটা নয় যে শুধুমাত্র এই কারনেই বাংলাদেশে এরকম ঘটনা বহির্বিশ্বের চেয়ে বেশী ঘটে।)
সুন্দর সমাজব্যবস্থা বাস্তবায়নে সুশাসন, ধর্মীয় অনুশীলন, পারিবারিক শিক্ষা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।নারী জাতি মায়ের জাত।তাকে ভোগ্যপণ্যের মত চিন্তা না করে মানুষ হিসাবে দেখা উচিৎ। তাকে তার প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কোন পুরুষের নেই। ধর্ম কখনোই নারীকে অসম্মান করেনি বরং উপযুক্ত সম্মান দিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৭