somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তনুর স্বজনদের হয়রানি নয় পারলে অপরাধী ধরে দেখান !

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
অসাধারন একটি লেখা-একবার পড়ুন দয়া করে।



ভেবেছিলাম তনু'কে নিয়ে লিখবোনা-কি হবে লিখে।কিছু কি আদৌ হয় এখানে বা অন্য কোথাও কিছু লিখে ?কিছুই হয়না ,কিন্তু চারিদিকে এত অনিয়ম দেখে আর দুই লাইন না লিখে পারলামনা।

আমাদের আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনি এতটাই অযোগ্য ও অদক্ষ যে তারা অপরাধি ধরার চেষ্টা করার চাইতে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করতেই বরং বেশি পারদর্শি।তাদের অযোগ্যতা যাতে মানুষ না বুঝতে পারে সেই জন্য তাদের তদন্তের নামে সকল হম্বি তম্বি চলে ভুক্তভোগি পরিবার বা ব্যাক্তিবর্গের সাথে।আর ভিকটিম যদি মেয়ে হয় তখন সবকিছু বাদ দিয়ে খুজে বেড়ানো হয় তার চারিত্রিক দিক।অর্থাৎ কোন কলংক আবিস্কার করতে পারলেই মনে হয় তারা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে হত্যা রহস্যের মিমাংসা করে ফেলবেন।পরিবাররের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে করা হয় হাজারো রকম হয়রানি।আর যদি কোন সদস্য এই হয়রানির কথা প্রকাশ করতে চায় তাহোলেতো তার খবর করে ছেড়ে দেওয়া হয়।ক্ষেত্রবিশেষে হমকিও দেওয়া হয় অপরাধি হিসেবে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ।অর্থাৎ বিচার চাওয়াটাই তখন অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়ে যায়।তনুকে নিয়েও চেষ্টা হোচ্ছে সেই নাটক রচনার প্লট।

বাবা/মা/ভাই ও বোনকে জেরার নাম করে সারা রাত থানায় রাখার কোন যুক্তিসঙ্গত কারন আজো আমি খুজে পাইনা।এটা অহরহ ঘটেই চলেছে।শোকসন্তপ্ত পরিবারবারের প্রতি সহানুভুতি দুরে থাক ন্যুনতম ভদ্রতাও দেখানো হয়না।আমরা জানি কোন খুন বা ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে নিকট জনদেরকেও সন্দেহ তালিকার ভেতরে রাখা হয়।কিন্তু তার একটা নিয়মগত পদ্ধতি রয়েছে,বাংলাদেশে যা খুবই দুর্লভ।অপরাধীদের পাশাপাশি আইন শৃংখলা রক্ষাকারিরাও হুমকি ধমকি দিয়ে স্বিকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে ভিকটিমের নিকটজনের কাছ থেকে।প্রতিটি দুর্ঘটনার পরে একই পদ্ধতিতে চলে আইন শৃংখলা বাহিনির তদন্তের ধারা।সেই ছোট্ট শিশু পাইপের ভেতরে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় যেমন অনুসন্ধান সেই একই পদ্ধতি তনু কিংবা অন্য কোন ঘটনায়ও।সাগর রুনির ৪৮ ঘন্টা আজো শেষ হয়নি।তনুর বেলায় ৭দিন কি শেষ হবে আদৌ কোনদিন!

প্রকৃতপক্ষে যতগুলো বড় বড় ঘটণার সমাধান হয়েছে তার বেশিরভাগই হয়েছে সাধারণ মানুষের সচেতনতায়।আইন শৃখলা রক্ষাকারি বাহিনি আজ পর্যন্ত কোন ঘটনায় অভুতপুর্ব সাফল্য দুরে থাক ন্যুনতম সাফল্যও দেখাতে পারেনি।সাংবাদিকরাই বরং অনেক বেশি ক্লু ও তথ্য বের করেছে বেশি।আমাদের আইন শৃংখলা বাহিনির কার্যক্রমে আমরা হতাশ হোতে হোতে এখন আর কোন আস্থাই রাখতে পারিনা।একরকম ধরেই নেই যে কোন সুরাহাই হবেনা এসব খুন ,ধর্ষণ সহ সকল অপরাধের।ক্যান্টনমেন্টের মত শতভাগ নিরাপদ এলাকায় ঘটে যাওয়া বা অন্য কোথাও ঘটিয়ে এখানে নিরাপদে লাশ ফেলে রেখে চলে গেলো আর কিছুই জানা হলোনা ৭দিন পরেও এটা কি মেনে নেওয়ার মত বিষয়।নিরপরাধী বা স্বজনদের হয়রানি না করে প্রকৃত অপরাধীদের ধরুন।আর না পারলে অযোগ্যরা একযোগে পদত্যাগ করে সরে দাড়ান।যোগ্যদের জন্য পথ ছেড়ে দিন।অযথা অকর্মন্য কাউকে জনগণের পয়সায় লালন পালন করার কোন অর্থ নেই।নিজেদের যোগ্য করে এখানে আসুন ।

আশা করি সরকার সচেতন হবে নতুবা এর দায়ভার কোন বাহিনি নয় সরকারকেই বহন করতে হবে।
same thing happening again and again
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১০
৩২টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×