somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোটা নয় -মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০% ।এটাই গাত্রদাহের কারন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




কোটা প্রথা নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন - তাদের কাছে আমার প্রশ্ন তারা আসলে কি চান । তারা কি সংস্কার চান সেটাই বলেননি এখনও।নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের যে ৩০% কোটা সেটা নিয়েই তাদের গাত্রদাহ ।কোন কিছুই পরিস্কার নয়, তাদের দাবিটা আসলে কি?

একটা খুব পরিস্কার ধারণা তাদের থাকা উচিত।আজকে এই যে তারা আন্দোলনের নামে প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে।সেই দেশটা অর্জিত হয়েছে নিঃস্বার্থ নির্লোভ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানেই।তারা কি কখনও কিছু চেয়েছে এই দেশের কিংবা সরকারের কাছে! বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অধিকাংশ সময় তারাই সবচাইতে বেশি নিগৃহিত হয়েছে বাংলার মাটিতে।তাদের প্রতি ন্যুনতম সন্মান দেখানো হয়নি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।অবস্থা দৃষ্টে আমার নিকট পরিলক্ষিত হয়েছে ,অধিকাংশ সরকারের সময় নির্যাতন করা হয়েছে তাদের উপর।কেনো তারা দেশটা স্বাধীন করেছে সেই আক্রোশ মিটিয়েছে সরকারের ছত্র-ছায়ায়। ৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত কঠিন সময় পাড় করেছে এই দেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।একটা সময় মনে হয়েছে এরা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান নয় সবচাইতে নিকৃষ্ট প্রজন্ম । মুক্তিযোদ্ধাদের ও এদের পরিবারকে হেনস্তা করা যায়,এবং এটা কোন ব্যাপারই না।আমরা একটা ঘোরের মধ্যে পতিত হয়েছিলাম।সেই ঘোর কাটিয়ে যখন সরকার কিছুটা দায় পরিশোধ করার নিমিত্তে মিনিমাম কিছু করতে চাইছে । তখন আবার মেধাবীরা বঞ্চিত হোচ্ছে সেই ধোয়া তুলে আবারো তাদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার প্রচেষ্টা।সারা পৃথিবিতেই কোটা ব্যাবস্থা বিদ্যমান।শুধু কোটা ব্যাবস্থাই নয় ,বিশেষ বিবেচনায় অনগ্রসর অংশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য হাজারো রকম প্রচেষ্টা।সেখানে আমরা ন্যুনতম সুযোগ দিতে প্রস্তুত নই।আমরা নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা দিতে চাই সবার আগে তোমার নিজের স্বার্থ।এতে যদি কেউ নিঃশেষ হয়ে যায় ,যাক।তাতে তোমার কিছুই আসে যায়না এই নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে বেড়ে উঠুক।সাবাস এই না হোলে বাঙালী ।একজন আরেকজন'কে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া নয় অন্যকে টেনে হিচরে যতটা সম্ভব নিচে নামিয়ে হোলেও আমাকে এগিয়ে যেতেই হব.।

যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোটায় পদ পূরণ না হোলে মেধা তালিকার বিবেচনায় শুণ্যস্থান পুরণ করা হবে।তারপরও কেনো আস্থা রাখা যাবেনা: সেটাই বুঝতে পারছিনা।দেশ স্বাধীন না হোলে কোথায় থাকতো আজকের এই আন্দোলন সংগ্রাম? ৭০% তো আমি মনে করি কোটার বাইরেই রয়েছে।নিশ্চই কোটা থাকার অর্থ এই নয় যে একেবারে অযোগ্যদের দিয়ে যেনো তেনো প্রকারে স্থান পূরণ করা হোচ্ছে।সত্যিকার মেধাবীরা ৫% এর মধ্যেও যায়গা করে নিতে পারে।ঐসব পার্সেন্টেজের দিকে না তাকিয়ে নিজেকে যুগোপোযোগি শিক্ষায় শিক্ষিত করলে কাউকে সম্ভব নয় দাবিয়ে রাখা।যোগ্য ও মেধাবীরা কখনই বেকার থাকেনা।মানুষের অদম্য স্পৃহা তাকে তার যায়গায় পৌছে দেয়।লক্ষ লক্ষ এমবিএ,বিবিএ সৃষ্টি না করে প্রকৃতপক্ষে যেসব কাজের জন্য শিক্ষিত জনগোষ্ঠির প্রয়োজন সে সকল বিষয়েই অগ্রাধিকার দেওয়া বান্ছনীয় বলে মনে করছি। কথায় কথায় সুষম বন্টনের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলি।অথচ নিজের বেলায় ষোল আনা না পেলে চিৎকার করে আকাশ,বাতাস এক করে ফেলি।আর এই পর্যন্ত প্রকৃতপক্ষে কয়জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য চাকুরি পেয়েছে সেটা কি হিসাব করে দেখেছি।নাকি শুধু হুজুগে মেতে চিৎকার করছি সব নিয়ে গেলোরে।বরং আমরা যেনো সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখি। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙ্গিয়ে যেনো সুযোগ সন্ধানিরা এর অপব্যাবহার করতে না পারে।আমার হিসেবে এই অপব্যাবহার ২০% এর ও অধিক।

সর্বোপরি কোটা সংস্কারের নামে যেনো শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের'কে বঞ্চিত করা না হয় সেটুকুই নিশ্চিত করা হোক।এবং অবশ্যই কোটায় পদ পূরণ না হোলে যেনো মেধা দিয়ে সেই শুণ্যস্থান যথাযথভাবে পূরণ করা হয় ।দেশটা আমাদের সকলের ,যদি সত্যিকার অর্থে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়ে থাকে তাদের'কে ন্যুনতম সন্মান দেখানো আমার আপনার সকলের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি।শুধু সতর্ক দৃষ্টি রাখি যেনো এই দেশে স্বাধীনতা বিরোধী ও দেশ বিরোধীরা যেনো কখনই দেশের মানুষকে নিয়ে ছিনি মিনি খেলা করার সাহস না পায়।এদেরকে সকল স্থান, পদও পদবি থেকে দুরে রাখাই হবে প্রকৃত বাংলাদেশ।আইন করে দেশ বিরোধীদের সকল সরকারি পদে নিষিদ্ধ করতে হবে।

ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:০৬
২২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×