স্বদেশপ্রেম / ভাষা / স্বাধীনতা / বিজয় দিবস /মুক্তিযুদ্ধ / রাজাকার/ যুদ্ধাপরাধি /মানবতা -আরো অনেক কিছুর সাথেই সাদৃশ্য নেই পৃথিবীর অনেক দেশের।কাজেই তাদের মত হবে আমাদের মনোভাব এটা ভাবার কোন কারন নেই।পৃথিবির বুকে বাংলাদেশ নামক দেশটির জন্ম ইউনিক।কারো দয়া বা করুনার দান নয় বাংলাদেশটা।খুব স্বল্প সময়ে এত আত্যাধিক মানুষ জিবন দেয়নি কোন দেশ ও ভাষার জন্য।
আমার জন্ম নিয়ে প্রশ্ন যে তুলবে তাকে আমি ছেরে কথা কইবো এটা ভাবার কোন কারন নেই।(বাংলাদেশের জন্ম) যারা বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করেছিলো তাদের পক্ষে সাফাই গেয়ে স্বয়ং শেখ হাসিনাও পার পাবেনা।আর কোন এক কবিতো কোন ছাড়।এই দেশের মাটিতে মিশে আছে ৩০লক্ষ শহিদের পবিত্র রক্ত।যারা জামাত /শিবির বা যুদ্ধাপরাধির পক্ষে কথা বলবে এই বাংলায় তারা যত বড় মুক্তিযোদ্ধাই হোকনা কেনো তাদেরকে আমি রাজাকার বলেই গালি দেবো দিন শেষে।হোক তিনি দেশ বরেণ্য কিংবা বিশ্ব বরেণ্য -তার কোন অধিকার নেই যুদ্ধাপরাধিদের পক্ষে দালালী করে আবার নিজের অধিকার চাইবার।
একটা দেশের কৃষ্টি /শিল্প /সাহিত্য /কবিতা /উপণ্যাস কোন কিছুই তার স্বাধিনতার চাইতে বড় নয়।কাজেই জ্ঞান গড়িমায় যত বড়ই হোক একজন মানুষ তাকে দেশের হত্যাকারির পক্ষে কথা বলার অপরাধে সর্বোচ্চ সাস্তী দেওয়ার পক্ষেই আমার মত।
একজন আল মাহমুদকে -আপনি একজন কবি ওমর খৈয়াম কিংবা কবি আলাওয়াল ভাবলেও সেটাতে আমার সমস্যা হওয়ার কথা না।কিন্তু কোন ব্লগার যখন আরেকজন ব্লগারকে আক্রমনাত্মক পোষ্ট এবং অন্যদের ট্যাগিং করা নিয়ে অযৌক্তিক প্রশ্ন তুলেন। সেটা নিয়ে আমিও প্রশ্ন তুলবোই।কারন আমি মনে করি ব্লগাররা সমাজের সচেতন মানুষের মধ্যে অগ্রগণ্য।কবি আল মাহমুদকে নিয়ে বন্দনা করার উপযুক্ত স্থান হইতেছে বাশের কেল্লা / সোনা ব্লগের মত কোন ব্লগ। আল মাহমুদ কিংবা মেজর হাফিজকে রাজাকার বললে যাদের যন্ত্রণা হয় তাদের কাছে প্রশ্ন -একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বা এর স্বপক্ষের লোক কোন যুক্তিতে রাজাকারদের সহায়তা কামনা করে ! কিংবা তাদের পক্ষে কলম ধরে ?এবং এরপরে এদেরকে সন্মান করার কোন যৌক্তিক কারন কি আছে ? হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা এই দেশে মানবতার ম পর্যন্ত পায়না।পক্ষান্তরে যারা অনেকের চাইতে আরো অনেক বেশি ভালো আছে তারাই বেঈমানী করছে মাতৃভুমির সাথে।এদেরকেতো যৌক্তিকভাবেই রাজাকারে ভুষিত করা যায়।যেখানে আওয়ামি লীগ /ছাত্রলীগ/বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বললেই প্রতি নিয়ত শুনতে হয়েছে ভারতের দালাল বা দুস্কৃতিকারি।আর বর্তমানে দেশ দরদী ও সচেতন নাগরিক বা তথাকথিত জাতিয়তাবাদি সৈনিকরা অনবরত ট্যাগিং করেই যাইতেছে চেতনার দালাল/চেতনা ব্যাবসায়ী আরো কুৎসিত কত উপাধী।মুক্তিযুদ্ধের কথা বললে সেটা যদি চলে যায় বর্তমান সরকারের পক্ষে তাহলে হয়ে যায় দলকানা।হোয়াট এ জোক ।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হিসেব করে রাজাকার /দালাদের তোয়াক্কা করে কথা বলতে হবে।
ইতিহাসে ,মীর জাফর আলী খাঁ ও গো.আজমকে নিয়ে আপনাদের মুল্যায়ন কি ? পলাশীর যুদ্ধের পুর্বেও প্রধান সেনাপতি ছিলো আবার গো.আজম নাকি ৫২-র ভাষা সৈনিক।তাদের পুরো জিবনকে মুল্যায়ন করে তাদেরকে কি পদক দিতে চান সৈয়দ বংশের ব্লগাররা ?শুধুমাত্র একটি ভুলের জন্য নিক্ষিপ্ত হয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে।আর কবি আল মাহমুদ কোন নবাবজাদা ? আপনারা তাদের পুজা করতে চান করুন অন্যদের নসিহত করার পুর্বে দশবার নয় হাজারবার চিন্তা করে কথা বলুন।নচেৎ রাজাকারের উত্তরাধিকারের তকমাটা গলায় জুলিয়ে লান্নতের জিবনকে স্বাগত জানান।কেউ স্বেচ্ছায় তার সারা জিবনের অর্জনকে বিষর্জন দিলে সেটাকে আত্মবিষর্জন ধরেই আমি তার বিচার করবো।আমার মাতৃভুমির অমর্যাদা যারা করবে তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র মানবতা দেখানোর প্রয়োজনিয়তা আমি অন্তত মনে করিনা।
পরিশেষে খন্দকার মোস্তাক কিংবা মেজর জিয়া একদার বীর যোদ্ধারা আমার কাছে রাজাকারের চাইতে বড় রাজাকার।আপনার কাছে ঈশ্বর হলেও হতে পারে।তাতে আমার বলা বন্ধ হবেনা।কারন আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই বলে যাবো।আমাকে যে উপাধিতেই ভুষিত করা হোকনা কেনো।
জয় বাংলা ,
জয় বঙ্গবন্ধু।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৩