সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে একদল যুবক হাঁটে
রাতের শেষ অন্ধকারে ছোড়ে নক্ষত্রের মতন সিগারেটের ধোঁয়া
একজন মন্তব্যকষে; ব্রাইট কলার! যেন গোয়ার্নিকা দৃশ্যপটে।
আরেকজন বলে দৃশ্যপটে তোমার গোয়ার্নিকা ক্ষুধার্ত
মধ্যরাতে সে রাসকোলনিকভ হতে চায়; দস্তয়ভস্কির পেটে ছুরি ধরতে
কার্পণ্য করেনা তৃতীয় জন। যা আছে সব দে, শালা
না হয় বাড়িতে পাঠিয়ে দিব একলা।
চতুর্থ জন বলে গাঞ্জা টানতে হবে... বাকিটুকু পড়ুন

কবি যদি হতেম
তবে কাফকায়েস্কে আক্রান্ত কবিতার হাতে
মরুর সব শেয়ালেরা হত ক্রুসেডের মূর্ত বিম্বে
মাতাল খোঁয়াড়ি;

কবি যদি হতেম
তবে প্রাগৈতিহাসিক বৃদ্ধ শেয়ালের রক্ত হতে
মধ্যপ্রাচ্যের সব স্ত্রোত কাব্য নিক্ষেপ করতাম
উত্তাল ভূমধ্যসাগরে।
বাকিটুকু পড়ুন

মহাকালের নায়ক তুমি
তুমি এসেছ এই সবুজের বুক ছিঁড়ে
মধুমতী থেকে মহানন্দা, কালের স্রোত ছিঁড়ে তুমি
বিদগ্ধ ও বিস্মৃত প্রেমিকারে দিয়েছ মুক্তির মহাকাব্য

তোমার কৃষক আজো কিষাণীর অপেক্ষায়
আর কত একাত্তর কেটে যাবে
আর কত একাত্তর কেটে গেলে
বিশ্বাসের তুলিতে লেখা হবে তোমার সেই পুরনো অথচ
আজো জীবন্ত সেই ভাষণ

আর কত একাত্তর কেটে গেলে... বাকিটুকু পড়ুন

বিস্বাদের পরিত্যাক্ত বীজ ভেবে উপরে ফেলতে চেয়েছিলাম পুরনো ইতিহাস
বারবার অমাবস্যার রাতে জলজ পেঁচার ডাকে ঘুম ভেঙে হতাম হতাশ

গ্রাম্য শিশুর দলের মত সব খেলা ধুলোর জামায় শেষ হলেও
রাতের শেষ নিঃশ্বাসে এসে পাড়ি দিতে হত এক পাথর সময়।

জীবনকে ভিড়াতে চেয়েছি দুটি গোলাপ রাঙা ঠোঁটের কাছে নতজানু হয়ে
সময়কে পাড়ি... বাকিটুকু পড়ুন

পুরনো স্মৃতির বাক্স মাটিতে জমে লাল হয়েছে
যেখানে পুতে রেখেছিলে পিতার হাতের রাইফেল
যুদ্ধের মরিচিকা আর ধূসর বিগলিত স্মৃতি বয়ে যায় পিতার অনন্ত শরীরে
আজো বিশ্বাসে লালন করো পিতা তুমি, পিতামহের উর্বর জমিন
যেখানে বারবার এখনো গড়িয়ে নামে স্নেহের চৈতন্যের স্বেদ।
জীবন নেমে এসেছে উর্বর জমিন ফেলে কর্দম ফুটপাতে
লি-তোমাকে শোনাতে চেয়েছি রক্তজ... বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও যেন থামতে চাই আমি
সূর্য উঠতে না উঠতেই ছুটছি দিগ্বিদিক
প্রান্তরের সব বাদুরেরা আমার আকাশ
ত্যাগ করে অনেক অজানার আকাশে মিলেছে;
শেষ বাঁশঝাড়ে রাত্রী যাপনের অপেক্ষায়।

আবার অস্তমিত হবার আগেই
সব বাস, ট্রেন স্টেশন হতে স্টেশনে থামে।
যাত্রীরা সব যে যার পথে চলে যায়
আমারও আছে সবার মতন নিয়মিত গন্তব্য।
অফিস-বাসা, বাসা-অফিস; -ননস্টপ।

তবুও কোথায়... বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন সকালবেলায়
নিক্ষিপ্ত হই একটি প্রতিচ্ছবির কাছে।
প্রারম্ভিক প্রসন্নতায়
যেই ছুটি একটি মায়াবি ঘ্রাণের টানে,
বত্রিশ পেরিয়ে
... বাকিটুকু পড়ুন

মেঘের রাজ্যে অশ্রুরাও ঘোলাটে হয়
হয়-যখন আকাশের অসুখ করে
বালিকার দলেরা সব পেয়েছিল একদিন ভয়
যখন ত্রিশূলের শেষ সীমায় চলে
প্রথম স্পর্শের গোপন বৌচি খেলা।

মাঝে মাঝে চাঁদোয়া আকাশে মেঘেরা ডানা মেলে
মেলে-যেন স্মৃতির বারান্দার সব রোদ ঢেকে
এনে দিবে কে –এক ঝুড়ি নরম ঘাসফুল।
এক ঝুড়ি নরম স্পর্শের গোপন বৌচি... বাকিটুকু পড়ুন

এখন আর লিখতে ইচ্ছে করেনা
কি নিয়েই বা লিখব?
তুমি বলেছিলে-
কবিতা তোমার
বাকী সব যদি কখনো হয়ও অন্য কারোর জন্য

আজো আমি কবিতা লিখি শুধু তোমার জন্য
তুমি এভাবে মুখ ফিরিয়ে নিলে
তবে কিভাবে লিখি বলো
যখন কলমের ডগায়
উঠে আসো অস্পৃহ তুমি এখনো।
বাকিটুকু পড়ুন

বিস্তীর্ণ রাশি রাশি জল শুষে নাও তুমি
শরীরের ভাঁজে জমে প্রতিদিন
প্রাতঃস্নান শেষে। শাওয়ারের শিশির বিন্দু ক্লান্তিহীন;
অবিরাম। হাত বাড়ালেই নির্দিষ্ট তুমি প্রতিদিন
মুছে নাও অনির্দিষ্ট সব জলের ফোঁটা

শুধু জমে থাকে কবোষ্ণ স্মৃতির ঘনঘটা।
বাকিটুকু পড়ুন

শুনেছি রাত্রির পাহাড়ে গেলে হাওয়া বদল হয়
সেখানে জোনাকিরা গান গায়; দেয় মদিরা রাত্রির গান
পাহাড়ী পাখিরা চারদিকে দু চারটে শীষ দিয়ে বলতে চায়-
এখানের সব বাতাস আমাদের।
বানরেরা ডালা ঝাপটিয়ে বলতে চায়-
এই বৃক্ষ আমাদের; এখানে তোমার কাজ নেই।
দুটি সিগারেটের ধোয়া বাতাসে এলিয়ে দিয়ে
পাহাড়কে বুকে জড়িয়ে একটু নির্জনতা... বাকিটুকু পড়ুন

শিশু, তোমার ডাক নাম শিশু
তোমার ছদ্মনামও শিশু
পৃথিবীর অস্তিত্বের পক্ষে তুমি আদিম সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান
তুমি মানব জাতির কর্ণধার
তুমি একটি প্রধান শিশু, একটি প্রথম ভ্রুণাস্তিত্ব
একটি প্রধানতম সম্পর্কের ভ্রুণ
যৌনতা নয়, যৌন সম্পর্কের সর্বোত্তম আনন্দের প্রতিশব্দ তুমি
ভালোবাসার সর্বোচ্চ পরিণয়সূত্র তুমি

প্রিয়তমার জরায়ু ভেদকরে তোমাকে
আমি স্থাপন... বাকিটুকু পড়ুন

আমি এসেছি সমুদ্রের ঢেউ ভেঙ্গে
রাত্রির ক্ষণিক জোয়ার আর ভাটা অতিক্রম করে
মাছের দেশ থেকে উঠে এসেছি
যেখানে শৈবালেরা গড়ে তুলেছে আমাজান বন।

আমি এক আধুনিক টারজান
শরীরের সব কৃষ্ণকেশ আর বিভ্রংশ লেজ নেই এখন
এ আমার অহংকার
তাই আমি এক আধুনিক মৃৎশরীর।

আমি জানি আমার শেষ রক্তবিন্দু হবে
সহস্র কার্বন পরমানু... বাকিটুকু পড়ুন

তোমার সব খই ফোটানো কথা, আর সব আহ্লাদী ঢেউয়ের উন্মাত্ততা নিয়ে
স্মৃতির পাঁচফোড়ন সাজিয়ে যেন বসে আছো এক বিলাসী-ছায়ামানবী হয়ে
যেন সব প্রাগৈতিক বিকেল আবার কেঁদে উঠে স্বৈরিণীর স্বেদজ প্রেমে
জীর্ণ ধুলো, নির্ণাভ রাতের আটকুঠুরিতে জমে থাকে স্বিন্ন শরীরের ক্লেদ।

শেষ চরের ঠিকানা ভুলে ভাসতে চাই আবার মেঘেদের ভেলায় চড়ে
আকাশে আকাশ রেখে... বাকিটুকু পড়ুন

চল্লিশোর্ধ জীবন পেড়িয়ে যদি
কোন এক চিলতে রোদের ছায়ায়
তুমি আমি হঠাত এসে দাড়াই
যদি চোখে চোখ রেখে বলি
ভালোবাসো? তবে কি বলবে-
ঠিক আগের মতন, তোমাকেই
ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি।
অনেক অনেক ভালোবাসি।

কারণ- তোমার দেওয়া গ্লানিই যে
আমার ভালোবাসার একমাত্র স্মৃতি।
বাকিটুকু পড়ুন