somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার পরিচয়

অর্ক

আমার পরিসংখ্যান

অহরিত
quote icon
কিছু বলার নেই।
আমার সকল পোস্ট (ক্রমানুসারে)

ব্লগের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আমার লেখক হওয়ার গল্প

লিখেছেন অহরিত, ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



২০০৬ সালে এই ব্লগে প্রথম আসা। একজন জনপ্রিয় ব্লগারের সিআরপি এর ভেলোরী টেলরের জন্য ন্যায্য অধিকারের দাবী নিয়ে জানানো একটি প্রতিবাদী পোস্ট তখন বেশ সাড়া ফেলেছিলো। আজকাল ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ভাইরাল শব্দটা খুব বিখ্যাত। এখনকার যুগের সব ভাইরালের বাবা ছিলো সেই পোস্টটি। লেখাটি পড়ে মনে হয়েছিলো... বাকিটুকু পড়ুন

১২ টি মন্তব্য      ১৬৫ বার পঠিত     like!

নামহীন - ৬

লিখেছেন অহরিত, ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

আম্মার সকাল সকাল খুব মন খারাপ। আমি ভয়ে ভয়ে কাছে যেয়ে বলি, স্যারের বেতন দিতে হবে। ১২০০ টাকা দাও।
আম্মা মুখ খারাপ করতে যেয়েও থেমে গেলো। অন্য দিকে তাকিয়ে বললো, আমার কাছে নাই। তোর বাপকে ফোন করে তার কাছে টাকা চা। আমার কাছে টাকার কথা বলবিনা আর।
আমি ঝগড়ার প্রিপারেশন নিলাম। জানি... বাকিটুকু পড়ুন

১৮ টি মন্তব্য      ৫৪০ বার পঠিত     like!

নীতু এবং একজন যাযাবর

লিখেছেন অহরিত, ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

নীতুর সর্দি লেগেছে। বারবার নাক টানছে। আমি ফোনের এপাশ থেকে বুঝতে পারছি ওর দিনকাল খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা। হোয়াটসএপে খুব একটা ভালো কথা শুনা যাচ্ছেনা। আমি আবার মেসেঞ্জারে চেষ্টা করলাম কথা বলতে। নীতু বারবার বলছে, আমি ভালোবাসি। আমি তারপরও আরেকবার আরেকটু স্পষ্ট করে শোনার জন্য ওকে ফোন করেই যাচ্ছি। ও... বাকিটুকু পড়ুন

২৩ টি মন্তব্য      ১২০৬ বার পঠিত     like!

নবনীতা

লিখেছেন অহরিত, ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৬

“নদীর বুকে কষ্ট জমাট বাধে রে?” – অপর্ণাদি চেয়ে থাকেন আমার দিকে। তবে সেই চাওয়ায় উত্তর খোজার কোন প্রত্যাশা নেই। তার চেয়ে থাকা শুধুই একটা স্থবিরতা। আমাদের ছোট্ট চিত্রা নদীর পার ঘেষে ছগীর চাচার নৌকাটা ঢেউয়ের সাথে সুর তুলে এগিয়ে যায়। আমি তাকিয়ে থাকি অপর্ণাদির দিকে। অপর্ণাদি চোখ সরিয়ে মাঝির... বাকিটুকু পড়ুন

১৩ টি মন্তব্য      ১২১৭ বার পঠিত     like!

বিভাজন

লিখেছেন অহরিত, ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

“তোমার তো আমার সাথে এমনটা করার কথা ছিলোনা তাই না? এমন করতে পারলা?”
আমি মিতির দিকে তাকিয়ে থাকি। মিতিকে আমি কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিনা। মিতি আমার দিকে তাকাচ্ছেনা একবারও।তাতে অবশ্য ভালোই হয়েছে। যেই কয়বার ভুল করে তাকিয়েছে আমি প্রকান্ড একটা ঘৃণা দেখেছি। ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মত ঘৃণা, একটা মানুষ আরেকটা... বাকিটুকু পড়ুন

৯ টি মন্তব্য      ১০০২ বার পঠিত     like!

নামহীন - ৫

লিখেছেন অহরিত, ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

রইছ উদ্দিন তার পুরানো ছালাটা মনোযোগ দিয়ে দেখে। ছালার মাঝখানে ফেড়ে গেছে।সেলাই করা দরকার। বোন হাসনাহেনা নয় মাসের পোয়াতি, তার মধ্যে ডাক্তার বলে কি কি যেন সমস্যা হয়েছে তার। বোনকে সে ছালা সেলাই করার কথা বলতে সাহস পায়না। এই ছেড়া ছালা সে আগে যেই গ্যারেজে রিকশা চালাতো সেখানের মহাজন থেকে... বাকিটুকু পড়ুন

৫ টি মন্তব্য      ৪৭৯ বার পঠিত     like!

নামহীন - ৪

লিখেছেন অহরিত, ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

পানের পিক যেখানে সেখানে ফালাতে রহিমা বেগম খুব পছন্দ করেন। তার মনে আজকে রঙ লেগেছে। তাই একের জায়গায় দুটি পান একসাথে মুখে পুরে তিনি আনন্দে চিবোচ্ছেন। উদ্দেশ্য মেম্বারের বাড়ির দেয়ালে ইচ্ছামত পানের পিক ফেলা। পাশের সবাই খুব বিরক্ত চোখে তার দিকে তাকাচ্ছে। আজ শুক্রবার পবিত্র জুমা্র দিনে মেম্বার সাহেবের বাড়িতে... বাকিটুকু পড়ুন

১৬ টি মন্তব্য      ৬০৮ বার পঠিত     like!

নামহীন - ২

লিখেছেন অহরিত, ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

"কাল যাবি একবার ওর বাসায়?"
আমি মহিমের দিকে তাকিয়ে থাকি। কিছু বুঝতে পারছিনা কি বলবো।রাগ হচ্ছে, খুব রাগ। কিন্তু রাগ ঝাড়ার মানুষ নেই। মহিম আবার জিজ্ঞাসা করে, "হয়তো কোন সমস্যা ছিলো"।

আমি মাথা নাড়ি। আস্তে আস্তে বিড়বিড় করে বলি, "হয়তো ছিলো।"

ওপাশের ঘর থেকে ফাহিম চিৎকার করে বললো, "শালার পুত আগেই বলছিলাম বুইঝ্যা... বাকিটুকু পড়ুন

৬ টি মন্তব্য      ৪৪৫ বার পঠিত     like!

নামহীন - ১

লিখেছেন অহরিত, ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

ঠক ঠক করে দরজায় আওয়াজ হচ্ছে। বাতের ব্যথার জন্য আজকাল সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করেনা। কোন শালায় আসছে কে জানে। মাত্র সাড়ে আটটা বাজে, এখন না আসলে কি হইতোনা?প্রায় দুইমিনিট নানান কসরত করে বিছানা ছেড়ে উঠে আমি দরজার দিকে আগায় যাই। দরজা খুলে উঁকি দিয়ে দেখি আমার বন্ধু মুরশিদ।... বাকিটুকু পড়ুন

৭ টি মন্তব্য      ৪৯৩ বার পঠিত     like!

সাতরং হাহাকার

লিখেছেন অহরিত, ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০২

সাবেরার সাথে আমার পরিচিত হওয়ার কোন ইচ্ছা ছিলোনা। কিন্তু টিউশনী ছেড়ে দেয়ার পর ছাত্রের মা নতুন একটা টিচার এনে দেয়ার জন্য এমন অনুরোধ করলো যে আমার কিছু করার ছিলোনা। এমআইএসটি এর একটি ফেসবুক পেজে আমি তাই পড়াইতে আগ্রহী টাইপ পোস্ট দেয়ার এক ঘন্টা পর সাবেরা আমার মোবাইলে কল করে বলে,... বাকিটুকু পড়ুন

৩০ টি মন্তব্য      ১২২১ বার পঠিত     like!

অমানুষ

লিখেছেন অহরিত, ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

আমি মেয়েটাকে অনেকক্ষণ ধরে খেয়াল করলাম।লাল রঙের জ্যাকেট।সাথে গলায় মেরুন রঙের মাফলার জড়ানো। একটু পরপর নাক টানছে,অথচ এখন মোটেই শীতকাল না। গাড়িতে উঠে সে পিছনে ভয়ে ভয়ে তাকাল। তারপর জ্যাকেটটা খুলে আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে মনে হয় কিছু বলতে চাইলো। একবার মনে হয়েছিলো ভদ্রতা করে নামটা জিজ্ঞাসা করি। পরে... বাকিটুকু পড়ুন

৩ টি মন্তব্য      ৭৬০ বার পঠিত     like!

তোমাকে ভালোবাসতে

লিখেছেন অহরিত, ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৫


“মাঝে মাঝে তোমার সাথে খুব প্রেম করতে ইচ্ছা হয়? তোমার বোঁচা নাকের উপর ছোট ছোট চোখ দেখে মায়াই হয়।আহারে এতোগুলো বছর গেলো একটা প্রেম করতে পারলানা ঠিকমত”।

আমি ফাইযার দিকে তাকিয়ে হাসি। ওকে বলি, “ভাই ক্লাস ফালায় তোমার এতো উপকার করি কোম্পানী দিয়ে, তাও এইভাবে অপমান করতেছো কেন?”

ফাইযা হাসতে হাসতে বলে,... বাকিটুকু পড়ুন

১২ টি মন্তব্য      ১৯৩১ বার পঠিত     like!

ঈশ্বর

লিখেছেন অহরিত, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

মুরহাউজের ভেতরে আজকে অন্যরকম আলো খেলা করছে। লেন্ডল হেলশায়ার, মুরহাউজের বর্তমান মালিক তার মেয়ের জন্মদিনে তাকে একটা ছোট্ট বাদামী ঘোড়া উপহার দিয়েছেন। সেই খুশিতে মেয়ে বাবাকে আজকে প্রথম তার প্রিয় হোভহানেস পিয়ানো বাজিয়ে শোনাবে। মা লরা ক্লানেস খুব সুন্দর করে সেজেছেন সান্ধ্য উৎসবের জন্য। লেন্ডল গায়ে চড়িয়েছেন তার সবচেয়ে... বাকিটুকু পড়ুন

৮ টি মন্তব্য      ৬১৪ বার পঠিত     like!

পাপ

লিখেছেন অহরিত, ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৪

আমার বাড়ির পাশে ইছামতি নদী।ছোটকালে দেখতাম আশেপাশের হিন্দু ঘরগুলো নদীতে তাদের প্রতিমা বিসর্জন করতো বেশ খুশি খুশি মনে। আমি কষ্ট পেতাম, আমার মনে হতো এত আহলাদ করে বানানো প্রতিমাটা কেন এমন করে ডুবিয়ে দিলো। আচ্ছা প্রিয় জিনিসটা এভাবে বিসর্জন দেয়া এতো সহজ কেমন করে হয়? মাকে জিজ্ঞেস করতাম “মা তুমি... বাকিটুকু পড়ুন

৬০ টি মন্তব্য      ২১১৯ বার পঠিত     ১৭ like!

বাবাই

লিখেছেন অহরিত, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

“আমার যেন পাহাড় দেখতে বেশ ভালো লাগে”, কথাটা বলে আমি ক্রিশ্চিয়ানার দিকে তাকাই। ও তখন মনোযোগ দিয়ে তার ধরা মাছগুলো গুনছিলো। ক্রিশ্চিয়ানাকে আমি সংক্ষেপে ক্রিশি বলে ডাকি। ক্রিশি আমি মিনেসোটার যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পি.এইচ.ডি করছি সেখানে এডমিশন অফিসার। তার কোন স্বামী সন্তান অথবা এডপ্টেড চাইল্ড নেই এবং সে অত্যন্ত রুপবতী। কিন্তু... বাকিটুকু পড়ুন

৪৪ টি মন্তব্য      ৮৭৭ বার পঠিত     like!
আরো পোস্ট লোড করুন
ব্লগটি ১১৩২৪৪ বার দেখা হয়েছে

আমার পোস্টে সাম্প্রতিক মন্তব্য

আমার করা সাম্প্রতিক মন্তব্য

আমার প্রিয় পোস্ট

আমার পোস্ট আর্কাইভ