এজীবনে আমি বহুবার না শুনেছি আর অবাক হয়েছি-মানুষের না বলার অসীম ক্ষমতা দেখে! কত সহজেই না বলা শিখে গেছে মানুষ,
লাল না, নীল না, সাদা না, কালো না সবুজ না ,আকাশ বাতাসে শুধু না না আর না। তাইতো এখন আর মুখের ওপর কেও না বলে দিলে আমি আর আগের মত হোঁচট খাই না। স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেই।
এইতো সেদিনও এক অন্ধ লোককে কিছু টাকা দান করব বলে একশ টাকার ভাংতি চেয়েছিলাম দোকানদার সাইফুলের কাছে।ও যখন সরাসরি না বলে দিলো –তখনো ওর হাতে দশটাকার বিশটা নতুন বঙ্গবন্ধুর নোট!
চাকুরীর ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম সোনালী ব্যাংকে,
লিখিত পরীক্ষায় প্রথম, ভাইবা বোর্ডেও সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।
ঠিক যখনই চাকরিটা ফাইনাল হিসেবে ধরে নিলাম,
তখনই ওরা সরাসরি না বলে দিলো।
সিলভিও ভুল করেনি না বলতে,
ছয় ছয়টা বছর একসাথে থেকেছি,
কত সৃতি, কত হাসি, কত গান।
অথচ কোত্থেকে এক আমেরিকা থাকা ছেলে-
এসে সহজেই দখল করে নিল আমার স্থান।
শেষে সিলভিও......
সুসময়ে কারি কারি টাকা বিলিয়েছি বন্ধুদের পিছনে,
কিন্তু মা যখন হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় লড়ছে-
তখন বন্ধুদের কাছেই গিয়েছিলাম টাকা ধার চাইতে।
আশ্চর্য, ওদের সকলেই কত সহজে না বলে দিলো!
চারিদিকে সবাইকে না এর এত মেগাশপ খুলতে দেখে-
আমিও একদিন না বলেছিলাম,
এলাকার বিখ্যাত সন্ত্রাস কালা পিনটুকে।
কিন্তু আমিতো বাচতে পারিনি,
সোজা গুলি করে দিয়েছে পায়ে।
আমি দাবি করছিনা না বলা কোন অপরাধ,
আমি শুধু চাই তোমাদের মধ্য থেকে কেও
একজন অন্তত হ্যাঁ বলা শিখুক,
যার কাছে মৃত্যুশয্যায় দারিয়েও
নিশ্চিন্ত মনে বলা যায়-
আমাকে এক গ্লাস জল দেবে ?
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


