মানুষিক সমস্যায় ভোগছিলাম কয়েকমাস ধরে ১৫ই ডিসেম্বর s@ifur's এ ক্লাসে যাই আর সেইখানে আমাদের প্রিয় আবীর স্যার হঠাৎ করে প্রস্তাব দেয় বিজয় দিবসের বন্ধ উপলক্ষ্যে কোথাও ঘুরতে যাব আর আমি স্থান না শুনেই রাজি হয়ে যাই।
আবার ঐ দিন সন্ধ্যায় শীতবস্ত্র ক্রয় ও বিতরণ করতে যাই আবীর স্যারের সাথে তখন স্যার বলে সন্দ্বীপ গেলে কেমন হয় আমরা ৫ জন ছিলাম মোটামুটি সবাই সহজে একমত হয়ে যাই। রাতে শীত বস্ত্র বিতরণ করে আসার সময় স্যারের মনে পড়লো ইমরানের কথা যে সন্দ্বীপ ও দাদার বাড়ী আর স্যার call দিতেই ও রাজি হয়ে যায় এইভাবে সন্দ্বীপ যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে যায়।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ সাল ৪৪ তম বিজয় দিবসে প্রথম প্রহরে ঘুম থেকে উঠে শহীদ মুক্তিযুদ্ধাদের স্মরণে তিন বার সূরা ইখলাস একবার সূরা ফাতেহা তিলোয়াত করে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করি। আর সকালে ৭ টায় বিজয়ী রেলি করেই সন্দ্বীপ যাওয়ার জন্য স্যার সহ জি ই সি মোড় আসি কিন্তু অন্যরা আসতে দেরি করায় ৮.৩০টায় ৭নাম্বার সিটি বাসে করে কুমিরার উদ্দ্যেশে রওয় না দিন
৯.৩০টায় কুমিরায় গিয়ে পৌছি। এর পর বড় কুমিরা বাজার থেকে কুমিরা পেরি ঘাটের দিকে টমটম যোগে রওয়না দিন ঘাটে গিয়ে সবাই সকালের দৃশ্য দেখে মুগধ্্য।
আর ঘাটে গ্রাম্য পরিবেশে সকলে সকালের নাস্তা করি সিন্গরা চা।
এর পর আসে সন্দ্বীপ সফরের সব চাইতে কষ্টের বিষয় স্প্রিট বোর্ডের টিকেক সংগ্রহ করা কিন্তু এই বিষয় আমাদের ধারণা ছিলো না আবার এর মধ্যে আমাদের বড় ভাই রাহিক ভাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এসে পৌছায়নি আর টিকেটের জন্য ছিল প্রচুর বিড় যাক আমি মোটা হওয়ায় এটি দায়ীত্ব পড়লো আমার হাতে যাক মোটা হওয়া সহজে ধাক্কা ধাক্কি করে টিকেট কাউনটারে পৌছলাম সেইসেখানে যেতে লাগলো ৩০ মিনিট প্রথমে নাম লিখলাম যাক এর পর আবার ৪৫ মিনিট মানুষের বিডের মধ্যে অপেক্ষা করার পর সেই কাংখিত টিকেট গুলো পাইলাম কিন্তু দঃখের বিষয় হলো আমাকে কষ্টের বিতর রেখে সবাই কেলাম খেলায় ব্যস্ত ছিল। যাক অবশেষে দুপুর ১২টায় স্প্রিট বোর্ডে উঠতে গেলাম ১২.১৫টায় বোর্ড ছাড়লো এতক্ষণ যে কষ্ট ছিল তা সাথে সাথে চলে গেলো