আমাদের স্পর্শগুলো দিনের পর দিন অচল পয়সার গল্প বোনে,
হেরে যায় যান্ত্রিকতার বিষবাস্পের সাথে প্রাণঘাতী ডুয়েলে।
বসন্ত আসে মনে-শরীর কথা বলে ওঠে
অবশেষে তুমি এলে তাহলে।
তবুও প্লাস্টিক পরশ,তবুও নিষ্প্রাণ ছলা কলা।
নিজেকেই নিজে ঠকাবার খেলা;ছদ্ম বিস্ময়,নিছক আলোর অহম।
যে আলো ছিলোনা কখনো।
যে আলো থাকবে না কোনোদিনও।
আমরা প্রতিদিন হরেক চেহারায়-হরেক রঙ্গে
এই বঙ্গে আতসবাজীর ফোয়ারা ছুটিয়ে নিজের অস্তিত্ব জাহির করি।
অস্তিত্বের অভিশাপ;কী পাপ-
মৌলিক চাহিদা কানা কড়ি।
এই আমি-এই তুমি
কোথায়?কেন?কী?
কিছুই কি জানি!জানবার অহমিকা শুধু-
আর দিন দিন মাটি হই।
গন্তব্য গোল্লায়-যেখানে অজস্র ক্লান্ত চেহারা
পরাজিত নিঃশ্বাস ফেলে।
ঘড়ির কাঁটাও রাবুণে ক্ষুধায় সময় গিলে ফেলে।
রাতের নির্মম আঘাত অবলীলায় হজম করি।
যখন আমরা প্রকৃতই আমরা হই
তখনি শেল্টার নিই দ্বান্দ্বিক স্বপ্নময় ঘুমের অতলে।
একটা জীবন নিজেকেই নিজে খুঁজে না পাবার যন্ত্রণা নিয়ে শেষ হয়;
অনেক আয়নায় অনেক চেহারার আবডালে
আবছা কুয়াশা নিজেকে দেখি।
ছুঁয়ে দিতে না পারার ক্ষোভে
বেঁচে থাকি অযথাই-বাঁচবার যৎকিঞ্চিত লোভে।
অ।রূ
সেপ্টেম্বর,২০১২