
সিঁড়ি ভেঙ্গে তলার পর তলা
পার হয়ে চলা; পৌঁছে যাই অনন্ত নক্ষত্ররাজির কাছে।
প্রগতির ছদ্মবেশে
ভাঁজে ভাঁজে জমে থাকা অসভ্য জীবাণু
কুঁড়ে খায় মগজের গলিত স্মৃতি-বিস্মৃতি
আর অনুভূতি গুলো জীবন্মৃত হয়ে বাঁচতে বাঁচতে
একসময় বাঁচবার মানে ভুলে যায়।
সুন্দর দেখে দেখে অসহায়
অযুত চোখ একদিন করে গণআত্মহত্যা,
কোন আধিভৌতিক সত্তা
শ্লোগান তুলে জানান দেয় –
তাদেরও দখলে আছে পারমাণবিক বিষ্ফোরণ।
নিউক্লিয়ার আস্তাবলে কৌশলে জড়ো হয় খেলোয়াড়গণ ।
খেলা জমে ঘোড়া ঘোড়া ঘাস ঘাস
আত্মসম্মোহনের মায়ায় ভোলে আজন্ম ক্রীতদাস।
স্বাধীনতা আরেক ঈশ্বর
নেই তবু বেঁচে থাকে নামানুষের অদেখা বিশ্বাসে।
প্লাস্টিক পৃথিবী মোড়া পলিথিন আকাশে
উড়ে যায় ডানামেলা স্বাধীন বোমারু ।
যদিও কল কাঠি নাড়ে খুনচোখো নামানুষ-চোপসানো ফানুস।
মহান কোন ধর্মযুদ্ধের অভিযান?
জানেনা সে সুতোয় বাঁধা স্বাধীনতা নামের ঈশ্বর।
এধারে গলিত লাশ,ওধারে বিচ্ছিন্ন ধড়
শ্বাস খোঁজে বিষের ধোঁয়ায়।
জলঢোঁড়া যতই ভাবে বিষধর ভয়ানক সে
কখনো মরেনা কেউ তার বিশ্বাসের বিষে।
শীতল বরফ বেয়োনেট
উষ্ণ মৃত্যুর আশ্বাস দেয় নির্দ্বিধায়।ছদ্মপরিচয়ে
এ এক এমন সিঁড়ি যার ধাপ রোজ অবয়ব বদলায়-
কেউ দেখে রক্ত আর কেউ রেড ওয়াইন।
পিছল সে জিগজ্যাগ সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে
ধাপে ধাপে সব্বাই শুধে যায় চক্রবৃদ্ধি সুদে বাঁধা জন্মের ঋণ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


