প্রতিটি ভাষা আলাদা আলাদা শিল্প। ভাষা শিল্পের অনন্য নাম আরবী। সারা দুনিয়া জুড়ে চলছে আরবীর চর্চা। আরবী কখনো শেখা হয় ধর্মীয় কারণে। কখনো শেখা হয় ব্যবসায়িক কারণে। কখনো শেখা হয় রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক কারনে। তাছাড়া আরবী ২৮ রাষ্ট্রের সরকারি ভাষা - যেখানে আরবীই মাতৃভাষা। আরবদেশগুলোর মধ্যে আরবী ভাষাভাষী হিসেবে -সৌদি আরব, ওমান, কাতার, বাহরাইন, ইরাক, জর্দান, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন ও ইয়েমেন অন্যতম। আবার আফ্রিকানদেশগুলোর মধ্যে আরবী ভাষাভাষী হিসেবে -মিশর, লিবিয়া, সুদান, নাইজারিয়া, আলজেরিয়া, কোমোরোস, চাদ, জিবুতি, ইরিত্রিয়া, মালি, মৌরিতানিয়া, সেনেগাল, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, তিউনিসিয়া এবং পশ্চিম সাহারাতেও আরবী সরকারী ভাষাভাষী হিসেবে স্বীকৃত। আরব ভূখণ্ডে ইসরায়েলে হিব্রু-র পাশাপাশি আরবী এবং সাইপ্রাসের একাংশ আরবীতে কথা বলে। তাছাড়া মুসলিম জাহানের ধর্মের অংশ আরবী। ইসলামধর্ম কিংবা আরবজাহান নয় সারা দুনিয়ার আরবী সংস্থা সমূহের ভাষা আরবী। আরবী হচ্ছে- ওয়ামী, রাবেতা আলম আল ইসলামী, ওআইসি, আফ্রিকান ইউনিয়ন, আরব লীগের ভাষা। এজন্য আরবীকে জাতিসংঘের অন্যতম অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি বেকার সমস্যায় আক্রান্ত। বেকারত্যের অভিশাপ আর হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে আজকের যুব সমাজ ইউরোপে, আমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়ার সপ্ন দেখছে। আবার কেউ কেউ সাহস হারিয়ে ফেলছে। কেউ আবার প্রতারণা আর গলাকাঁটা ভিসায় হয়রান হচ্ছেন। কিন্তু অভিশাপ আর হয়রানী সুরাহা হচ্ছে না। অতচ, উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য ফাঁকা মাঠ দরকার। আর আরব জাহান দক্ষতাশূন্য ফাঁকা মাঠ হিসেবে বেশ খ্যাত। নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ফাঁকা মাঠের বিজয় সহজ। এদেশের শ্রমিকরা ভাষা শিল্পের ব্যাবহার করতে জানলেই জাতীয় রেমিটেন্সের চাকা নাড়বেই।তাই, আসুন আরবী শিখি। আরবী শেখাই। দেশ ও জাতির ভাগ্য বদলাই।