রাশেদুল হাসান
স্তব্ধ রাস্তায় জুনিদের নর্তন-কুর্দন, ফডিংয়ের সঙ্গম লীলা,
রাস্তার মোড়ে বোতলে বোতলে কষ্ট গিলার প্রতিযোগিতা
আবার কখনো মাচার আড়ালে পরকীয়ায় মত্ত্ব যুগলের
উকিঝুকি দেখতে দেখতে নীড়ে ফিরি।
কবি হওয়ার ভান করি, উদাস হই
ভালোবাসার মাহাত্ব খূঁজি।
ভালোবসাকে মাঝে মাঝে মনে হয়,
অতিথি হোটেলের মুরগির কাবাব, মুঠোফোনে কথার ফুলঝুরি;
সন্দেহবাতিকতা, বাইকের কালো ধোঁয়া! পুঁজিবাদের উচ্চাবিলাস।
কখনো সখনো মনে হয় নারীর কোমল শরীরই ভালোবাসা,
সঙ্গমই ভালোবাসার শেষ পরিণতি!
যমুনা পাড়ের মত বিরামহীন এ ভাঙ্গা মনে
হাহাকার আর হাহাকার;
একবুক হাহাকার নিয়ে অমানিশার ঘোর ঠেলে
অযুত চিন্তার ঘুর্ণিঘোরে আজো বাড়ি ফিরছি।
রাস্তায় ভাগাড়ের নিস্তব্ধতা, জুনিদের ঝিঁ-ঝিঁ শব্ধ ভেদ করে
একটা শব্ধ কর্ণ কুহরে আঘাত হানে;
মাগির হুত আর বন্ধুরে মারি তুই বাঁইচতি হাইত্তিনু;
আঁই তোরে খুন করি হালামু!
বিস্ময়ে দেখলাম পাড়ার উঠতি মাস্তান রোগাটে নুরু
আমার গা ঘেসে পাঁচ ফুট লম্বা চকচকে কিরিচ নিয়ে দৌঁড়ে গেল।
ভালোবাসার মাহাত্ব আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে ধরা দিল
আমার কানে কে যেন বলে উঠলো বিপ্লব, বিপ্লবই ভালোবাসা!
বোধ আমাকে নিবোর্ধ বলে উপহাস করে।
আত্মপোলব্ধিতে সমস্ত ঘোর কাটে, এ সবই আমার কাছে
এখন রাত পাখিদের সাথে কাটানো দু’ঘন্টার মত হনে হয়।
২৩ আগষ্ট ২০১২ইং