somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রবাসীদের ত্যাগ ,সমস্যা ও সমাধান

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একজন প্রবাসী তার জীবনের ইতিহাস সে নিজেই বলতে ও লিখতে পারবে ভালো করে। নিজে বলতে পারার কারণ হলো অনেক সমস্যার কথা অন্যের কাছে বলা যায় না ,এমনকি বাবা মায়ের কাছে ও না। একদিকে শারীরিক শ্রম অন্য দিকে মানসিক শ্রম। প্রবাসীদের জীবন পরিচালিত হয় ত্যাগ ও বিনিময়ের মাধ্যমে । ত্যাগের সীমারেখা খোঁজে পাওয়া অনেক সময় সম্বব হয়ে ওঠে না । ত্যাগের আবার অনেক রকম অবস্থান রয়েছে সেটা স্থান কাল পত্র বিবেচনায়। প্রাবসীদের মধ্যে বিবাহিত ও অবিবাহিত দের অনেক ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সমস্যা রয়েছে ।
অবিবাহিত প্রবাসীদের ত্যাগ,সমস্যা ,ও সমাধান :
ত্যাগ :- অল্প বয়েসে প্রবাসে চলে আসা একটা অন্য রকম কষ্টকর। প্রথমেই যা ধরা পরে সেটা লেখাপড়ার অপূর্ণতা। তারপর খেলার মাঠে যেসময় থাকার কথা সেই সময় প্রবাসে চলে আসা অনেকটা রক্ত ক্ষরণ চলে অন্তরে। বাবা - মায়ের প্রত্যক্ষ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া কত বর কষ্টের তা এক মাত্র ভুক্তভোগী ভালো জানে।
সমস্যা:- পড়া লিখার সীমারেখা ছোট্র হওয়ার ফলে প্রবাসে সফলতার জন্য একটা বিরাট সমস্যা। পড়া লিখার পরিধি ছোট হওয়ার হলে কাজের বেলায় উন্নতি করতে গিয়ে অনেকটা চাপের মধ্যে থাকতে হয়। প্রবাস নামের জেল খানায় বিরক্ত লাগে অল্প বয়সের প্রবাসীদের আমি তার বাস্তব রূপ । বাবা - মায়ের ভালোবাসা থেকে দুরে থাকলে অনেক সময় প্রবাসী ভেঙ্গে পরে।
সমাধান :- যখন প্রবাসে আসা হয়েগেছে তখন আপনার মন বিবেক ও সময় কে কাজে লাগাতে হবে। দেশে অবস্থানরত বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। আত্বীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে সাদ্যমত।কাজকে গুরুত্ব দিতে এবং মনোযোগী হতে হবে। লেখা পড়া পর্যাপ্ত না হলে অনেক ক্ষেত্রে চলে কারণ উন্নত দেশে সার্টিফিকেটের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা দেখে সে জন্য কাজকে তারাতারি নিজের কর এনিতে হবে। প্রবাসে কাজের ফাকে বিনোদনমূলক জায়গায় বেড়াতে যাওয়া উচিত ,নিয়মিত ধর্ম চর্চা করতে হবে ,খেলাদলার সুযোগ থাকলে তা কাজে লাগাতে হবে,দেশ সম্পর্কে বুঝা উচিত।
বিবাহিতদের ত্যাগ ,সমস্যা ,ও সমাধান :
ত্যাগ :- বিবাহিতদেরও ত্যাগের পরিধি অনেক লম্বা। মা-বাবা ,স্ত্রী , সন্তান ছেড়ে প্রবাস জীবন কেমন শুধু বিবাহিতরা নিজের মত করে বলতে পারবে আমি শুধু অনুমানের ভিত্তিতে কিছু বলতেছি ।যে সময়ে বৃদ্ধ বাবা মায়ের পাশে থাকার কথা ঠিক সে সময়ে উনাদের থেকে অনেক দুরে। স্বামী - স্ত্রীর বন্ধন অনেক গভীর ,অথচ সেই স্ত্রী থেকে একজন প্রবাসী কেমন আছে চিন্তা করেন ?সন্তানের জন্য ভালোবাসা কেমন থাকে তা আমি বুঝেছি আমার বাবা মায়ের আমার প্রতি ভালোবাসা দেখে। সন্তানের হাতে হাত ধরে স্কুল পৌছে দেওয়া বাবার অনেক বড় পাওয়া।
সমস্যা:- বিবাহিতদের অনেক সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বর সমস্যা পরিবার। সমাজের অনেক অপসংস্কৃতি নিয়ে ভয় জাগে মনে ,সুন্দরী স্ত্রী হলে আর বলতেই হয়না সমস্যার কথা। তাদের আগামী দিনের জন্য বাবার কর্তব্যের কতটুকু পালন হছে কিনা এসব বড় সমস্যা।তাছাড়া ছেলে মেয়ে বড় হলে ওরা সঠিক সংস্কৃতিতে চলতেছে কি না ? অপসংস্কৃতিতে চলতেছে তা যেন একটা ব্রেইন শ্রম।
সমাধান :- বিবাহিত প্রবাসীদেরকে শুধু টাকা দিলেই হবে না সবসময় স্ত্রী সন্তানদের খোজ নিতে হবে। বাবা মাকে ,শ্বশুর -শাশুড়ীদের স্ত্রী সন্তানদের খেয়াল রাখার জন্য বলা নয় অনুরুধ করতে হবে। সময় ও পরিবেশ রক্ষা করে দেশে যেতে হবে বেশি করে । নিজে ও স্ত্রী সন্তানদের বেশি করে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ার থাকতে হবে।শুধু প্রবাসী নয় সকল স্বামীর জন্য একজন ধার্মিক স্ত্রী হবে চিন্তামুক্তের অন্যতম কারণ।একজন প্রবাসী তার জীবনের ইতিহাস সে নিজেই বলতে ও লিখতে পারবে ভালো করে। নিজে বলতে পারার কারণ হলো অনেক সমস্যার কথা অন্যের কাছে বলা যায় না ,এমনকি বাবা মায়ের কাছে ও না। একদিকে শারীরিক শ্রম অন্য দিকে মানসিক শ্রম। প্রবাসীদের জীবন পরিচালিত হয় ত্যাগ ও বিনিময়ের মাধ্যমে । ত্যাগের সীমারেখা খোঁজে পাওয়া অনেক সময় সম্বব হয়ে ওঠে না । ত্যাগের আবার অনেক রকম অবস্থান রয়েছে সেটা স্থান কাল পত্র বিবেচনায়। প্রাবসীদের মধ্যে বিবাহিত ও অবিবাহিত দের অনেক ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সমস্যা রয়েছে ।
অবিবাহিত প্রবাসীদের ত্যাগ,সমস্যা ,ও সমাধান :
ত্যাগ :- অল্প বয়েসে প্রবাসে চলে আসা একটা অন্য রকম কষ্টকর। প্রথমেই যা ধরা পরে সেটা লেখাপড়ার অপূর্ণতা। তারপর খেলার মাঠে যেসময় থাকার কথা সেই সময় প্রবাসে চলে আসা অনেকটা রক্ত ক্ষরণ চলে অন্তরে। বাবা - মায়ের প্রত্যক্ষ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া কত বর কষ্টের তা এক মাত্র ভুক্তভোগী ভালো জানে।
সমস্যা:- পড়া লিখার সীমারেখা ছোট্র হওয়ার ফলে প্রবাসে সফলতার জন্য একটা বিরাট সমস্যা। পড়া লিখার পরিধি ছোট হওয়ার হলে কাজের বেলায় উন্নতি করতে গিয়ে অনেকটা চাপের মধ্যে থাকতে হয়। প্রবাস নামের জেল খানায় বিরক্ত লাগে অল্প বয়সের প্রবাসীদের আমি তার বাস্তব রূপ । বাবা - মায়ের ভালোবাসা থেকে দুরে থাকলে অনেক সময় প্রবাসী ভেঙ্গে পরে।
সমাধান :- যখন প্রবাসে আসা হয়েগেছে তখন আপনার মন বিবেক ও সময় কে কাজে লাগাতে হবে। দেশে অবস্থানরত বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। আত্বীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে সাদ্যমত।কাজকে গুরুত্ব দিতে এবং মনোযোগী হতে হবে। লেখা পড়া পর্যাপ্ত না হলে অনেক ক্ষেত্রে চলে কারণ উন্নত দেশে সার্টিফিকেটের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা দেখে সে জন্য কাজকে তারাতারি নিজের কর এনিতে হবে। প্রবাসে কাজের ফাকে বিনোদনমূলক জায়গায় বেড়াতে যাওয়া উচিত ,নিয়মিত ধর্ম চর্চা করতে হবে ,খেলাদলার সুযোগ থাকলে তা কাজে লাগাতে হবে,দেশ সম্পর্কে বুঝা উচিত।
বিবাহিতদের ত্যাগ ,সমস্যা ,ও সমাধান :
ত্যাগ :- বিবাহিতদেরও ত্যাগের পরিধি অনেক লম্বা। মা-বাবা ,স্ত্রী , সন্তান ছেড়ে প্রবাস জীবন কেমন শুধু বিবাহিতরা নিজের মত করে বলতে পারবে আমি শুধু অনুমানের ভিত্তিতে কিছু বলতেছি ।যে সময়ে বৃদ্ধ বাবা মায়ের পাশে থাকার কথা ঠিক সে সময়ে উনাদের থেকে অনেক দুরে। স্বামী - স্ত্রীর বন্ধন অনেক গভীর ,অথচ সেই স্ত্রী থেকে একজন প্রবাসী কেমন আছে চিন্তা করেন ?সন্তানের জন্য ভালোবাসা কেমন থাকে তা আমি বুঝেছি আমার বাবা মায়ের আমার প্রতি ভালোবাসা দেখে। সন্তানের হাতে হাত ধরে স্কুল পৌছে দেওয়া বাবার অনেক বড় পাওয়া।
সমস্যা:- বিবাহিতদের অনেক সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বর সমস্যা পরিবার। সমাজের অনেক অপসংস্কৃতি নিয়ে ভয় জাগে মনে ,সুন্দরী স্ত্রী হলে আর বলতেই হয়না সমস্যার কথা। তাদের আগামী দিনের জন্য বাবার কর্তব্যের কতটুকু পালন হছে কিনা এসব বড় সমস্যা।তাছাড়া ছেলে মেয়ে বড় হলে ওরা সঠিক সংস্কৃতিতে চলতেছে কি না ? অপসংস্কৃতিতে চলতেছে তা যেন একটা ব্রেইন শ্রম।
সমাধান :- বিবাহিত প্রবাসীদেরকে শুধু টাকা দিলেই হবে না সবসময় স্ত্রী সন্তানদের খোজ নিতে হবে। বাবা মাকে ,শ্বশুর -শাশুড়ীদের স্ত্রী সন্তানদের খেয়াল রাখার জন্য বলা নয় অনুরুধ করতে হবে। সময় ও পরিবেশ রক্ষা করে দেশে যেতে হবে বেশি করে । নিজে ও স্ত্রী সন্তানদের বেশি করে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ার থাকতে হবে।শুধু প্রবাসী নয় সকল স্বামীর জন্য একজন ধার্মিক স্ত্রী হবে চিন্তামুক্তের অন্যতম কারণ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×