গত ৩ দিনে বাসার নেট ডিসকানেক্ট ছিলো বিধায় সামুর আলোচনার বিষয় থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে যে ঝড় বয়েছে তা অতীত অভিজ্ঞতায় আঁচ করা যায়।
বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলবে এমন লোক খুবই কম। এদেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাপা বা বাম দলের প্রচুর সমর্থক পাবেন। কিন্তু বাংলাদেশের সমর্থক পেতে আপনাকে যথেষ্ট কষ্ট পোহাতে হবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নানান ভাবে রাজনৈতিক মহল ক্ষতিগ্রস্থ করে থাকে নিজেদের স্বর্থে। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার বাড়ি নিয়ে যা ঘটল তাতে বাংলাদেশ ক্ষতি গ্রস্থ হলো। খালেদা জিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা খারাপ নয় যে তিনি এধরনের আরো বাড়ি কিনতে পারবেন না। কিংবা এতে তার ব্যাক্তিগত স্মৃতির হানি ঘটলেও রাজনৈতিক নগত প্রাপ্তি ঘটেছে। তিনি রাজনীতিতে এসেছেন, এটি এমন একজায়গা যেখানে ব্যাক্তির চেয়ে সমষ্টি বড়। তাই আপাত ভাবে বলতে হয় তিনি তেমন কিছু হারান নি। অপরদিকে শেখ হাসিনা ব্যক্তি আক্রশ প্রশমিত হওয়া ছাড়া অন্য কোন লাভ হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয় না। কিন্তু টোটাল লস কার হলো ? স্রেফ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। এরাষ্ট্রে খালেদা এবং হাসিনা দুটি সম্পদ- এভাবে যে, তারা যেহেতু রাষ্ট্রর শাসক ছিলেন, একটি হলেও ভালো কাজ করেছেন। তাই তাদের এমন কোন আচরণ বা জনগণ তাদের সাথে করবেনা যাতে ব্যক্তির চেয়ে চেয়ার অপমানিত হয়। এতে করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অপমানিত হবে, তারা আত্নসন্মানবোধ নিয়ে দাড়াতে পারবেনা অন্যদের সামনে। আমরা যদি অন্যকে সন্মান করি তবে নিজেও সন্মানি তহব।
রাষ্ট্রপ্রধান ভুল করলে তার সমালোচনা করা আমাদের নৈতিক অধিকার। কিন্তু বাস্তবতায় এমন কোন কিছু করা ঠিকনা যা রাষ্ট্র হয়ে উঠার জন্য বাধা।
খালেদার বাড়িটি অধিগ্রহণে জাতির কি লাভ হলো ? আজ যদি ক্যান্ট এলাকার সব রাজনীতিবিদকে বের করে সেখানটাকে মুক্ত করা হতো বা উক্ত এলাকা কে সর্ব সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ হতো তাহলে কথা ছিলো। কিন্তু তা তো হচ্ছে না। আসলে এধরনের কথা বলাও খুব একটা কাজের কথা না, এসব কথা বললে যুক্তির পেছনে আবার যুক্তি দাড়াবে যা অনন্ত কাল চলতে পারে। আজ স্রেফ একথা বলতে চাই রাষ্ট্রর প্রতিষ্ঠানগুলোকে অপমাণ করবেন না, বাংলাদেশ কে দাড়াতে দিন। সবশেষে সন্মান করুন সকল প্রতিষ্ঠানে অধিষ্ট ব্যাক্তিবর্গকে।