ভন্ডামীতেও পরিমিতি থাকতে হয়। ইদানিং এমন সব ভন্ডের আর্বিভাব ঘটছে যেখানে এরা জগৎটাকে ছাগলের খোয়াড় মনে করে। কোরবানী নিয়ে এ ভন্ডামী আরো ব্যাপকতা লাভ করেছে। কোরবানী মুসলমানদের ধর্মী আচার। পশু জবাই করে তারা সে আচার পালন করেন।
মহান গৌতম বুদ্ধ জীব হত্যা মহাপাপ বলে খানিকটা তালগোল পাকিয়ে ছিলেন, অথবা বলা চলে তার সরলমনা শিষ্যরা সাধারণ ভাবে বুঝে নিয়েছে। জীবহত্যা - বলতে সকল জীব হত্য মহাপাপ একথা বুদ্ধজী কখনোই বলেন নি বা বলতে পারেন না। মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে আপনার দরকার নিজের শরীরের অপকারী জীবকে হত্যা করা, যেমন - কৃমি। অথবা গোশত খাওয়ার জন্য পশু হত্যা। বুদ্ধজী অযাচিত জীব হত্যার বিরোধীতা করেছিলেন। যা কাম্য।
বর্তমান সময়ে অযাচিত পশু হত্য তো আছেই তার সাথে আছে মানব হত্যার মহাউৎসব। সে সব মহাউৎসবের বেলায় আমরা মুখে তালা দিলেও
ধর্মে আচারে বাধা দিলে কারো কারো চুলকানি উপশম হয়।
কোরবানীতে শিশুদের সামনে না রাখা ভালো্ কিন্তু এটাকে নেগেটিভ এপ্রোচে প্রচার করার উদ্দেশ্য মহৎ নয়। ১২-১৫ বছরের শিশুরা পশু কোরবানীর সাথে জড়িত বলে এক আজব তথ্য পেলাম [si]বিচিন্তা নামক পত্রিকায়। এখানে সুমাইয়া মনিরা আব্বাসী নামক এক মনোবিজ্ঞানের শিক্ষকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। বড়ই আজব এই শিক্ষক। ৫-১০ বছর বয়সীদের মাঝে জবাইয়ের দৃশ্য খারাপ প্রভাব পড়ে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন - কোরবানীর ঈদের ব্যাপারটা হচ্ছে শিশুরা শুধু পশু জবাই দেখছে না, সঙ্গে সঙ্গে তাদের মাঝে ঈদের আনন্দও উপভোগ করছে। তাই পশু জবাই দেখা বা ঐ বয়সী বাচ্চাদের মাঝে কোন ক্ষতিকর প্রভাব সাধারণত আমরা দেখিনা।
এতে আরেকটি প্রশ্ন - এক্ষেত্রে আমরা বরতে পারি, জঙ্গি- যারা মানুষ হত্যার মত কাজ করতেও ভয় পায় না তাদের এই ভয় হীন ভাবটা ছোটবেলা থেকেই তাদের মাঝে চলে আসছে ?
উত্তর - অবশ্যই। ... ফলে অন্য আট দশটা মানুষের কাছে যেখানে স্বভাবিক মানুসের সাধারন এক্সিডেন্টই খারাপ লাগার বিষয়; সেখানে তাদের কাছে (জঙ্গীদের) মানুষ মারাটা মাছ-ভাত খাওয়ার মতো।
কি মহান উদ্দেশ্য ! প্রশ্নকর্তার থলের বিড়ার এতটা সহজে বেরিয়ে যাবে তিনি নিজেও হয়তো তা ভাবেন নি। তাবৎ বিশ্বের মানুষ হত্যার জন্য প্রকারন্তরে মুসলমানদেরই দায়ী করা হলো, বরং আরো গর্ধভ সুলভ ভাবে মাদ্রাসার ছাত্রদের টার্গেট করা হলো। কেন ? কথিত সভ্য আমেরিকা ইরাক, আফগানিস্তানে যে ধর্ষন+গণহত্যা চালিয়েছে তা কি জন্য ? সেখানে কে কোরবানী দিয়ে তাদের জানোয়ার বানিয়েছে। পশ্চিমে তো মাদ্রাসাও নাই, ইসলামও নাই তাহলে সেখানকার নরঘাতকের এহন আবির্ভাব কেন হলো ? ফ্রান্স সহ ইউরোপের তাবৎ হত্যাকারী , উপনিবেশিকদের চরিত্র তো আমাদের জানা।
সৌদীআরবকে চৌদ্দ গোষ্ঠী ধরে গালাগালি করলেও কেরাবানীর মহৎ ব্যবস্থাপনায় লেখক মুগ্ধ। এই লেখকের মস্তিষ্ক'র রক্ত সঞ্চালনে সমস্যাই আছে বলে মনে হয়। যার জন্য তিনি বুঝেন নাই যে সৌদি প্রেট্রো ডলারের মতো বাংলদেশেরে অবস্থা শক্ত নয়। কখনো সরকারের নিয়মের বাইরে কোন মিছেল-মিটিং-স্লোগান শোনা যায় না।- কত বড় ভুদাই দেখেন ! সৌদী শাসন ব্যবস্থা নিয়ে এদের কি জ্ঞিয়ান রে বাবা !!!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২১