কোরআন অবমাননার অভিযোগে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন জানান, দু’জন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে আসরের নামাজের সময় মসজিদে ঢোকে। নামাজ শেষে তারা ‘মসজিদে অস্ত্র আছে’ বলে দাবি করে। এ সময় মসজিদের তাক উলোট পালোট করতে যেয়ে কোরআন ফেলে দেয় ও অবমাননা করে। কোরআন অবমাননার খবর সেই মুহূর্তেই বাইরে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকেন।
উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এ সময় বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা ব্যক্তিকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে এনে পেটানো শুরু করে উত্তেজিত জনতা। এক পর্যায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
অপরজনকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় থানা পুলিশ। আটক ব্যক্তির নাম রেজা (৩৮) বলে জানা গেছে।
0বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
লাশ পুড়িয়ে দেওয়া আমার কাছে স্বাভাবিক উত্তেজনার কাজ মনে হচ্ছে না। এখানে কিছু লুকিয়ে আছে। তদন্তে আসল ঘটনা পাওয়া যাবে আশা করি। সামনের দিনগুলিতে ভালো কিছু দেখছি না। বাংলাদেশের জন্যেও খারাপ কিছুর ধেয়ে আসছে।
এটা কেমন জনতার আদালত! এভাবে কাওকে পিটিয়ে মেরে ফেলা ঘৃণ্য অপরাধ। জড়িতদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। যদি কোরআন ফেলে দিয়েও থাকে বিচারের মুখোমুখি করা যেত। সেখানে হত্যা করার পর আবার আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হলো! ভিডিও দেখে চিহ্নিত করা হোক অপরাধীদের।
বিচারহীনতার দেশে আমাদের আরো কতকিছু দেখতে হবে.....
ছবি : আমাদের সময়
Click This Link
http://www.dainikamadershomoy.com/post/283512
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৩৭