কিন্তু কেন পুলিশ চুপ থাকে,তারা হিজড়া বলে নাকি অন্য কোন লেনদেনের কারণে। হিজড়ারা কি রাষ্ট্রের নাগরিক না,প্রতিটি নাগরিকের মালিকইতো রাষ্ট্র। তাহলে হিজড়া কেন আইনের সহযোগিতা পাবে না।মানুষ যেমন তাদেরকে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখে তাহলে পুলিশও কি তাই,নাকি তাদের রোজগারের ভাগ পায়,কি জানি। পিংকি হত্যার আইনত কোন বিচারই হয়নি, হায়দার হত্যার জন্য জেল খাটে তার আপনজন তাও পুলিশের মিথ্যার জাল। মানিক যার নাম এখন সেই সেজুতি, এই সেজুতি প্রাণে বেঁচে গেলেও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে গুলির জখম না মরে কোন রকম বেঁচে আছে সে। তাকে পিঠে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে কচি হিজড়া, মাথায় আঘাত করে যেন মরে যায়। আর মরে গেলে প্রতিপক্ষ থাকবে না এবং প্রমান থাকবে না হামলার তাই মাথা থেতলে দেয় হামলাকারীরা। কিন্তু কেন এই মরণ লড়াই।
উত্তর একটাই টাকার ভাগাভাগি, প্রভাব বিস্তার জায়গা দখল। এই হামলা করে দেশের আইন এবং সাংবাদিক সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে কচি হিজড়া চলে যায় ভারতে। আর নিরাপদে চলে যেতে সাহায্য করে পুলিশ ও আরমানেরা। একটা কল্পনা করা যেতে পারে হিজড়ারা কত টাকা চাঁদা তোলে তার। একজন প্রতিদিন ২০০০ টাকা,মাসে ৬০,০০০ টাকা,প্রতি দলে ২৫ জনে আয় ১৫ লাখ টাকা,১০ দলের আয় ১.৫ কোটি। বিয়ে এবং বাচ্চা জন্ম নেওয়া বাড়ি হতে হাতিয়ে নেয় পাঁচ হাজার হতে এক লাখ টাকা। এই টাকা সব যায় গুরুমার হাতে তাই কোন কোন গুরুমা ঢাকাতে বাড়ি গাড়ির মালিক। তবে শিয্যদের সব সময় নিজের সমান সমান টাকার ভাগ দিয়েও ঢাকাতে বাড়ি এবং এলাকায় অনেক সম্পদের মালিক ছিলেন। নিজের পরিচয় গোপন করে ফ্লাট কিনেন হায়দার হিজড়া।
এই হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করে তার প্রতিপক্ষ, সে মারা যাওয়ার পর তার শিয্যরা তার কিনা ফ্লাটে থাকেন। কিন্তু তাকে মারা হল কেন? জামালপুর ইসলামপুরে হায়দারের বাড়িতেই তাকে হত্যা করা হয়। হায়দারের বোনের করা মামলায় স্বপ্না,কচি,পিংকিসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। স্বপ্না হিজড়া ফার্মগেট এলাকার পাশাপাশি মগবাজার এলাকাও দখল করে নিয়েছে। ঢাকার বাড়িতে সিসি ক্যামরা এবং শিয্য দ্বারা পাহারা থাকায় রাতে গ্রামের বাড়িতে একা পেয়ে হত্যা করে। আর মজার ব্যাপার হল পুলিশ ধরে হায়দারের ভাইকে এবং সে জেল খাটে ছয় মাস। হত্যাকারী হিজড়ারা হায়দারের ভাইকে বিশ লাখ টাকা দিতে চেয়ে ছিল। সেখানের পুলিশও হিজড়াকে সন্দহ করে। কিন্তু পুলিশ আসামি ধরতে পারে না কারণ অজানা থাকুক আপনার আমার তবে চৈতন্য খোলা রাখবেন কারণ এই সমাজ আপনার, এই দেশ আপনার কোন পলিটিক্সম্যানের নয়। আমার চাহনিতে যারা নিজেকে মতিমান ভাবে আর অন্যকে ভাঁড় মনে করে, এবং সত্যকে দূরে রাখে মিথ্যার আবরণের কুদরতে টাকা রোজগার করে সেটাই রাজনীতি যাতে জনগণের কোন শুভ হয় না।
শহরে বিলাসী জীবন গ্রামে বিশাল অট্টালিকা,কিন্তু হায়দার একজন হিজড়া ,কত টাকার মালিক ছিল সে, আর কি করে এত টাকার মালিক হল। কিন্তু এসবেও তার চিত্তপ্রসাদ ছিল না আরো চাই। যেসময় সে নিহত হয় তখনও ইসলামপুর গিয়ে ছিল ব্যবসার কাজে, ইসলামপুর টাউনে একটা মার্কেট ক্রয়ের ব্যাপারে কথা শেষ করতে। যে মার্কেট এক কোটি টাকায় কিনতে গ্রাহক ছিল আর সেই মার্কেট হায়দার হিজড়া কয়েকগুন বেশি টাকায় কিনার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং মালিক পক্ষের সাথে কথা শেষ করে বাড়ি ফেরে ওই রাতে সে খুন হয়।কিন্তু কি করে অন্য হিজড়া জানলো হায়দার বাড়িতে, কি করে খুন করে অপরাধী নিরাপদে চলে যায়, এলাকার কেউ জড়িত কিনা তা জানা যায়নি, যাবেও না। তবে কিছু লোক জেল জুলুমের স্বীকার হয়েছে এই হত্যাকান্ডকে ঘিরে। তবে সব কিছু দমিত হয়েছে রাজনীতির তলায়। বিচার তুমি হাওয়া হাওয়া। ঢাকার ফ্লাট হায়দারের শিয্যদের দখলে, গ্রামের প্রসাদ শূণ্য, আর খুনীরা তার রাজ্যের রাজা আইন অন্ধ রাজনীতি চলছে চলবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৮