somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাড়ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম||এবার রক্তের দামে বিদ্যুত কিনতে হবে

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসছে আজ বৃহস্পতিবার। বিকেল চারটার দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবে।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ২৫ শতাংশ ও বিদ্যুতের দাম গড়ে সাত শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।"


অংশটুকু প্রথম আলো থেকে নেয়া, যাই হোক কথা হলো আবারও বিদ্যুতের দাম আবারো বাড়ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ ব্রিফিং এ আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুতের নতুন দাম কার্যকর হবে। আর তা হলে এই নিয়ে তৃতীয়বার বাড়বে বিদ্যুতের দাম।

দেশে কল-কারখানা বাড়ছে, সেই সাথে বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়বে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু বড় বড় কারখানা ও সরকারী দপ্তরগুলো বিল বাকী রাখবে, মেরে দিবে আর ক্ষতি হচ্ছে চিৎকার দিয়ে দাম বাড়ানো হবে এটা হয়তো ঠিক না। যার কারখানা আছে বা যার মাঝারি ব্যবসা আছে তার হয়তো এই ৭.৫% অতিরুক্ত ব্যয়ে কিছু আসবে না। কিন্তু যে লোকটি খেটে খায়, সারাদিন রিক্সা চায়ায় সে রাতে বিদ্যুতের আলোয় ভাত খেতে পারবে তো?

দোষটা সম্পুর্ণ সরকারের নয়, আমাদেরটাই অনেক বেশী। আমরা আজও মুজিব-জিয়া থেকে বের হয়ে আসতে পারিনি, ভোটের আগের রাতে আত্বা বিক্রি বন্ধ করিনি। আমরা এখন অন্যায় চুপ করে সহ্য করি, প্রতিবাদ যেন ৭১ই শেষ হয়ে গেছে। আমার কেন জানি মনে হয় দেশ পয়েছি, নিজের লোক পেয়েছি কিন্তু চরিত্রটা বদলাতে পারিনি। আজও সেই শোষকদের কাছেই আমরা পরাজিত।

মুরিব্বিরা মাঝে মাঝে আমাদের যুবকদের এগিয়ে আসতে বলে, কাজ করতে বলে কিন্তু কেন এবং কীভাবে সেই উত্তরটা কেউ দেয় না।
আজ সরকার বদলের সাথে সাথে বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ক্যাডার বদল হয়। হয়তো কখনো শিবির-ছাত্রদল না হয় ছাত্রলীগ দিয়ে চলে ক্যাম্পাস। একটি গ্রামের সাধারণ ছাত্র যে স্বপ্ন নিয়ে আসে তার যে কতোটা অপুর্ণ রয়ে যায় সেটা সেই জানে। এমন দেশ যেখানে সরকার বদল হলেই ইতিহাস বদল হয়ে যায়। কাল যে সব ছিল আজ সে রাজাকার আবার আজ যে সব সেই কাল দেশদ্রোহী হয়ে যাবে।

দেশে উচ্চ পর্যায়ে যারা বসে আছে তাদের কেউ ঘুমায় কেউ গান করে। আবার আগেরগুলো চুরি/হত্যার দায়ে জেলে বা দেশের বাইরে। যতই বলুন আমরা কী করছি, আমরা আসলেই নিজেরটা নিয়ে আছি। ৭.৫% শিক্ষার ভ্যাটের সাথে মলিন হয়ে গেছে কিছু মুখ, তার উপর ৭.৫% বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেলে সেই মুখগুলোর দিকে হয়তো তাকানো যাবে না।

যেখানে কল-কারখানা বেড়েছে বলে বিদ্যুত ঘাটতি সেখানে তো সব ঠিক থাকলে দাম বাড়ানোর প্রশ্ন আসে না। আর সরকারী বিশ্ব-বিদ্যালয়গুলোর এতো মেধাবী শিক্ষক-ছাত্র তাদের সরকার কী কাজে লাগাচ্ছে? তারাতো বিদ্যুতের বিকল্প কিছু বের করতে পারে। আজ যদি প্রতিটি কারখানায় নিজের সৌর প্রকল্প থাকত তবে তাতে না হলেও এনার্জি বাতিগুলোর বিদ্যুৎ বাচানো যেত।

করা যেত অনেক কিছুই শুধু যদি দেশপ্রেমটা থাকত। সেটা থাকলে আজ আমরা নিজেদের গ্যস সংকটে রেখে বাইরের দেশের কাছে গ্যাস বিক্রি করতাম না। দেশের এতোগুলো টাকা মেরে দিয়ে কেউ বাইরের দেশে পালিয়ে থাকত না, কালো বিড়ালের মতো লোকদের সন্মান দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বানানোর দরকার হতো না।

আর আমরা কি করে ভালো হব, এতো বছর লেখা-পড়ার পরও একটি ভালো কাজের নিশ্চয়তা নেই। জুতার তলা ক্ষয় করে কতোজন যে বেকারত্ব নামক কষ্টকে ভুলানোর চেষ্টা করছে। যেখানে খাবার টাকা জুটে না সেখানে পরীক্ষার নামে ৭০০টাকা ৫০০টাকা ৩০০টাকা ব্যাংক ড্রাফ্ট দিতেই জীবন যায়। কেন, টাকাটা কমিয়ে যদি আরও বেশী সংখ্যক লোককে পরীক্ষা দেওয়ানো যায় তবে কী মেধাবীরা সামনে আসবে না।

ওহ, ভূল হয়ে গেছে। আজকালতো বাবারা লেখাপড়া শেষ শুনলেই একটা আতঙ্কে থাকে এই বুঝি এসে বলব, "বাবা ৫লক্ষ টাকা দাও, একটা চাকরির অফার পেয়েছি"

**
আবারও কিছু লিখতে গিয়ে অন্যদিকে, একবারে বাইরে চলে এসেছি। অনেকদিন পর মন থেকে লিখতে এসেছিলাম তাই কিছু ক্ষোভ ছেড়ে গেলাম।

এখন করার একটাই হয় হাল ধরতে হবে নয়তো গান
"যাচ্ছে রশাতলে, যাক না দেশ
আমিতো ভালো আছি এই বেশ"
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×