somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিলেটে আরেক ব্লগারকে হত্যা||রাজপথের রক্ত কি কখনোই মুছবে না

১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সিলেট নগরের সুবিদ বাজার এলাকায় অনন্ত বিজয় দাশ নামের এক লেখক ও ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহর ভাষ্য, সকালে অনন্ত সুবিদ বাজার এলাকায় তাঁর বাসা থেকে বের হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অনন্তকে গুরুতর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে অনন্তের বন্ধু ও সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুজ্জামান পাপলুর দেওয়া ভাষ্য, পেছন দিকে থেকে হামলাকারীরা অনন্তের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তাঁর মাথার থেকে মগজ বের হয়ে যায়। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পর অনন্তের লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
শহিদুজ্জামান পাপলু ভাষ্য, অনন্ত মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার ছিলেন। বিভিন্ন সময় তিনি বস্তুবাদ ও যুক্তিবাদ নিয়ে ব্লগে লিখতেন। এ নিয়ে তাঁর কয়েকটি বই রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অভিজিতের একটি বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলেন অনন্ত। এ ছাড়া ‘যুক্তি’ নামের একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
*

ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বিচারই শেষ হয়নি এখনো, তার আগেই এবার সিলেটের রাজপথ রঙ্জিত হলো আরেক ব্লগার অনন্ত বিজয়ের রক্তে। আজ সকাল নয়টায় অনন্তের উপর হামলা হলে তিনি ঘটনা স্থলেই মারা যান। আমি জানি ঘটনাটি নিয়ে কিছুদিন আলোচনা হবে, কেউ দায় স্বীকার করবে। হয়তো এবার অন্য ব্লগারদের মতো অনন্তেরও ব্লগ ও লেখাগুলো সামনে আসবে, বলা হবে নাস্তিক, ইসলামনের শত্রু।

হোক না তিনি নাস্তিক, হোক না ইসলাম বিদ্বেষী। তাই বলে তাকে হত্যা করতে হবে?
কে বা কারা এরা, যারা ইসলামকে রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন? কে আপনাদের এমন দায়িত্ব দিয়েছে?

মহানৈি হযরত মুহাম্মদের সময়ে ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু ছিলেন তার ৈজের চাচা আবু জেহেল, কই তিনিতো তাকে এভাবে মারেনি? সে জুগে ইসলাম বিদ্বেষীদের তো তিনি দেশ থেকে বিতাড়িত করেন নি? তবে আপনারা কেন?

আপনারা কি অন্য কোন আল-কুরআন উদ্ভাবন করেছেন?
মনে রাখবেন আল-কুরআন একটাই, যা ইসলামের নীতি নির্ধারক। ইসলাম সর্বদা শান্তির কথা বলে ও শান্তি প্রতিষ্ঠার হূকুম দেয়, তাই এভাবে ব্লগার মেরে বা নাস্তিক মেরে ইসলামকে কলঙ্কিত করার কোন মানে নেই।

*প্রথম-আলো থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×