ধ্রুবর হাত তালু জ্বলিয়ে সেদিন সিগারেটটা নিভে গিয়েছিল । আর বোনের সাথে প্রতিজ্ঞার স্বারক রূপে সেই পোড়া দাগ এখনও রয়ে গিয়েছে ধ্রুবর হাতে । মজার ব্যাপার হলো সিগারেটের প্যাকেট এখনও থাকে ধ্রুবর পকেটে । প্যাকেট থেকে সিগারেটও বের হয় তবে তা আর ধ্রুবর খাওয়া হয় না । বাসায় গেলে হয়তো রিমা বলে "সিগারেট খাও না , তো পকেটে নিয়ে ঘুড়ো কেন ?" । ধ্রুব হাসে , সেই হাসির মাঝে মমতা মিশে থাকে । হয়তো সিগারেট খায় না ধ্রুব কিন্তু সেদিনের ঘটনাটা পুনরায় চোখের সামনে বাস্তবতার রূপ নিয়ে হাজির হয় , যখন সে দুঠোটের মাঝে সিগারেট চেপে ধরে । বাস তখন ভালই ছুটছে । ধ্রুব যখন বাসের ছাদে উঠতে চেয়েছিল , বাসের হেল্পার ছেলেটা হা হা করতে করতে এসে বলেছিল "স্যার ছাদে কেন ? আপনেরে ভিত্রেই সিট দিতাছি আইয়েন ।" ধ্রুব মুচকি হেসে বলে "ছাদেই যাব । ভিতরে বসলে দম বন্ধ হয়ে আসে ।" ছেলেটা মুখ কালো করে বলল "স্যার ভাড়া কিন্তু ২০০ ই । কম হবে না ।" ধ্রুব হেসে ছেলেটার হাতে ২০০ টাকা গুজে দেয় । তারপর বিস্মিত ছেলেটাকে নিচে রেখে বাসের পিছনে সিড়ি দিয়ে বাসের ছাদে উঠে আসে । মনে পরে যায় যখন নিশাতকে নিয়ে স্কুলে যেত সে সব দিনের কথা । একদিন রিকশাওয়ালার সাথে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি চলছিল ধ্রুবর । নিশাত ধ্রুবকেই ধমক দিয়ে থামিয়ে দিয়ে রিকশাওয়ালাকে ১০ টাকার বদলে ১৫ টাকা ধরিয়ে দিল । রিকশাওয়ালা হাসি মুখে চলে গেল । ধ্রুব দাত খিচিয়ে বলেছিল "টাকা বেশি হয়ে গেছে তোর ?" "হ্যা । হয়ে গেছে । তারা খেটে খাওয়া মানুষ । কয়েক টাকা বেশি দিলে কিছু হবে না । বরং সোওয়াব পাবি ।" বলেছিল নিশাত । ধ্রুব ছোট বোনের কথা মুগ্ধ হয়ে শুনেছিল । আপনমনেই হাসে ধ্রুব । কতদিন পর বোনটাকে দেখতে যাচ্ছে সে ? হবে তো এই ৫-৬ বছর । হ্যা অবশ্যই হবে । বোনটা নিশ্টই খুব খুশি হবে । পকেটে হাত ঢুকিয়ে ক্যাডবেরি চকলেটার অস্তিত্ব অনুভব করলো ধ্রুব ।
আজকে ধ্রুবকে নস্টালজিয়া একদম আকড়ে ধরেছে । ছোটবেলার কথা মনে পরে যায় । বাবার অবস্থা বিশেষ ভাল ছিল না । এই ছোট খাট ব্যাবসা করতেন । দেখা যেত মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানাটানির মধ্যে চলতে হতো । ধ্রুব তখন হাইস্কুলে সবে ভর্তি হয়েছে । একটা মলিন শার্ট আর রং উঠা প্যান্ট পরে স্কুলে যেত । স্কুলের সব ছেলে মেয়ে যখন টিফিন খেত , তখন সে হয়তো ক্যান্টিনের পাশে সাপ্লাইয়ের পানির ট্যাঙ্ক থেকে গলা পর্যন্ত পানি গিলতো । প্রতিদিন ধ্রুবর টিফিনের জন্য বরাদ্দ টাকা ছিল মাত্র দুটাকা । টাকাগুলো জমিয়ে রাখতো সে । নিশাতের একটু ফাস্টফুড খাবারের প্রতি ঝোক ছিল । দেখা যেত যখনই বাসায় বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত আসতো , তখনই নিশাত সেখাতে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যেত । কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য গিফট্ লাগে । গিফটের জন্য লাগে টাকা । তার সামর্থ্য ধ্রুবর বাবার ছিল । অবুঝ বোনটার জন্য টাকা জমাতো ধ্রুব । মাস শেষে বোনের জন্য পেস্ট্রি কেক অথবা কর্নিলা আইসক্রিম নিয়ে আসতো সে । নিশাত মহা আনন্দে মুখে মাখিয়ে সেটা খেত । ধ্রুব চুপচাপ হাসিমুখে ছোট বোনের খাওয়া দেখতো । বোনটা হটাত্ই একদিন বড় হয়ে গেলো যেন । ধ্রুব যখনই তাকে কিছু কিনে দিতে চায় তখন বলে "ভাইয়া ওসব খেলে পেট ব্যাথা করে ।" বোনটাকে বাস্তবতা বুঝতে দিতে চায়নি ধ্রুব । কিন্তু পৃথিবী বড়ই নিষ্ঠুর সবাইকেই বাস্তবতার মুখোমুখি করে ছাড়ে । অতীত স্মৃতি মনে করে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে ধ্রুবর বুক থেকে ।
একটা সময় ধ্রুবর খুব ইচ্ছা ছিল গান শিখার । কিন্তু নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে এসব শখ যে বিলাসিতার নাম মাত্র তা খুব ভালভাবেই জানতো ধ্রুব । মানুষের ইচ্ছা খুবই অদ্ভুত , যখন ইচ্ছে হয় তখন মানুষ আবেগটাকেই প্রাধান্য দেয় বেশি , যুক্তিকে না । তাই পাড়ার মোড়ে সিডির দোকানটার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতো সে । দোকানের কাছে চলতে থাকা হাই ভলিউমের গানের সাথে গলা মেলাতে চাইতো । নিশাত ছিল তার ভাইয়ের গানের ভক্ত । ভাইকে জোর করে শিল্পকলা একাডেমিতে পাঠিয়েছিল একটা অনুষ্ঠানের জন্য রেজিস্ট্রেশনের জন্য । টাকার অংকটা শুনে আর ভিতরে যাওয়ার সাহস হয়নি ধ্রুবর । বিকালে বাসায় ফিরে যখন ছাদে বসে ছিল মুখ কালো করে নিশাত এসে বসল তার পাশে । তারপর বলল "ভাইয়া চল একসাথে গাই প্রজাপতি গানটা ।" প্রথমে ধ্রুব গাইতে চায়নি । কিন্তু নিশাতের চাপাচাপিতে গাওয়া শুরু করে "প্রজাপতি , প্রজাপতি. . কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গিন পাখা ।" একটা সময় মন ভাল হয়ে যায় ধ্রুবর । নিশাতের বিয়ে হয় যেদিন একটা বারের জন্যও বোনের সামনে যায়নি ধ্রুব । বোনকে বিদায় দিতে গিয়ে বাচ্চাদের মতো কেঁদে দিয়েছিল । নিশাত ধ্রুবর চোখের পানি মুছে দিয়ে বলেছিল "ছিঃ ভাইয়া । কাঁদিস কেন ? ছেলেদের কাঁদতে নেই ।" বোনটা হটাত্ই যেন খুব বড় হয়ে গিয়েছিল সেদিন ।
বাস তখন কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এসে থেমেছে । ধ্রুব বাস থেকে নামলো । একটা সিএনজি ঠিক করে রওনা দিলো মূল কুমিল্লা শহরের দিকে । দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বোনকে দেখতে আসছে সে । সেই সাথে তার জন্মস্থানকেও পাঁচ বছর পর দেখছে । অতীতের দিনগুলো মনে করতে করতে কখন যে সময় চলে গেলো বুঝলো না ধ্রুব । বাস্তবে ফিরলো সিএনজি চালকের কথায় । ধ্রুব দেখলো যে সামনেই নিশাতের শশুরবাড়ি । বিশাল বনেদি পরিবার । ভাড়া মিটিয়ে বাড়ির দিকে হাটতে লাগলো সে । বিকাল গড়িয়ে তখন সন্ধ্যা , সব কিছুর লম্বা ছায়া পড়েছে সবখানে । গেটের কাছাকাছি আসতেই নিশাতের হাজব্যান্ড রাফসানের সাথে দেখা হয়ে যায় ধ্রুব । হাসিমুখে এগিয়ে আসে রাফসান । "ভাইয়া কেমন আছেন ? কতদিন পর এসেছেন !" মৃদু হাসে ধ্রুব , উত্তর দেয় না । তারপর অস্ফুট কন্ঠে বলে "রাফসান নিশাতকে দেখতে এসেছি ।" মুখের হাসিটা মুছে যায় রাফসানের , নির্লিপ্ত মুখে মাথা ঝাকায় সে । তারপর রাস্তা ধরে হাটতে থাকে , ইশারা করে ধ্রুবকে । ধ্রুব সবে পা বাড়িয়েছে এমন সময় ছোট্ট একটা মেয়ে দৌড়ে এসে ধ্রুবকে জড়িয়ে ধরে । ধ্রুব মেয়েটাকে কোলে তুলে নেয় । ছোট্ট মেয়েটা আদুরে গলায় বলে "মামা" । রাফসান এগিয়ে আসে , মুচকি হেসে বলে "নিশাত আপনার এতো ছবি ঘরে রেখেছে যে নিহার আপনাকে একবার দেখেই চিনে ফেলেছে ।" ধ্রুব হাসে । "মামা , আমার জন্য কি এনেছো ?" নিহার প্রশ্ন করে । ধ্রুব আবারো একটু মুচকি হাসে । পকেট থেকে ক্যাডবেরি চকলেট বের করে দেয় ভাগনিকে । নিহার মহা খুশি হয়ে চকলেটটা ধরে , তারপর টুক করে ধ্রুবর গালে চুমো বসিয়ে দেয় একটা । ধ্রুব নিহারকে কোল থেকে নামায় , মহা আনন্দে ক্যাডবেরি নিয়ে বাসার ভিতরে দৌড় দেয় সে । ধ্রুব তখনও মুখে স্নেহের হাসি নিয়ে তাকিয়ে থাকে ভাগনির দিকে । ঠিক যেন নিশাতের কার্বন কপি । রাফসান এতোক্ষন চুপচাপ ছিল । নিহার চলে যাওয়ার পর ইশারা করলো ধ্রুবকে , তারপর হাটতে লাগলো । ধ্রুব অনুসরন করলো তাকে ।
নিশাতের ঘরটা দেখিয়ে দিয়ে চলে গেল রাফসান । জায়গাটার চারিদিকে দুই ফুট উচু বাউন্ডারি দেয়া । ঠিক পাশেই বিশাল এক আম গাছ ঘরটাকে ছায়া দিচ্ছে । বাউন্ডারির কাছে গিয়ে বসে ধ্রুব । তার বোনটা ঘুমাচ্ছে মাত্র সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে । উচ্চাভিলাষ জিনিসটা নিশাতের ছিল না , তাই হয়তো মাটির ঘরেই সুখে আছে সে । ধ্রুব মাটির উপর হাত ছোঁয়ায় । তারপর খুব আস্তে হাত বুলায় মাটির উপর । চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে তার । ব্যাবসায়িক কাজে দেশের বাইরে গিয়েছিল ধ্রুব । নিশাত তখন আট মাসের অন্তঃস্বত্তা । বোনের কনসিভের খবর শুনে দ্রুত বাংলাদেশে ছুটে আসে সে । এসে দেখে তার পুতুল বোনটা আরেকটা পুতুলের জন্ম দিয়েছে । কিন্তু বোনকে দেখতে পায় না । নিশাতকে আইসিইউ তে রাখা হয়েছে । দুই দিন টানা হাসপাতালে ছিল ধ্রুব । হাজার বার ডাক্তারকে বোনের অবস্থা জিজ্ঞেস করেছে । বোনকে দেখতে চেয়েছে । কিন্তু ডাক্তার তাকে কিছুই বলেনি । তৃতীয় দিন সন্ধ্যার দিকে ডাক্তার ধ্রুবকে আইসিইউতে নিয়ে যায় । ধ্রুব ঢুকে দেখে নিশাত চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে । মলিন হয়ে আছে মায়াময় মুখটা । ধ্রুব নিশাতের কাছে গিয়ে বসে । নিশাত চোখ খুলে তাকায় । মৃদু হাসে হয়তো । তারপর খুব আস্তে আস্তে বলে "ভাইয়া গান শুনতে ইচ্ছা করছে রে , ঐ গানটা শোনাবি ?" ধ্রুব কিছু বলে না , নিশাতের ডান হাতটা চেপে ধরে গাইতে থাকে
"প্রজাপতি , প্রজাপতি. . কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গিন পাখা ।"
নিশাতের হাত নিঃস্পন্দ হয়ে যায় একটা সময় , ধ্রুব তবুও গেয়ে যায় অশ্রুভরা চোখে । বোনের হাত শক্ত করে ধরে রাখে । ডাক্তার এসে ধ্রুবকে সরিয়ে নিতে চায় । কিন্তু ধ্রুব সরে না । বোনের কপালে হাত বুলাতে থাকে । সেদিন ভয়াবহ রকমের কষ্ট হচ্ছিলো ধ্রুবর । যেমনটা আজকে হচ্ছে । কবরটার মাথার দিকের মাটিতে হাত বুলাতে থাকে সে । খুব আস্তে . . যেন একটু জোড়ে হাত বুলালেই বোনটা জেগে যাবে । ছোট বেলায় যেভাবে বোনকে ঘুম পাড়াতো ধ্রুব , ঠিক সেভাবে । টপটপ করে চোখের পানি ঝড়তে থাকে ধ্রুবর । "ছিঃ মামা । কাঁদছো কেনো ?" আদুরে একটা গলা বলে উঠে । নিহার এসে দাড়িয়েছে পাশে । পাঁচ বছরের ছোট্ট ভাগনির মাঝে বোনকে খুঁজে ফেরে ধ্রুব । সন্ধ্যা নেমেছে তখন । আকাশের মাঝে জোছনার মায়াবি আলোর ছটা পৃথিবীকেও সিক্ত করেছে । ধ্রুব ছোট বাচ্চার মতো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ভাগনির দিকে । "মামা গান শুনবে ?" জিজ্ঞেস করে নিহার । ঘাড় কাত করে ধ্রুব । "আচ্ছা" বলে মুচকি হাসে নিহার । তারপর একদম মায়ের মতই গাইতে থাকে "প্রজাপতি , প্রজাপতি. . কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গিন পাখা ।"
অন্ধকার পৃথিবীর মাঝে তখন জোছনার আধিপত্য দেখা যায় । ঝিঝিরা আজ ডাকতে ভুলে গিয়েছে । যেন পৃথিবীতে শুধু নিহারের গান ব্যাতিত কোন শব্দ অবশিষ্ঠ নেই । টপ টপ করে ধ্রুব চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে । তার মনে হয় যেন নিশাত এখনই এসে বলবে "গান তো শুনলি , এখন বল কি দিবি ?" । "মামা তুমি কাদঁছো ?" নিহারের কথায় বাস্তবে ফিরে আসে ধ্রুব । নিহারের দিকে তাকায় । পাঁচ বছরের ছোট ভাগনির মাঝে নিজের ছোট বোনকে খুঁজে পায় । নিহার তার ছোট ছোট হাত দিয়ে ধ্রুবর চোখের পানি মুছে দেয় । ধ্রুব ম্লান হাসে । নিহারকে কোলে তুলে নেয় সে । হাটতে থাকে জোছনাস্নাত রাজপথ ধরে । আকাশের পটভূমিতে একটি তারার উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় । জোছনার আলো যেনো আরেকটু বেশি গাঢ় হয় । ধ্রুব তখন নিহারকে কোলে নিয়ে হেটে চলেছে । ছোট্ট নিহার মামার গালে টুক করে একটা চুমু দেয় । ধ্রুব নিহারের দিকে ফিরে আবারও একটু হাসে । প্রতিবার নিহারের মাঝেই নিশাতকে খুঁজে ফেরে । পৃথিবীর অব্যাক্ত কথার খাতায় আরেকটা লাইন লেখা হয়ে যায় । হটাত্ ধ্রুব দেখতে পায় একটা প্রজাপতি উড়ছে । জোছনার আলোয় প্রজাপতির রঙ্গিন রূপটা যেনো হারিয়ে যাচ্ছে । ধ্রুবর মনে হয় নিশাতই যেন প্রজাপতি হয়ে উড়ছে । রঙ্গিন পৃথিবী থেকে সাদা কালো পৃথিবীর মাঝে ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে সে । ভয়াবহ রকমের কষ্ট হয় ধ্রুবর । নিহারকে আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সে , তারপর অস্ফুট কন্ঠে খুব আস্তে আস্তে গাইতে থাকে
"প্রজাপতি , প্রজাপতি. . কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গিন পাখা ।"
উত্সর্গঃ
আমার কলিজার টুকরা দুটো বোন নিধি , নিঝুকে । কাল রাতে ভয়াবহ কষ্টের মাঝে এক বসায় লেখা । অনেক অব্যাক্ত কথা ভাষা পেয়েছে হয়তো লেখার মাঝে । নিধিকে জন্মদিনে একটা ক্যাডবেরি কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই । পৃথিবীর নিকৃষ্টতম ভাই আমি । আমার কখনো ইচ্ছা হয়নি কোথাও লেখা ছাপাতে । কখনো ইচ্ছা হয়নি আমি আমার পরিবারকে লেখা দেখাতে । আজ খুব ইচ্ছা হচ্ছে । কেন যেনো খুব বেশি ইচ্ছা হচ্ছে । ইচ্ছে হচ্ছে বুকের ভিতর জমাট বাধা কষ্টগুলোকে সারা পৃথিবীর সবখানে ছড়িয়ে দিতে . .
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪০