somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

~ ~এখানে পৃথিবী আধাঁর কালো ~ ~

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(১)



সিড়ির ধাপগুলোর মধ্যে অসংখ্য মানুষ বসে ছিল । একক অথবা জোড়ায় জোড়ায় । আমিও বসে ছিলাম । তবে সিড়ির ধাপে নয় । আমি বসে ছিলাম লেকের পাড়ে । লেকের ওপাড়ে বড় বড় গাছগুলোর লম্বা ছায়া পড়েছে পানিতে । লেকের পানিও অদ্ভুত শান্ত । পানির উপর চড়ে বেড়াচ্ছিলো কিছু প্যাডেলিং বোট । বলাই বাহুল্য যে বোটের উপরও কপোত কপোতির জয়জয়কার । রবীন্দ্র সরোবরে এসে বসে থাকি প্রায় প্রতিদিন । ভাল লাগে আমার । এখানে নানান জিনিস দেখে বেশ মজা লাগে । কতো টাইপের মানুষ যে এখানে আসলে দেখতে পাওয়া যায় ! মাঝে মাঝে প্রেমিক প্রেমিকা যুগলের অদ্ভুত সব রোমান্টিসিজমের দিকে চোখ পড়ে । কতো টাইপের লাইলি মজনু যে এখানে আসে ! শুনেছি কেমব্রীজ ইউনিভার্সিটিতে রোমান্টিসিজম নিয়ে একটা সাবজেক্ট আছে । যারা এ সাবজেক্ট নিয়ে পড়ে তাদের জন্য বাংলাদেশের পাবলিক পার্কগুলো আদর্শ জায়গা । প্রেম কাকে বলে , উহা কত প্রকার ও কি কি , তা এখানে প্রেক্টিক্যালি দৃশ্যমান । পায়ের ওপর পা তুলে উদ্ভট সব চিন্তা করেই যাচ্ছি আমি । হটাত্‍ পাশে এসে দাড়ালো একটা কমবয়সী ছেলে । ছেলেটাকে খেয়াল করিনি তেমন একটা । ছেলেটার হাতে চায়ের ফ্লাক্স । সেই ফ্লাক্সের সাথে আবার পাচঁ ছয়টা পলিথিন ব্যাগ লাগানো । প্রত্যেকটা ব্যাগে বিভিন্ন জিনিস রয়েছে । "মামা চা দিমু ?" ছেলেটার কথায় যেন ধাক্কা খেয়ে ভাবনার জগত্‍ থেকে বের হয়ে এলাম । আমার শান্ত চেহারায় কোন ভাবের পরিবর্তন হলো না । শুধু একবার মাথা নেড়ে মানা করলাম । "তইলে মামা একটা সিগারেট দেই ?" ছেলেটা দ্বিগুন উত্‍সাহ নিয়ে বলল । আমি খেয়াল করেছি এই সব হকাররা খুবই ব্রিলিয়েন্ট । তারা যেমন জানে পার্কে যুগলের অভাব নেই , ঠিক তেমনি জানে এখানে দেবদাসেরও অভাব নেই । তাই তাদের হাতে থাকে ফুলের থোকা , আর ফুলের থোকার পিছনেই লুকিয়ে থাকে বেনসন , গোল্ডলিফের প্যাকেট । মাথা ঝাকালাম ছেলেটার উদ্দেশ্যে ।



ছেলেটা বেনসনের প্যাকেটটা এগিয়ে দিল । তিনটা সিগারেট টেনে বের করলাম । দুটো পকেটে রেখে অপরটা ঠোটে চেপে ধরলাম । ছেলেটা লাইটার এগিয়ে দিল । লাইটারে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করলাম আমি । কিন্তু আগুন জ্বললো না । সিগারেটে আগুন ধরানোটা অনেক মান সম্মানের ব্যাপার । আগে বন্ধুদের টিটকিরি শুনতে হতো । এখন যদিও আশেপাশে কোন বন্ধু নেই । তবে আমার নিজের কাছে ব্যাপারটা প্রেস্টিজিয়াস । কোন ভাবেই সিগারেট ধরাতে পারলাম না । ছেলেটা তখন আমার অবস্থা দেখে দাত বের করে হাসছে । হাসতে হাসতে বলল "মামা ম্যাছ দিমু ? দুই ট্যাকা দাম ।" কথাটা শুনে কেন জানি সন্দেহ হলো । লাইটারটা ঝাকাতেই বুঝলাম যে সেখানে গ্যাসের ছিটে ফোটা নেই । মেজাজ সপ্তমে চড়ে গেলো । লাইটারটা আছাড় দিয়ে ঝট করে উঠে দাড়িয়েই ছেলেটার গালে কষে একটা চড় বসিয়ে দিলাম । তারপর বললাম "ব্যাটা মশকরা করিস ? তোর বাপেরে এইসব চিটিংবাজি শিখাইছি আমি ।" হটাত্‍ খিল খিল শব্দে কে যেনো হেসে উঠলো পিছন থেকে । হাসিটা অতি পরিচিত । ঘাড় ফিরিয়ে তাকাতেই অবাক হলাম । ফারিন দাড়িয়ে আছে । হাসির ভঙ্গিমাটায় কোন পরিবর্তন নেই । অবাক হলেও সেটা প্রকাশ করলাম না । ছেলেটাকে টাকা দিয়ে বিদায় করে দিলাম ।


তারপর আস্তে ধীরে সিগারেট ধরালাম । তাকিয়ে রইলাম লেকের ঐপাড়ে । "ধ্রুব ভাই , আপনি আর বদলালেন না ।" মিষ্টি কন্ঠে বলল ফারিন । লেকের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই বললাম "মানুষ মরে গেলে পঁচে যায় । বেচে থাকলে বদলায় । কারনে অকারনে বদলায় । মুনির চৌধুরির এ বক্তব্য যে সব মানুষের জন্যই প্রযোয্য তা তুমি নিশ্টই জোড় দিয়ে বলতে পারো না ! !" ফারিন নাক কুচকে বলল "সিগারেট ছাড়েন নাই দেখছি । ছয় মাস আগে যা ছিলেন তাই রয়ে গেলেন ।"-"প্রেমিক যেমন প্রেমিকাকে ভালবাসে , লেখক যেমন তার লেখাকে ভালবাসে ঠিক তেমনি বেকার ভালবাসে সিগারেট ।" - "উফ্ , আপনি এভাবে কথা বলেন কেনো সবসময় ??"-"কিভাবে কথা বলি ?"-"জানি না । চলেন ফুচকা খাব । অনেক দিন খাই না ।" আমার ফুচকা খাওয়ার কোন ইচ্ছাই ছিল না । ফুচকার দোকানে পেতে রাখা ছোট্ট টেবিলের এক কোনায় বসে থাকা । তারপর ফুচকা সার্ভ করা হলে প্লেটের উপর নতুন বউয়ের মতো চুপ করে থাকা ফুচকার উপর মেকআপ সরূপ তেতুলের রস ঢেলে তাকে আরেকটু সুন্দর করে মুখে পুড়া । অতঃপর গলাধঃকরন শেষে আনন্দে বিস্ময়সূচক ধ্বনি উচ্চারনের চেয়ে মুক্ত পরিবেশে সিগারেট টানা অনেক বেশি শান্তির । কিন্তু ফারিন প্রায় জোড় করে নিয়ে গেলো । আমি তখন দ্বিতীয় সিগারেটটা ফুকছি । "একটা মেয়ের সামনে সিগারেট টানতে লজ্জা লাগে না আপনার ?" গম্ভীর মুখে বলল ফারিন । জবাব দিলাম না । "কি ব্যাপার ? জবাব দিন ।" রাগত গলায় বলল ফারিন । "লজ্জা নারীর ভূষন , পুরুষের কলংক" গম্ভীরভাবে বললাম । "আপনি তাহলে পুরুষ ! অথচ একটা চাকরি যোগাড় করতে পারেন না !" রেগে বলল ফারিন ।


বেকারত্ব জিনিসটা বড়ই অদ্ভুত । বেকার থাকলে প্রত্যেকটা মানুষ কবি , সাহিত্যিক অথবা বিজ্ঞানি হয়ে যায় অল্প কিছুক্ষনের জন্য । পৃথিবীর পরিবর্তনের ধারায় যারা অবদান রেখেছে তাদের তালিকায় বেকারদের একটা বিশাল অংশ আছে । তবে তা উহ্য থাকে । ব্যাহ্যিক কোন রূপে প্রতিয়মান হয় না । বেকার এর বাংলা অর্থ হচ্ছে বে আকার , অর্থাত্‍ যার কোন আকার নেই । আপনি তাকে যেভাবেই নাচাবেন , সে সেভাবেই নাচবে । বেকাররা খুব ভাল করেই এই নাচানাচির সাথে পরিচিত । মামা , চাচা থাকলে হয়তো নাচানাচি করে চাকরি নামক মেগাসিরিয়ালে চান্স পাওয়া যেতে পারে । আর না থাকলে নাচানাচি নিত্য ধারায় চলতেই থাকে । বেকারের ইংরেছি অর্থ হলো ব্রেক লেস কার । অর্থাত্‍ ব্রেক ছাড়া গাড়ি । এই গাড়ি তার লক্ষ্যে পৌছাতে চায় কিন্তু পারে না । সে তার আপন গতিতেই ধ্বংসপানে চলে । ব্যাপারটাতে এডভেন্চার এডভেন্চার একটা ভাব আছে । কিন্তু আফসোস এই যে এই এডভেন্চারে মানুষ জিতে কম , হারে বেশি । জবাব দিচ্ছিনা দেখে ফারিন বুঝলো যে আমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস করা বোকামি । শুধু বলল "সিগারেটটা ফালান প্লিজ । আমার অসহ্য লাগছে ।" সুতরাং সিগারেটটা ফেলে দিলাম সুখটান দেওয়ার আগেই । ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছিল না । তবুও চেপে চুপে সবকটা মুখে ঢুকালাম । ফারিনের সাথে পরিচয় হয়েছে তিন চার বছর হবে । মেয়েটাকে আর আট দশটা মেয়ের সাথে মিলাতে পারি না কেন জেনো । ফারিন কি যেন বলতে চায় আমাকে কিন্তু বলতে গিয়ে আটকে যায় । আমি বুঝতে পারি । কিন্তু কিছু বলি না । আমি আসলে চাই না আমার সাথে মেয়েটা জড়িয়ে যাক । তার জীবনটা ধ্বংস হয়ে যাক । "আপনার কনট্রাক্ট নাম্বারটা দিবেন প্লিজ ?? আপনাকে বহু কষ্টে খুঁজে পেয়েছি আজকে" বলল ফারিন । "মোবাইল বেচে দিছি । আপাতত নাই ।" শান্তভাবে বললাম । "আপনি কি পাগল নাকি !" বিরক্ত হয়ে বলল ফারিন । "আ. . ভেবে দেখিনি কখনো , তবে যদি সত্যিই হই তাহলে তো ভালই । পাগল যদি পৃথিবীতে নাই থাকে তাহলে মানুষ ভাল হওয়ার কদর বুঝবে কি করে ?"-"ওফ আপনার ফিলোসোফি নিয়ে থাকুন আপনি । দয়া করে কিছু করার চেষ্টা করুন । আন্টি যে অসুস্থ সেদিকে খেয়াল নাই আপনার !" বলেই ফুচকার দামটা দিয়ে গটগট করে চলে গেলো সে । আমি ততক্ষনে তৃতীয় সিগারেট ধরিয়েছি । এটার সুখটান কোনভাবেই মিস করা যাবে না ।



(২)



ফারিনের বিয়ের কার্ডটা নিয়ে আমি চুপচাপ বসে আছি । কার্ডটা বেশ সুন্দর । লাল রংয়ের কার্ড । ভিতরে সোনালী হরফে বর কনের নাম লেখা । আমি সাধারনত হাসি না । আজ কেন জানি খুব হাসতে ইচ্ছা হচ্ছে । হাসলাম কিনা জানি না । আসলে এ মূহুর্তে আমার ব্যাহ্যিক অবস্থার সাথে অভ্যন্তরিন অবস্থার কোন মিল নেই । আমি সেদিনও রবীন্দ্র সরোবরে বসে সিগারেট ফুকছিলাম । সেই একই জায়গায় । ফারিন কোথা থেকে যেন হুট করে চলে এসেছিল সেদিন । শাড়ি পড়েছিল সে । না সে বেশি সাজেনি । শুধু চোখে কাজল দিয়েছিল । কাজল জিনিসটা আমার অত্যাধিক প্রিয় । ফারিনকে ভয়াবহ সুন্দর লাগছিলো তখন । তার চোখজোড়া ছলছল করছিল তখন । আমি সিগারেট একমনে টানছিলাম তখনো । সে কাছে এসে একটানে সিগারেটটা ছিনিয়ে নিয়ে লেকের পানিতে ছুড়ে ফেলল । আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম । ফারিন চাপা গলায় বলল "বলেন তো ধ্রুব ভাই কেমন লাগছে আমাকে ? ছেলেরা পল্টি খাবে তো " আমি কিছুই না বুঝে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে । বুঝে উঠতে পারছিলাম ধা কিছু । আমাকে অবাক করে দিয়ে ফারিন কেঁদে ফেলল । অশ্রু কণা তার চোখের কাজল মুছে দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেলল । তারপর তার গাল বেয়ে নামতে লাগলো নিচে । তার গালে কালো একটা দাগ ক্রমশ গাঢ় হচ্ছিলো । ধপ্ করে আমার পাশে বসে পড়লো ফারিন । আমি খেয়াল করলাম তার হাতে লাল রংয়ের একটা কার্ড । উপরে লেখা "শুভ বিবাহ" । আমি খুব আস্তে ধীরে সিগারেটের প্যাকেট থেকে আরেকটা সিগারেট বের করে ধরালাম । খুব ধীরে একটা টান দিয়ে ধোয়া ছাড়লাম । ফারিন নাক টানতে টানতে বলল "ধ্রুব ভাই । আপনি কি কিছু বুঝেন না ?" কিছুক্ষন চুপ করে রইলাম আমি , তারপর জবাব দিলাম "কথাটা ঠিক না ফারিন । আমি আসলে অনেক বেশি বুঝি । এতো বুঝা ভাল না , কষ্ট হয় । তবে এসব সয়ে গেছে ।" ফারিনের ফোপানোর শব্দ শুনতে পাই অস্পষ্টভাবে । আমার সামনে তখন ছোটখাট একটা ধোয়ার পাহাড় তৈরি করে ফেলেছি আমি ।


"আচ্ছা ধ্রুব ভাই সিগারেট খান কেন আপনি ? ? এটা খেলে কি কষ্ট কমে ?" ফারিন জিজ্ঞেস করলো । এবারও জবাব দিলাম একটু পর । সিগারেট তখন মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছে । বললাম "ফারিন । তুমি আসলে সাজগোজ করতে পারো না । এই যে দেখো কাজল লেপ্ট গেছে ।" ফারিন তখনও ফোপাচ্ছে । মেয়েটা কি আমার ইঙ্গিত বুঝতে পারছে না ? হটাত্‍ ব্যাগ থেকে একটা কাজলের স্টিক বের করে দিয়ে সে বলল "তাহলে আপনি লাগিয়ে দিন ।" আমি ওর দিকে তাকালাম । বাচ্চাদের মতো এখনো ফোপাচ্ছে সে । মায়া লাগলো খুব । একবার মনে হলো চোখের পানি মুছে দিই । নিজেকে সংবরন করে বললাম "ফারিন কার্ডটা দিযে বাসায় যাও । সবাই চিন্তা করছে ।" বলেই আবার সিগারেটে টান দিলাম । এবারের টানগুলো বেশ ঘন । "ধ্রুব ভাই আপনার হাতটা একটু ধরি ?" ফারিনের কন্ঠে আকুতি ছিল । আমি মুচকি হেসে বললাম "সিগারেটের গন্ধ মুখের চেয়ে বেশি হাতে থাকে । হাত ধুতে হবে গন্ধ দূর করতে । তা আমি পারবো না ।" ফারিন এবার বুঝলো আমার ইঙ্গিত । তাকে চলে যেতে বলছি আমি । সে আর একটা কথাও বলল না । মুখে হাত চাপা দিয়ে প্রায় ছুটে চলে গেলো সেখান থেকে । কার্ডটা রয়ে গেছে । কার্ডটা খুলে রেখেছি এখনো । আমার সব কিছুই অর্থহীন লাগছে এখন । ফারিনকে জানাতে ভুলে গেছি যে গত রাতে মা মারা গেছেন । সিগারেটটা নিচে ফেলে পা দিয়ে মারিয়ে দিলাম । সন্ধ্যা হয়ে উঠেছে প্রায় ।


০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০


টিপ টিপ করে বৃষ্টি ঝড়ছে । হাইওয়ের বিস্তৃত রাস্তা ধরে আমি হাটছি । ভেজা রাজপথের কোথাও কোন প্রতিবিম্ব নেই । আকাশে মেঘ আছে প্রচুর । মেঘের ফাঁকের ভিতর দিয়ে তারা দেখার চেষ্টা করছি আমি । একটু সামনে এগোলেই রেল লাইন । সিগারেটের প্যাকেটটা খালি । তবুও সেটা ফালাইনি । থাকুক পকেটে । রেললাইনের উপর হাটছি এখন । ক্লান্ত লাগছে খুব । লাইনের উপরই শুয়ে গেলাম । স্লিপারগুলো কাঁপছে মৃদু । শব্দ হচ্ছে কিসের যেন । আমার সেদিকে খেয়াল নেই । আমি তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে । তারা দেখার আশায় । বৃষ্টির বেগ বাড়ছে । বৃষ্টির ফোটার আয়তন বাড়ছে । স্লিপারের কাঁপুনি আর শব্দের বেগও বাড়ছে । তবুও তারা দেখতে পাচ্ছি না । চারিদিকে শুধু মিশমিশে আধাঁর । শুধুই কালোর অস্তিত্ব । অস্বস্থি লাগছে আমার । অস্থির লাগছে খুব । মাথার ভিতরে চিনচিনে ব্যাথা টের পাচ্ছি । ফারিনকে বলা হয়ে উঠেনি অব্যাক্ত কথাগুলো । ইস্ একটা তারা যদি দেখা যেতো তাহলে সেই তারার কাছে বলে যেতাম কথাগুলো । আমার কথাগুলো বেঁচে থাকতো অন্ততকাল । কিন্তু আকাশ তখনো গুমোট কালো । শব্দটা ক্রমশ বাড়ছে , স্লিপারগুলো পাগলের মতো কাঁপছে । সামনের দিকটায় হলদেটে একটা আলো দেখা যাচ্ছে । কিন্তু আমার পৃথিবী তখন আকাশের দিকেই সীমাবদ্ধ । এখানে পৃথিবী আধাঁর কালো ।

৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×